ছয়টি স্ক্রিনশট দিব। পাঠক একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, কিভাবে নাস্তিক অমি পিয়ালরা মিথ্যাচার করে বেড়ায়। বাঁশেরকেল্লার প্রতি অপবাদ দেয়ার লক্ষ্যে তারা কত মিথ্যাচারের আশ্রয়ই না নিতে পারে। আর শাহবাগিরা বুঝে না বুঝে এদের কথায় মাথা নাড়ে। একটু যাচাইয়ের শখটুকুও এদের মাথায় আসেনা। এজন্যই বলি, হায়রে পোড়া কপাল শাহবাগিরা, হায়রে নাস্তিকের দোসরেরা...
প্রথমেই বলে রাখি, রাত চারটার দিকে অমি পিয়ালের স্ট্যাটাসের ব্যাপারে আমার দৃষ্টি গোচর হয়। সঙ্গে সঙ্গে বাঁশেরকেল্লার স্ট্যাটাসটি খুঁজে বের করি। দেখি তা কোন প্রকার এডিটিং ছাড়াই মূল পোস্ট যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে, কেউ ডিলিটও করেনি, কেউ এডিটও করেনি। মিলিয়ে দেখলাম, পিয়ালের ওখানের স্ক্রিন শটের লিখা আর বাঁশেরকেল্লার দেয়া স্ট্যাটাসের অর্থের মধ্যে রাতদিন পার্থক্য, অথচ শব্দগুলো একই। অর্থাৎ পিয়াল বাঁশেরকেল্লার শব্দের বিন্যাসটা ফটোশপের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছে। আর অর্থ হয়ে গেছে এপাড় আর ওপাড়। কিন্তু পিয়ালের জন্য দুঃখের সংবাদ হলো, সে ফটোশপের এডিটিং করেছে ঠিকই কিন্তু প্রথম আলোর মত এতো নিখুঁত করতে পারেনি। এডিটিং এর মধ্যেও রেখে দিয়েছে ব্যাপক গলদ। আর এ গলদের মাধ্যমে সে হয়ে গেল বলদ। সেসব গলদ তুলে ধরেই আমার এ নোট।
১- বাঁশেরকেল্লার মূল স্ট্যাটাস, যেটা ১১ ঘন্টা আগে পোস্ট করা হয়েছিল (রাত চারটা থেকে ১১ ঘন্টা পূর্বে)। যাতে মূলত লেখা ছিল-
"আরাফাত রহমান কোকো’র ইন্তেকালে অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন প্রভাবিত হবে না।শোককে শক্তিতে পরিনত করে অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করার শপথ গ্রহণ করছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মীরা।" তার লিংক এখানে দেয়া হলঃ Click This Link
২- আর অমি পিয়াল বাঁশেরকেল্লার স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট নিয়ে ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করেছে নিজের মত করে। এবং সেটা অপবাদ চাপানোর চেষ্টা করেছে বাঁশেরকেল্লার প্রতি। পিয়ালের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হল।
একটা স্ট্যাটাস দিয়েই সে ক্ষ্যান্ত হয়নি। বারবার একটি মিথ্যা বলে তারা তা সত্য হিসাবে চালিয়ে দিতে চায়। গোয়েবলসীয় সে প্রক্রিয়া তারা সারাজীবন অবলম্বন করে এসেছে, এখনও করছে। যার প্রমান, তার কিছুক্ষন পরেই করা পোস্টের মধ্যে আগের পোস্টের রেফারেন্স টেনেছে।
সে স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট নিম্নে দেয়া হল-
যে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পিয়াল বাঁশেরকেল্লাকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে, তার ব্যাপারে চিন্তা করতে এবং এডিট করতে সে সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘন্টা। কিন্তু তারপরও ঠিকমত পারেনি। সময়ের ব্যাপারটি ছবির মধ্যে লালকালি দিয়ে বলা হল। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, শাহবাগিরা অনেকেই পিয়ালের এ স্ট্যাটাসে লাইক এবং শেয়ার মেরে দিয়েছে, চোখ বন্ধ করে। সামান্য একটু যাচাইয়েরও প্রয়োজন মনে করেনি। সেজন্যই তো শাহাবাগিদেরকে ছুপা ছাগু বলা হয়।
বাঁশেরকেল্লার স্ট্যাটাস দেয়ার পাঁচ ঘন্টা পরে তার এ পোস্ট। কেউ বলতে পারেন যে, তার স্ট্যাটাস দেয়ার পরে বাঁশেরকেল্লার পোস্ট এডিট করে দিয়েছে ? না, কোন প্রকার এডিট করা হয়নি।
১ নং ছবিটি দেখে আসুন অথবা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ১ নং ছবিটি আবার পোস্ট করব। সেখানে কোন প্রকার এডিটিং করা হয়নি। কারন এডিট করা থাকলে "edited" শব্দটি লিখা থাকে। যেমন, পিয়ালের ২ নং স্ট্যাটাসের মধ্যে এডিটেড শব্দ লিখা আছে।
৩- সর্বশেষ আরেকটি প্রমান হাজির করব যে পিয়াল কিভাবে বাঁশেরকেল্লার স্টাটাস এডিট করেছে, কিন্তু মেলাতে না পেরে ধরা খেয়েছে।
আগে স্ক্রিনশটটি ভাল করে দেখুন, তারপর বর্ননা করছি...
দুইটি শব্দের মধ্যেই যখন মাত্রা বের হয়ে থাকে তখন তাদের মাঝে স্পেস সব সময় সমান হয়। কতটুকু হয়, তা নীল বক্স দিয়ে মেপে মেপে দেখানো হয়ছে। কিন্তু দেখুন, মূল স্ট্যাটাসের যে কয়টি শব্দের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলোর মাঝের দুরত্ব খেয়াল করুন। সরকার শব্দের আগের "অবৈধ" শব্দটি তুলে এনে পিয়াল "ইন্তেকালে" শব্দের পূর্বে বসিয়েছে। কিন্তু মেলাতে পারেনি। কোকো'র আর অবৈধ শব্দের মাঝের স্পেস খেয়াল করুন। লাল বক্সের সম পরিমান জায়গা বেশী ফাকা রয়ে গেছে। আর স্বভাবতই ইন্তেকালে শব্দ ও সরকার শব্দের মাঝের স্পেস কিছুটা ঘাটতি পড়ে গেছে। আর এভাবেই সে বাঁশেরকেল্লার দেয়া স্ট্যাটাস "আরাফাত রহমান কোকো’র ইন্তেকালে অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন প্রভাবিত হবে না।শোককে শক্তিতে পরিনত করে অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করার শপথ গ্রহণ করছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মীরা।" কে পরিবর্তিতরূপে নিজের মত করে দেখিয়েছে। হায়রে পিয়াল, তোর নামের সামনেই বোধ হয় অবৈধ শব্দটি জুড়ে দেয়া দরকার..
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৭