দ্বীতিয় পর্ব
সবকিছু পিছনে ফেলে ....চললাম ছুটে পাহাড়ি সবুজের আঁকা বাঁকা পথে.....
হ্যাঁ ঠিক সেরকমই..বাসের মাথাটাকে এখন খুব কমই সোজা চলতে দেখছি....মহুর্তের মাঝে এদিক নয়তো সেদিক ঘুরে যাচ্ছে....এভাবেই পাহাড় ঘেরা পথে চলতে চলতে চলে এলাম....বান্দরবন শহরে।
সকাল ৬.০০ মিনিট। বাস থেকে নামার পর বুঝতে পারলাম শীত এখানে ভালোই ঝেকে বসেছে....কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকা একটি শহরের সম্মুখভাগ। ঢাকার জনবহুল এলাকা ছেড়ে এমন সবুজে ঘেরা পাহাড়ী এলাকায় এসে অজানা ভালো লাগায় মনটা ভরে গেলো।
কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম........প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে....সেই সাথে মনটা একটু খারাপ হলো পাহাড়ের বুক কেটে আধুনিকতার ছোয়া দেখে।
শুরু হলো হোটেল খোজা পর্ব...এরই ফাকে সকালের নাস্তার কাজটা সেরে নিলাম...এই পর্বের শুরুটা ভালো না হলেও শেষটায় ভালো একটা হোটেল পেয়ে গেলাম....অটো ড্রাইভারের কল্যানে। অনেকটা ছিমছাম এবং নিরিবিলি......আর আমাদের যখন রুমটা দেখালো তখন আর না করিনি.....সোজা উঠে গেলাম ...হোটেল শাংগু এন্ড রেস্টুরেন্ট। তবে হোটেল মালিক প্রথমটায় আমাদের রুম দিবেন কিনা একটু ইতস্ত করছিলেন....পরে অবশ্য পটাইয়া ফেলেছি.....৪র্থ তলার নির্ধারিত রুমে ঢুকেই ফ্রি হয়ে নিলাম...আর সবাইকে আধা ঘন্টা করে সময় বেঁধে দিলাম ফ্রেশ হওয়ার জন্য....কিন্তু ১ম জনই পুরো ০.৪৫মিনিট


২য় ভাইগনা চিল্লাচিল্রি শুরু না করলে মনে হয় ১ঘন্টাই যেতো.....

১ম জন বের হয়ে যে উক্তি দিলো "মামা ত্যাগেই পরম শান্তি" তাতে তারে কিছু বলতে পারলাম না...
এই ধাক্কায় পুরো ১.৪৫ ঘন্টা শেষ...যাক সবাইকে তাড়াড়ি বের হতে বললাম উদ্দ্যেশ্য স্বর্ন মন্দির....
ততক্ষনে ১০.৩০ টা বেজে গেছে। হোটেলের বাইরে এসে দেখলাম অটো রিশকা দাঁড়িযে আছে....ভাই কতক্ষন হইছে। আধাঘন্টা হয়ে গেছে......ঠিক আছে চলো....চলতে শুরু করলো অটো…… সাথে আমরা..
স্বর্ন মন্দিরে যাওয়ার এই রাস্তাটা খুব একটা ভালো পেলাম না....ড্রাইভার সুমনের সাথে কথা বলে জানা গেলো বান্দরবনের শহরের এই একটা রাস্তাই খারাপ আছে.....

ড্রাইভার বেটা কেমনে তাকাইয়া আছে দেখেন...
যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদী...কয়েকটি দৃশ্য....
আরো কয়েকটা ড্রাম তুলে দিতে পারতো...
যাক তখাপিও চলছি ছুটে হেলেদুলে.....রাস্তা খারাপের সাথে কপালটাই মনে হয় খারাপ হয়ে গেলো....




"উপাসনা চলছে।
দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ।
বেলা ২.০০টার পর দর্শনার্থীদের আসার জন্য অনুরোধ করা হইলো।"
কি আর করা


তার আগে দূর থেকেই স্বর্ণমন্দিরের কিছু ছবি তুলে নিলাম.........
এবার ছুটে চলা "মেঘলা"র প্রাণে....অটো ড্রাইবারের সাথে কথা বলে জেনে নিলাম....কম খরচে কিভাবে যাওয়া যায়.......তার ভাষ্যমতে বাসে করে চলে এলাম মেঘলা....
দেখে নিন....
ঘুরে বেড়াচ্ছি সেটা ঠিক আছে, কিন্তু এদিকে যে দুপুরে পেটে দানাপানি পড়ে নাই....পাহাড় বাইতে গিয়ে সেটা খবর হলো.....আর পথে পাকা পেপে দেখে জিভে জল এসে গেলো....নিয়ে নিলাম বেশ বড় সাইজের একটা পেপে....
আহা কি স্বাদ আর কি মিষ্টি....







তিনজনই আত্বতৃপ্তির ঢেকুর তুললাম.......
(চলবে)