somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনৈক হতাশাবাদীর কবলে আমরা

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেটা অংক করছিল , “একটা কাজ একজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী একদিনে করতে পারে , কাজটি ১ জন নারী ৪ দিনে করতে পারে , তাহলে একজন পুরুষ…….

“চাচী, আঙ্গুরদের বাড়িতে তো পুলিশ আসছে ”

আহা আঙ্গুর আপা , ছেলেটি , যাকে আমরা এখন থেকে ফারুক আব্দুল্লাহ বলে জানবো , সে চঞ্চল বোধ করতে থাকে ।
খুনের মামলায় প্রতিবেশিনী গ্রেফতার হবে , এক বেশ তরতাজা আঙ্গুর , পাড়ার বিভিন্ন বয়সী মানুষের ঘুম হারাম করা আঙ্গুর , ছেলে ছোকড়াদের স্বপ্নগুণের সবথেকে বুনো কল্পনাটা পুলিশি ঝামেলায় পরে যাবে , আর লোক জমবে না ? সুতরাং আমরা ফারুক আব্দুল্লাহকে আঙ্গুরদের বাড়ির সামনের জমায়েতে সনাক্ত করি , একটা ঢিলেঢালা হাফপ্যান্ট আর সাদা একটা হাফ সার্ট পরা ছিল বোধ হয় , কিংবা লাল ঠিক মনে করতে পারছিনা , কারণ এরপর বহুবছর পর আমরা একটা পানশালায় মিলিত হই । কিন্তু ঐ জমায়েতে ফারুক আব্দুল্লাহকে আমরা বেশ লক্ষ্য করি , ছেলেটার কৈশোর ছিল বড় বেশী বিপর্যয়কর , হাফপ্যান্টের ভেতরে দুটো পা কেমন বেসামাল দৈর্ঘ্য বিস্তার করেছে , কণ্ঠটা কেমন যেন , বেসুরো , আমরা ঐ জমায়েতে ফারুক আব্দুল্লাহকে লক্ষ্য করতে বাধ্য হই , কেননা আঙ্গুরদের বাড়িতে যে ছেলেটা কাজ করতো শাহীন , সে ছিল ফারুক আব্দুল্লাহর বয়সী , যে আঙ্গুরদের বাড়ির লাগোয়া পুকুরে মরে ভেসেছিল । যার খুনের জন্য আঙ্গুরদের থানায় যেতে হয় , আমরা এই খুনের ব্যাপারটা নিয়ে ভাববো , ফারুক আব্দুল্লাহর সাথে আমরা যখন পানশালায় মিলিত হব তখন ।
১৩ আর আঠারো যে দূরত্বটা , সেটা ত্রিশ আর পঁয়ত্রিশে অত অর্থবহ থাকেনা , আমার যখন ফারুক আব্দুল্লাহকে , তার পরিবার সহ চিনতে পারি , তখন সে আমাদের কাছে নেহাত ছেলেমানুষ , আমরা বেশ পাড়ায় ক্লাব ঘরে লুকিয়ে সিগারেট টানি , আমাদের কারো কারো আবার প্রেম ট্রেম হয়েছে , আমাদের এই দঙ্গলটা ছিল চৌকোস , আমাদের স্বপ্ন ছিল উপরে উঠার , মাসের শেষে বাবা মায়ের চাপা ঝগড়া , কারো কারো বাড়িতে যেটা বিস্ফোরিত হয় , পরদিন আমাদের ভেতরের তারা ভীষণ লজ্জিত হয়ে থাকতো , হয়তো আমাদের কারো বাবা তার সন্তানকে বকছে “শুয়োয়ের বাচ্চা, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তোদের পড়াশুনার টাকা নিয়ে আসি , তাও এই রেজাল্ট , অমুকেরা কিভাবে পারে …………” আমরা এই কথোপোকথন শুনে থাকলেও তা এড়িয়ে যেতাম , আমরা আসলে দিন বদলের স্বপ্ন দেখতাম , আমরা বড় কিছু হতে চাইতাম , আমরা মহৎ হতে চাইতাম , কিছুটা শৈল্পিক । আমরা আমাদের পরিবারের সুখের গল্প করতাম , আমরা প্রেম করতাম , আমরা কবিতা পড়তাম , সুনীল কিংবা হুমায়ূনের প্রেমের গল্প উপন্যাস পড়ে জোশ পেতাম , আমরা সফল প্রেমিক হতে চাইতাম । প্রেমপত্র লিখছি , এই সময় মা কাজের মেয়েকে যাতা গালিগালাজ করছেন , আমরা এড়িয়ে যেতাম , আমরা বেশ মন দিয়ে পড়তে চাইতাম , কারণ ঐ দমবন্ধ সময় থেকে উত্তরণের একটাই সিঁড়ি ছিল আমাদের , আমাদের পেছনে ফেরার নেই , আমাদের বাবারা ঘোর গ্রাম থেকে এই মফঃস্বলে হিজরত করেছেন , লজিং থেকে থেকে একটা কেরানী , কিংবা স্কুলমাস্টারি জোগাড় করেছেন , কিংবা ভাইবোনদের মধ্যে আমাদের পিতাই দুই তিনটা পাশ দিয়ে কোন ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার , বাকিরা সব গ্রামে , আমাদের অনেকের চাচাতো ভাইবোনেরা বিশ্বাস করতো শহরে আমাদের বাবারা অনেক কিছু করে ফেলেছেন , একই বাবার সন্তান কেউ গ্রামে আর কেউ শহরে , এর ভেতরে তারা একধরণের চাতুরী দেখতে পেতেন , আমাদের শেকড়ের সাথে অবিশ্বাসটা ছিল পাকাপাকি , আমরা তাদের লুকোতে চাইতাম , আর তারা প্রত্যাশা করতো আমাদের ভেতর প্রকাশিত হতে । আমাদের বাড়িগুলো ছিল একেকটা আলাদা নৌকার মত বিচ্ছিন্ন , ভ্যাপসা হলুদ আলো আর দীর্ঘশ্বাসে ভারী , আমাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দুঃখ ছিল , আমাদের বাবাদের আলাদা আলাদা দুঃখ ছিল , আমাদের মায়েরাও দুঃখী ছিলেন ।

ফারুক আব্দুল্লাহর সাথে এরপর আমাদের দেখা হয় আমাদের এক্স স্টুডেন্টদের কোন গেটটুগেদারে , পেটমোটা এক মন্ত্রীর শুভেচ্ছা বক্তৃতা যখন শুরু হয় আমরা উশখুশ করতে থাকি , খবর পাই মদের ব্যবস্থা আছে , তবে একটু গোপনে খেতে হবে , আমরা আড়াইতলার ছাদে যাই , চেয়ারপাতা আছে , একটা চব্বিশ পঁচিশ বছরের ছেলে তার প্রেমিকাকে নিয়ে রং ঢং করছে , যা দেখে আমরা একটু বিরক্ত হব হব করছি , সেসময় আমরা একটা কোনের চেয়ারে ফারুক আব্দুল্লাহকে বসে থাকতে দেখি , এবং আমরা লক্ষ্য করি সে একমনে ঐ যুগলের দিকে চেয়ে হাসছে । আমাদের সাথে তার দৃষ্টি বিনিময় হলে সে হাতের গ্লাসটা নিয়ে উঠে আসে এবং একটা আন্তরিক হাসি দেয় । সে কোন একটা অ্যাড ফার্মে কাজ করতো , আর কোন একটা চ্যানেলে নিউজ পড়ত । আমরা তার খবর জানতে চাই , সে বিয়ে করেছে কিনা , তার বাবা মা জীবিত কিনা , কিংবা তার বড় বোনটা কেমন আছে ।
আমাদের ঐ মহল্লায় ফারুক আব্দুল্লাহর পরিবারটা ছিল কেমন জানি শান্ত , ছিমছাম । ওর বড়বোন মোমের পুতুলের মত দেখতে ছিল , আমাদের মধ্য যে সবথেকে ভাবুক স্বভাবের তার সাথে ওর বেশ ভাব হয়েছিল , আমরা আমাদের ভেতর তাঁকে দেখতে পাই , ও বেশ নাম করা ভালোছাত্র ছিল , সরকারের কোন একটা বিভাগের বেশ ভবিষ্যৎ থাকা একজন প্রকৌশলী । হ্যাঁ আনিস , ও জিজ্ঞেস করে , সোমার কথা , সোমা এখন কি করে , ওর বিয়ে হয়েছে কি না , ফারুক আব্দুল্লাহ জানায় তার বোন বিবাহিতা , এবং তার বোন দুই সন্তানের জননীও । আনিসের আগ্রহটা আমাদের কাছে বেশ স্বাভাবিক লাগে , আনিস আর সোমার চিঠিগুলো ছিল অন্যরকম , ঠিক আমরা যেমন লিখতাম , তোমাকে অনেক ভালবাসি , তোমার পাগল করা হাসি , তোমার জন্য মরে যেতে ইচ্ছা করে এই রকম কোন আবেগ ছিলনা , সোমা লিখত কেবল তার দিন যাপন নিয়ে , তার এখন কোথা যেতে ইচ্ছে করছে , পাখির রং , গাছের শব্দ , ঝমঝম বৃষ্টি , অথবা অর্থহীন বকবক , মাঝে আলগোছে হটাত খুব নরম করে জিজ্ঞেস করা আপনাকে বড় চুলে কি পবিত্র দেখায় , এইসব অদ্ভূত কথা ।
তবে খুব স্বল্পায়ু ছিল সময়টা , সোমারা তাঁদের নিজেদের বাসায় উঠে যায় , যেটা আমাদের পাড়া থেকে একটু দূরে , আর আমাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় , এরপর সোমার সাথে আনিসের ব্যক্তিগত পর্যায়ের যোগাযোগ ছিলনা কখনো । ফারুক আব্দুল্লাহ গ্লাসে মদ ঢালে , আমরা গ্লাস শেষ করি , আমরা আবার সিক্ত হই , আর পানপাত্র ভরতে থাকি , আমরা লঘু কথা বলি , আমাদের স্ত্রী সন্তানদের কথা হয় , রুটি রুজির কথা হয় , অফিসের বসের কথা হয় , আয় উন্নতির কথা হয় , আর হটাত করে আঙ্গুরের কথা হয় , ঐ হাফপ্যান্ট পড়া ছেলেটা যে রকম উত্তেজনায় আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল সতের আঠার বছর পর অবিকল ঐ ভাবেই জিজ্ঞেস করলো “আঙ্গুর আপা শাহিনকে মেরে ফেলেছে ??” আমরা অবাক হই , আমরা এটা ভেবে অবাক হই , ফারুক আব্দুল্লাহ ব্যাপারটাকে আজো “খুন ” বলছে না কেন , ফারুক আব্দুল্লাহ আমাদের দিকে তাকায়, একটু নড়েচড়ে বসে , তার ভ্রূ কপালের তিন চারটা ভাঁজের সাথে কোন স্বাস্থ্যকর জ্যামিতি তৈরি না করতে পারার ব্যর্থতায় আমাদের দিকে প্রশ্নবোধকতা জারি করে , আমরা অপেক্ষা করি ,
আর আনিস আমাদের মধ্য থেকে মিলিয়ে যায় , ফারুক আব্দুল্লাহ হাসে , আমরা অনুভব করি আমরা আসলে ফারুক আব্দুল্লাহর কথা শুনতে চাই , সে নাকি বেশ বেসামাল জীবন বেছে নিয়েছে , আমরা আগ্রহী হয়ে উঠি তার কথার জন্য
সে হটাত দাঁড়িয়ে যায় , মদের প্রভাবে আমরা ভুলে যাই , যে এটা নেহাত একটা আড্ডা , এখানে কারো বক্তার মত দাঁড়িয়ে যাওয়াটা কেমন যেন , যেহেতু আশেপাশে লোকজন আছে , কিন্তু আমাদের চোখে স্বাভাবিক বলে অনুমোদিত হয়
ফারুক আব্দুল্লাহ তার ধরা গলায় বলতে থাকে
”আমি আসলে প্রতারিত হয়েছি , আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্নভঙ্গের শিকার হয়েছি , আমি প্রথম চুমু খাবার পর , বাসায় গিয়ে কেঁদেছি , কারণ আমার চুমুকে যে রকম মনে হয়েছে সেটা আসলে তেমন না , আমি মদের ঘোরকে যেমন ভেবেছি , যেরকম কল্পনা করেছি , সেটা পান করবার পর আমি দেখেছি , সেটা আসলে তেমন না , সাফল্যকে যতটা উত্তেজক ভেবেছি সেটা তেমন নয় ”
ফারুক আব্দুল্লাহ থামে , সে তার গ্লাস ভরে নেয় , আর আমরা খালি করি ।
ফারুক আব্দুল্লাহ বলতে থাকে
“আমরা আমাদের বাবাদের জীবনকে ঘেন্না করতাম , আমরা আমাদের মায়ের দুঃখকে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবতাম , কিন্তু অবিকল সেই জীবন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে , আমরা ভাণ করি প্রতিনিয়ত, আমাদের বাবাদের মত , আমাদের স্ত্রীরা আমাদের বোনেরা ভাণ করে সর্বদা , যেন আমাদের মায়েরা নিয়ত প্রতিফলিত হছে তাদের ভেতর , আমরা আমাদের সন্তানদের মাথা নিচু করতে শেখাই শক্তির সামনে , যেমন আমাদের পিতারা শিখিয়েছেন আমাদের , আমাদের মায়েরা যেমত তাদের জীবনকে বেঁধেছেন আমাদের ভেতরে , আমাদের পিতারা যেমন আমাদের উপর বর্তেছেন তাঁদের আকাংখার বোঝা , আমরাও তাই করছি । ” এবার আমরা কিছুটা ভাবনায় পড়ে যাই , আমার এটার ভেতর একটা সত্যতা অনুভব করি , শরীরে মদের প্রভাব না থাকলে হয়তো আমরা এর প্রতিবাদ করতাম , আমরা চিৎকার করে আমাদের সামগ্রিক সংগ্রামের কথা বলতাম , বলতাম আমাদের দিন বদলের কথা , আমাদের সুন্দরী স্ত্রীদের কথা , যারা আমাদের মায়েদের মত দুঃখী নয় , আমরা আমাদের বাবাদের মত গম্ভীর নই ।
এবার ফারুক আব্দুল্লাহ আবার শুরু করে , তার চোখে নৈরাজ্য আর কন্ঠে শ্যাওলা , “আমাদের সম্পর্কগুলো ছিল বড় দেয়া নেয়ার , আমরা আলাদা আলাদা ভাবে অনিরাপদ ছিলাম , আমরা নিরাপত্তার খোঁজে এক ছিলাম , আমরা আমাদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে চেয়েছি , আমরা আমাদের ক্ষয়কে ঢেকে যেতে শিখেছি , আমাদের সমস্ত না পাওয়াকে আমরা আমাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি , যেমন আমাদের পিতারা দিয়েছেন , আমরা আসলে আমাদের অবদমন , আমাদের ভীতিকে ত্যাগ বলে চালাতে শিখেছি , আমরা অসুখী দাম্পত্য সহ্য করি এই বলে যে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভেবে আমরা এক আছি , কিন্তু সত্য হল আমাদের আসলেই আলাদা হবার ক্ষমতা নেই , আমাদের কোন অতীত নেই , আমাদের যে বর্তমান তা কেবল একটা নিরাপদ ভবিষ্যতের বিনিয়োগ মাত্র ”
ফারুক আব্দুল্লাহ এবার বসে , তাঁকে খানিকটা নির্ভার মনে হয় । সে এবার কণ্ঠ নিচে নামায় , অপ্রয়োজনীয় সতর্কতায় চার দিক দেখে নেয় , আড়াইতলার সব টেবিল খালি , নিচে ডিনার দেয়া হয়েছে মনে হয় ।
“জানেন আমি আঙ্গুর আপার কাছে খুন হতে চেয়েছিলাম, আমার আজও সন্দেহ হয় , খুনটা আদৌ আঙ্গুর আপা করেন নাই , কিন্তু শাহিনকে আমার খুব হিংসা হত , আমার মনে হত ……. ” আমার ফারুক আব্দুল্লাহর ব্যাপারটা ধরতে পারি , ঐ বয়সে আমাদেরও অমন জীবন্ত কিছু কল্পনা ছিল , কিন্তু আমার ফারুক আব্দুল্লাহর জন্য কষ্ট অনুভব করি , কারণ আমাদের মত ফারুক আব্দুল্লাহও জানে আঙ্গুর আপার ব্যাপারটা , আঙ্গুর আপাকে আমরা বহুবছর ধরে বি এ পড়তে দেখেছি , তার সাথে অনেকের অনেক রকম সম্পর্ক ছিল , তার স্তাবকদের দলে আমাদের এলাকার একজন গুন্ডামত কমিশনার ছিল , যদিও সে বিবাহিত , কিন্তু আঙ্গুর আপার সবথেকে বেশী অধিকার ছিল তাঁর , একবার আমাদের গ্রাম থেকে আসা এক চাচাত ভাইয়ের সাথে আঙ্গুরের প্রেম প্রেম মত হয়েছিল , ঐ কমিশনার এসে শাসিয়ে গিয়েছিল
শাহিনের ব্যাপারটা এর বেশীদূর যায়না , আঙ্গুর পরদিন ছাড়া পায় , সম্ভবত তাঁর কমিশনার প্রেমিকের এখানে কোন অবদান থেকে থাকতে পারে ।
কিন্তু আঙ্গুর অনুভব করে আরও পরে সে কমিশনারের রক্ষিতা ছাড়া কিছুই নয় ,
এটা নিয়ে হয়তো তাদের কথা কাটাকাটি হয়
কিংবা অন্য কিছু
আমরা জানতে পারিনা , কেননা আমরা জানতে চাইতাম না , আমরা আঙ্গুর আপাকে ভয় পেতাম , ফারুক আব্দুল্লাহর সাধ ছিল খুন হবার , কিন্তু আমরা খুন হবার ভয় পেতাম ।
আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাই , কোন এক ছুটিতে ফিরে আমরা জানতে পারি , আঙ্গুর পাগল হয়ে গেছে , কিন্তু যে খবরটা আমরা ভুলে যেতে চাই , কিংবা যে কথাটা আমরা নিজেদের কাছে নিজেই গোপন করি , তা হল আঙ্গুর আপা ধর্ষিত হয় ।
তাদের বাড়ির লাগোয়া পুকুর পাড়ে
হয়তো চারজন কিংবা পাঁচজন পুরুষ ছিল

এবং আমরা নিজেদের এটা বোঝাতে সক্ষম হই , আঙ্গুর আসলে কর্মফল ভোগ করছে ।
ইতোমধ্যে আমাদের মদের ঘোর কাটতে শুরু করে
আমাদের স্ত্রীরা আমাদের ফোন দেয় , আধো আধো কণ্ঠে আমাদের সন্তান আমাদের জানায় তাদের প্রতীক্ষার কথা
আমরা ফারুক আব্দুল্লাহর মাতাল বাহাসে যেমত বিভ্রান্ত হয়েছিলাম , তা কাটিয়ে উঠতে শুরু করি । আমরা অনুভব করি ফারুক আব্দুল্লাহর ব্যবচ্ছেদে বড় বেশী নৈরাশ্য , ও বড় বেশী জাজমেন্টাল

ফারুক আব্দুল্লাহ আমাদের সামনে থেকে মিলিয়ে যেতে থাকে

আর বাসা ফিরতে ফিরতে কোন এক সিগন্যালে, লাল বিধিনিষেধে আমাদের আঙ্গুরকে মনে পড়ে , যার হাতে ফারুক আব্দুল্লাহ খুন হতে চেয়েছিল ।
১০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×