১) বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে ভারতের ডিফেন্স
মিনিষ্ট্রির ৮০২ পাতার ইতিহাস লেখা আছে।
ওখানে ৯৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “মেজর জিয়া ২৬ তারিখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়াছেন।” কেবল তাই নয় জিয়া ”বাংলাদেশের
অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের (Temporary Head of
Republic)” দায়িত্বও গ্রহন করেছেন।
ණ২ চাব্বিশ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে একজন
বাঙালি অফিসার মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর
ভেসে আসে। এই ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি সেনা অফিসারগণ রাজনীতিক নেতাদের অসন্তুষ্ট করতে চাননি।
অন্যদিকে ইতিহাসের এই
সন্ধিক্ষণে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবার
আবশ্যকতা ছিল।
[The Liberation of Bangladesh, Vol. 1 (Delhi : Lancer Publishers, 1980) -৯পৃষ্ঠা ,মেজর জেনারেল সুখান্ত সিং]
৩। ১৯৭৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরে ভারতের
রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব
রেড্ডি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের
সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় তাঁর
প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ইতিমধ্যে আপনার
দেশের ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের প্রথম
স্বাধীনতা ঘোষণাকারী ও
সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার
সমুজ্জ্বল অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে”
[Bangladesh in International Politics, Dhaka,
UPL, 1993, P-96, মুহম্মদ শামসুল হক]
ණ
৪ চট্টগ্রামের আট ইস্ট বেঙ্গল
রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কম্যা ন্ড মেজর
জিয়াউর রহমান রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ
করেন এবং বেতার ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৭
মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা দান করেন। সেই
ঘোষণা অনেকেই শুনেছেন। যারা নিজ
কানে শোনেননি তারাও
মুখে মুখে চারদিকে প্রচার করেন।
[ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএফ আর জ্যাকব (JFR
Jacob), Surrender At DACCA : Birth of a Nation
- (Dhaka, UPL, 1997): ৩৪ পৃষ্ঠা]
ණ
৫ চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের
কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান (যিনি ১৯৭৬-৭৭ সময়কালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন) স্বল্পকালীন পরিসরে চট্টগ্রাম বেতার
কেন্দ্র দখল করেন এবং সেই কেন্দ্র
থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা দান করেন।
সেই ঘোষণায় তিনি বাংলার সকল সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাকিস্তান
বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান। শেখ
মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার আগে রেকর্ড করা তাঁর ঘোষণার পূর্বেই জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রচারিত হয় ("In fact, Ziaur Rahman's broadcast came a little earlier than Mujib's broadcast."- Ibid)
[Liberation And Beyond : Indo-Bangladesh
Relations, - (Dhaka, UPL, 1999) ৪২ পৃষ্ঠা ---
জে এন দীক্ষিত] বাংলাদেশে ভারতের প্রথম
ডেপুটি হাইকমিশনার যিনি ভারতের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
৬। সাতাশ মার্চ শনিবার রাত আটটায় রেডিওর
নব ঘুরাতে ঘুরাতে এই দেশের বেশ কিছু মানুষ
অদ্ভুত একটা ঘোষণা শুনতে পায় ... মেজর
জিয়া নামের কেউ একজন নিজেকে রাষ্ট্র প্রধান
ঘোষণা দিয়ে বলেন - 'আমি বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ঘোষণা করছি", তিনি সর্বাত্মক
যুদ্ধের ডাক দেন। দেশের মানুষের ভিতর
দিয়ে তীব্র ভোল্টেজের বিদ্যুতের শক
প্রবাহিত হয়....তাদের নেতিয়ে পড়া মেরুদণ্ড
একটি ঘোষণায় ঋজু হয়ে যায় ...তাদের চোখ ঝলমল করতে থাকে । একজন অচেনা অজানা লোকের কণ্ঠস্বর এতটা উম্মাদনা সৃষ্টি করতে পারে ভাবাই যায় না।
[জোছনা ও জননীর গল্প -- হুমায়ুন
আহমেদ]
ණ
৭ সাতাশ মার্চের সন্ধ্যায় মেজর জিয়াকে
দেখে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফেটে পড়ল বেতার
কেন্দ্রের কর্মীরা। ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টার পর
তিনি তাঁর সেই ঐতিহাসিক
ভাষণটি তৈরি করে নিজেই সেটি ইংরেজি ও বাংলায় পাঠ করেন। মেজর জিয়া ওই ভাষণে নিজেকে হেড অব দি স্টেট, অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধান রূপেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার পরের দিন আগের দেয়া বেতার ভাষণটির সংশোধন
করে তিনি ঘোষণা দেন যে এই মুক্তিযুদ্ধ
তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমানের
পক্ষে।
[মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ,
মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস (ঢাকা, আহমদ
পাবলিশিং হাউস, ১৯৭২)
-৪৩-৪৪ পৃষ্ঠা]
(ভ্রান্তি স্বাভাবিক, এক্ষেত্রে রেফারেন্সের সূত্র ধরে যে কেউ বইগুলো পড়তে পারে, এবং অন্যান্য বইপত্রও। বোধকরি ইতিহাস জানার জন্য আওয়ামি বিএনপি নেতাদের গালের দিকে যারা তাকিয়ে থাকে তারা নির্বোধ এবং লেজুড়
ফেসবুক থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:০৪