এখানে কোন কৌতুকই আমার নিজস্ব রচনা নয়-সবগুলোই ভিবিন্ন ওয়েব পেজ, বাংলা ব্লগ, ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপ এবং বন্ধুদের ওয়াল থেকে নেওয়া। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাদের একটু হাসির সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আরেকটি কথা, এখানে দেওয়া কৌতুক সমুহের সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত না থাকায় আমি কারো নাম দিচ্ছিনা এবং উসৎ উল্লেখ করছিনা। তাছাড়া বর্তমান এই কপি-পেস্টের যুগে সত্যিকার উসৎ খুজে পাওয়া ও সম্ভব নয় ।
নোট - আগেই বলে রাখছি এই কৌতুক গুলো দ্বারা মানুয কে আনন্দ দানের চেস্টা করা হয়েছে মাএ--কোন মানুয কে উপহাস বা ছোট করার জন্য নয়। তবে এখানে অনেক চরিএ, ঘটনা, স্হান বা কালের সাথে এর মিল খুজে পেলে পেতে পারেন। ইহাতে কারো কোন আপত্তি গ্রহনযোগ্য নয়। কারন এখানে সব ধরনের চরিএ কাল্পনিক।
০১। ক্লাস ফোরের দুইটা ছেলে কথা বলছে
- দোস্ত, গতকাল থেকে আমার মনটা খুব খারাপ।
- কেনো?
- মলি ছয়মাস আগে আমাকে গন্ডার বলেছিল। আমার চামড়া নাকি গন্ডারের।
- ছয়মাস আগে গন্ডার বলছে আর তোর মন খারাপ গতকাল থেকে?
- হু - গতকালই-যে চিড়িয়াখানায় প্রথম গন্ডার দেখলাম।
০২।একজন আসেনি!
নদীদের বাগানে কাজ করছে দুই মালি। একজন গর্ত খুঁড়ছে, আরেকজন গর্ত ভরাট করছে। একজন গর্ত খুঁড়ছে, আরেকজন গর্ত ভরাট করছে। আর তাই দেখে রাশেদের তো আক্কেল গুড়ুম। গিয়ে মালিদের জিজ্ঞেস করলো, কী ব্যাপার! তোমরা গর্ত খুঁড়ছো আর ভরাট করছো কেন?
শুনে যে মালি গর্ত খুঁড়ছিলো, সে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললো, আমরা আসলে বাগানে কাজ করি তিনজন। আমি গর্ত খুঁড়ি, আরেকজন তাতে গাছ লাগায়, আর ও গর্ত ভরাট করে। কিন্তু আজকে যে মালি গাছ লাগায় ও আসেনি। তাই বলে তো আর আমরা কাজ না করে বসে থাকতে পারি না! তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
০৩। ইচ্ছেপূরণ!
করিম সাহেব আর রহিম সাহেব খুবই ভালো বন্ধু। তো সেদিন রহিম সাহেব করিম সাহেবকে বলল, জানিস, আমার জীবনের কোনো ইচ্ছেই পূরণ হয়নি!
- তাই নাকি?
- হুঁ। আচ্ছা, তোর জীবনের কোনো ইচ্ছে কি পূরণ হয়েছে?
- হ্যাঁ, হয়েছে তো। ছোটবেলায় যখন স্যাররা আমার চুল ধরে টানতো, তখন আমি ভাবতাম- ইশ! আমার মাথায় যদি চুলই না থাকতো, তাহলে তো স্যাররা আমার চুল ধরে টানতেই পারতো না। আর দেখ, এখন সত্যি সত্যিই আমার মাথায় কোনো চুল নেই; মাথা ভরা টাক!
০৪।কখন খাব?
আতাউল সাহেব ভীষণ মোটা। আর তাই নিয়ে তার সমস্যার অন্ত নেই। শেষমেশ চিন্তা করলেন, তাকে চিকন হতে হবে। সেজন্য গেলেন ডাক্তারের কাছে। সব শুনে ডাক্তার বললেন, আপনি প্রতিদিন সকালে আর রাতে রুটি খাবেন, কেমন?
শুনে আতাউল সাহেব মাথা নাড়লেন, মানে বুঝে গেছেন। তারপর খানিক চিন্তা করে জিজ্ঞেস করলেন, তা র“টি যে খাব, সেটি ভাত খাবার আগে খাব, না পরে খাব?
০৫।ঘড়ি তো বাজে না!
আমাদের স্কুলে ক্লাসরুমগুলোতে ঘড়ি নেই। কিন্তু সামনের করিডোরে একটা বড়োসড়ো ঘড়ি আছে। সেদিন কী হলো, স্যার ক্লাস নিতে নিতে রহিমকে বললেন, রহিম, দেখে আসো তো, কয়টা বাজে?
একটু পরে রহিম ক্লাশে ঢুকে স্যারকে বলল, স্যার, ঘড়িতে তো কিছু বাজে না, শুধু টিকটিক শব্দ হয়!
০৬। আমি ফুটবল খেলতে যাইনি!
পল্টু কালকে বাসায় আসতেই বাবা জিজ্ঞেস করলেন, তুই আজকেও স্কুল শেষে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলি?
- না, বাবা।
- তাহলে এতো দেরি করে ফিরলি কেন? নিশ্চয়ই তুই ফুটবল খেলতে গিয়েছিলি?
- না বাবা, আমি আজকে সত্যিই ফুটবল খেলতে যাইনি। বিশ্বাস না হলে এই দেখো, আমার ব্যাগে কোন ফুটবল নেই, আছে ক্রিকেট বল!
০৭। বড্ডো ছোট করে ফেলেছো!
শরিফ সাহেব গেছেন সেলুনে, চুল কাটাবেন। গিয়ে নাপিতকে বললেন, দাও তো বাবা, আমার চুলটা একটু ছেঁটে দাও। নাপিতও যত্ন করে তার চুল ছেঁটে দিল। চুল কাটা শেষে শরিফ সাহেব ঘুরেফিরে চুল দেখে বললেন, আহহা, তুমি তো চুল বড্ডো বেশি ছোট করে ফেলেছো। একটু বড়ো করে দাও দেখি।
০৮। হেড স্যার বললেন!
আমাদের প্রাইমারি স্কুলে ম্যাজিস্ট্রেট আসবেন। আর তাই ভীষণ সাজসাজ রব পড়ে গেছে স্কুল জুড়ে। হেড স্যার তো ক্লাশে ক্লাশে গিয়ে সবাইকে পইপই করে শিখিয়ে দিচ্ছেন, কী হলে কী করতে হবে। রহিমদের ক্লাসে গিয়ে বললেন, তোমাদের যা যা জিজ্ঞেস করবে, ঠিক উত্তর দিতে হবে। তখন রহিম দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, স্যার, ম্যাজিস্ট্রেট কী জিজ্ঞেস করতে পারে?
- এই ধরো, জিজ্ঞেস করল, আমাদের জাতীয় কবি কে? তখন তোমরা বলবে, কাজী নজরুল ইসলাম।
পরদিন ম্যাজিস্ট্রেট এলেন। আর রহিমদের ক্লাসে এসে সত্যি সত্যিই ওই প্রশ্নটিই করে বসলেন- আমাদের জাতীয় কবি কে? তাও আবার জিজ্ঞেস করলেন রহিমকেই। আর রহিম তো এর উত্তর জানেই, সেও টুক করে বলে দিল- হেড স্যার বলেছেন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম!
০৯। কাল কতো প্রকার?
আকবর স্যার ক্লাশে ঢুকেই ফয়সালকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- বলো তো, ক্রিয়ার কাল কতো প্রকার?
- ৩ প্রকার স্যার, অতীত কাল, বর্তমান কাল আর ভবিষ্যত কাল।
- তা বেশ! এবার সবগুলোর উদাহরণ দাও তো দেখি।
- কালকে আপনার গাছে পাকা আম দেখেছিলাম। আজকে আপনার গাছ থেকে আম পেড়েছি। স্কুল ছুটির পর সেই আম লবণ- মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাব।
১০। পয়সা থেকে টাকা
রাসেল বাসায় এসে বাবার কাছে গিয়ে আদুরে গলায় বলল- বাবা, কাল থেকে আমরা বড়লোক হয়ে যাচ্ছি।
- কেন?
- কালকে আমাদের অংকের স্যার পয়সাকে টাকা বানানোর অংক করাবেন।
১১। উল্টো জব্দ!
আমাদের ক্লাসে খোকন নামে এক ছেলে আছে না? সে তো মহা ত্যাঁদড়। মাথায় খালি দুষ্ট বুদ্ধি ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু সেদিন ও ভীষণ জব্দ হলো। তখন মদনমোহন স্যারের ক্লাস। ক্লাস শুরুর আগেই কোন এক ফাঁকে সে বোর্ডে লিখে দিয়ে আসল, ‘মদনবাবু গাধা’। তো, যথাসময়ে স্যার আসলেন। আমরা তো প্রমাদ গুণছি। ওই লেখা দেখে স্যার কী রাগটাই না করবেন। ওমা, স্যার এসে একগাল হেসে চক হাতে নিলেন। তারপর পাশে লিখে দিলেন ‘দের পড়ান’। সব মিলে আমরাই গাধা হয়ে গেলাম- ‘মদনবাবু গাধাদের পড়ান’!
১২। কেমন চুল চাই?
আবদুল সাহেবের মাথার চুল সব পড়ে যাচ্ছে। আর তা নিয়ে উনার যে কী ভাবনা! ভাবতে ভাবতে চুল তো মনে হয় আরো বেশি করে পড়ে যাচ্ছে। শেষে আর কোন উপায় না দেখে গেলেন ডাক্তারের কাছে। বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, আমার চুলতো সব পড়ে যাচ্ছে। ওষুধ দিন না?’
- ‘তা আপনার কেমন চুল চাই?’ বললেন ডাক্তার।
- ‘কেমন চুল মানে? আমার চাই মাথাভরা চুল,’ বললেন আবদুল সাহেব।
- ডাক্তার সাহেব বললেন, ‘না, আপনি যদি লম্বা চুল চান, তাহলে লম্বা ক্যাপসুল দিব। ছোট চুল চাইলে ছোট ক্যাপসুল। আর যদি কোঁকড়া চুল চান, তাহলে দিব কোঁকড়া কোঁকড়া ক্যাপসুল!’
১৩। প্লেন কিভাবে রং করে?
আলাল আর দুলাল- দুজনে যেমনই প্রাণের বন্ধু, তেমনই দু’জনেই হদ্দ বোকা। ওদের একদিন শখ হলো, এয়ারপোর্টে গিয়ে প্লেন দেখবে। তো প্লেন দেখতে দেখতে আলালের মাথায় এক ভীষণ প্রশ্ন এলো। ‘এতো বড় প্লেনটার রং করে কিভাবে?’
শুনে তো দুলাল হেসেই গড়াগড়ি! ‘এই সোজা ব্যাপারটা তুই বুঝলি না? প্লেন যখন উড়তে উড়তে অ-নে-ক উপরে উঠে যায়, তখন তো ওটা একদম ছোট্ট হয়ে যায়। ব্যস, তখনই তুলি বের করে এক টানে প্লেনটা রং করে ফেলে!’
১৪। কোন কাল?
ব্যাকরণ ক্লাস চলছে। মোতালেব স্যার ক্লাশের সবচেয়ে অমনোযোগী ছাত্রী তুলিকে দাঁড় করালেন। জিজ্ঞেস করলেন- বল তো, বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, এটা কোন কাল?
তুলি তো আর পড়াশুনা করে না, কতোক্ষণ মাথা চুলকে শেষে বলল- বর্ষাকাল স্যার!
১৫। রুমালটাও ভাঙবে?
আজকে আজমল সাহেবের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি করে কোনোমতে রেডি হয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ঘর থেকে বের হলেন। বিল্ডিং থেকে মাত্র বের হয়েছেন, শুনলেন, উপর থেকে তার স্ত্রী চিৎকার করে বলছেন- তুমি ঘড়ি, মোবাইল আর রুমাল ফেলে গেছ। নিয়ে যাও।
কিন্তু আজমল সাহেবের হাতে একদমই সময় নেই, বললেন, সময় নেই। তুমি ছুঁড়ে দাও, আমি ধরছি। তার স্ত্রী প্রথমে মোবাইল ছুঁড়ে দিলেন। আজমল সাহেব ধরতে পারলেন না, পড়ে ভেঙে গেল। তারপর তার স্ত্রী ঘড়ি ছুঁড়ে মারলেন। সেটাও ধরতে পারলেন না আজমল সাহেব, পড়ে ভেঙে গেল। সবশেষে যখন তার স্ত্রী রুমাল ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন, তখন আজমল সাহেব খেঁকিয়ে উঠলেন, দেখছ না, আমি ধরতে পারছি না, তারপরও সবকিছু ছুঁড়ে মারছ! রুমালটাও ভাঙবে নাকি তুমি? দাঁড়াও, আমি আসছি।
১৬। রোগটার নাম কী?
করিম সাহেবের যে কী ভীষণ রোগ হয়েছে, সারা শরীরে ফোলা ফোলা দাগ। তাই নিয়ে গেছেন এক ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তারও পরীক্ষা করে রোগের আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন বিদঘুটে রোগ তিনি এর আগে দেখেননি। সব দেখেশুনে জিজ্ঞেস করলেন- আপনার আগে এমন হয়েছিল?
- জি। আচ্ছা, আমার আসলে কী রোগ হয়েছে বলেন তো?
- আগেরবার যে রোগ হয়েছিল, এবারও সেই রোগটাই হয়েছে।
- তা রোগটার নাম কী?
- আরে, আগেরবার ডাক্তার যে রোগের নাম বলেছিল, এবারও সেই রোগটাই হয়েছে।
১৭। দাঁত ছাড়া কুকুরের কামড়
একদিন পাপ্পু মুন্নাকে জিজ্ঞেস করল, তুই তো সবই জানিস। বল তো, ‘তোকে একটা কুকুর কামড়ে দিল। কিন্তু কুকুরটার কোনো দাঁত নেই। তুই তখন কী করবি?’
মুন্না বলল, ‘কী আর করব, সুঁই ছাড়া একটা সিরিঞ্জ দিয়ে ইঞ্জেকশন নিয়ে নেব!’
১৮। কবে হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ?
একদিন ইতিহাস স্যার ক্লাসে ঢুকেই রবিনকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- ‘রবিন, বল তো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে হয়েছিল?’
রবিন তো পড়াশোনা করেই না। ও কীভাবে জানবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৪১-৪৫ সালে! ও কতোক্ষণ মাথা চুলকে নিয়ে কাচুমাচু করে বলল, ‘স্যার, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে!’
১৮। গাধা চড়ালে কী হয়?
একদিন সোনাই আর রূপাই গল্প করছিল। গল্প করতে করতে একবার সোনাই রূপাইকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা বল তো, যারা গরু চড়ায়, তাদেরকে কী বলে?’
- রাখাল।
- আর যারা গাধা চড়ায়?
- শিক্ষক!
১৯। দুই মিনিটের ব্যাপার!
কয়দিন ধরে করিম সাহেবের খুব দাঁতে ব্যথা করছে। তিনি গেলেন এক দাঁতের ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বাবু দাঁতটা একটু টিপেটুপে আলোতে নিয়ে দেখে বললেন, ‘দাঁতটা তুলে ফেলতে হবে। প্রত্যেক দাঁত তোলার জন্য তিনশ’ টাকা করে দিতে হবে।’
- করিম সাহেব বললেন, ‘কিন্তু সে তো মাত্র দুই মিনিটের ব্যাপার।’
- ‘আপনি চাইলে আমি আরো বেশি সময় নিয়ে দাঁত তুলতে পারি!’ বললেন ডাক্তার বাবু।
২০। আমার দাম কতো?
দুষ্ট ছেলে একদিন মায়ের কোল ঘেঁষে আদুরে গলায় বললো, ‘মা, তোমার কাছে আমার দাম কতো? অনেক, না?’
- ‘অ-নে-ক!’
- ‘অনেক কতো? এক কোটি টাকা?’
- ‘কোটির চেয়েও অনেক বেশি। কোটি কোটি কোটির চেয়েও বেশি।’
- ‘তাহলে সেখান থেকে আমাকে দশ টাকা দাও না, একটু আইসক্রিম খাব।’
সবাই ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল.................।
চলবে....................