সে কি অদ্ভুত চিন্তা তোমার ।...তোমার মেয়ে ও জামাইকে তুমি রেঁধে খাওয়াতে পারলেনা,তোমার ছোট মেয়েকে তুমি হাত দিয়ে খাওয়াতে পারলেনা তার বিয়ে ঠিক করা, তার জন্য একটা সুন্দর বর ঠিক করা ,তোমার ছোট ছেলের পরীক্ষা ও কি পড়ছে আরো কত কি চিন্তা ........আমি বুঝতে পারি না যার এখন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার সময় সে তখন অন্যের চিন্তা কি করে করে??
যে মানুষটি হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে নিজের চিন্তা না করে ঘরের সবার চিন্তা করতে পারে সে হলো "মা"। আর এ হলো মায়ের ভালোবাসা....
বাবার চেয়ে সন্তান গড়ার ক্ষেত্রে মায়ের প্রচেষ্টা অগ্রগন্য,মায়ের ভালোবাসা সর্বজনস্বীকৃত, সন্তানের প্রতি মায়ের মমতা , সহমর্মিতা চির অবধারিত, তাই সন্তানরাও তুলনামুলকভাবে মাকে বেশী ভালোবাসে...
ফলে মা ও সন্তানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তা হয়ে ওঠে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ন......ত্দার সন্তানদের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেন "পিতা মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, তাদের কেউ জীবিত থাকলে বা তাদের উভয়ই যদি জীবিত থাকে তাহেলে তাদের প্রতি "উহ" শব্দটি করোনা" ।
যে কারনে মহান আল্লাহ তাআলা সন্তান-সন্তানাদিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তার উদ্দেশ্য হলো ,দেশ ও সমাজকে আরো সুন্দর করা ।একজন সন্তান মায়ের সঙ্গে চমৎকার ব্যবহারের ফলে মা নিশ্চই আরো চমৎকার ব্যবহার করতে উদ্যত হন। ফলে সন্তানও সুন্দর ব্যবহারের প্রতি আকর্ষিত হয় এবং তা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয় ,যা কিনা সমাজেও প্রভাবিত হয়।তারা সমাজে বসবাসরত মানুষের সাথেও সুন্দর ব্যবহার করে থাকে।এতে করে আমাদের সমাজটাও সুন্দর হয়।
তাই আসুন আমরা সকলে মায়ের ভালোবাসায় অনুপ্রানিত হয়ে সুন্দর সমাজ গঠনে এগিয়ে আসি এবং সমাজটাকে সুন্দর করি।
( উপরের ঘটনাটি আমার বন্ধুর মা কে কেন্দ্র করে ,হাসপাতালে দেখতি গিয়েছিলাম ওনাকে ।তখনই ওনার সেসব চিন্তার কথা শুনতে পাই আর দেখতে পাই তার দুচোখের অশ্রু গাল বেয়ে পড়ছে...আমার নয়নও অশ্রু শিক্ত হয়ে উঠে, শিক্ত হয়ে উঠে মনের চোখ)