হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি মেদিনীর পথে,
বঙ্গোপসমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে গভীর সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; কেওক্রাডাং পাহাড়ের রহস্য জগতে
বহুকাল নিমগ্ন ছিলাম; আরো দূর অন্ধকারে পাবনা নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারি দিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল টালিগাঁ'র সুচিত্রা সেন।
চুল তার কবেকার গাঁজাখোর মাতালের নিশা,
মুখ তার দ্য ভিঞ্চি'র কারুকার্য; অতি দূর সমুদ্রের পর
বৈঠা ভেঙে যে মাঝিটি হারায়েছে দিশা
হরিৎ শর্ষের ক্ষেত যখন সে চোখে দেখে সেন্ট মার্ট দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘কতদিন পরে এলেন! আগে নাস্তা করেন।’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তোলে টালিগাঁ'র সুচিত্রা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে দানবের চিৎকারের মতন
বিকট শব্দে ট্রাক আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে বক;
শহরের সব বাতি নিভে গেলে জেনারেটর করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জলরঙে ছবি আঁকে রুপসিনী কবি শায়মা হক;
সব স্বামী ঘরে আসে - সব স্ত্রী - ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে দুটো বেত-চেয়ার, পাশাপাশি বসিবার সুচিত্রা সেন।
**
'সুচিত্রা সেন', একুশে বইমেলা ২০১৯
উল্লেখ্য, আপনি যতবারই ডাউনলোড করুন না কেন, এই লিঙ্কে 'সুচিত্রা সেন' কবিতাটি পাবেন না।
**
আজকাল নকল-ফকলের যে হিড়িক পড়ছে, কে আবার এসে খাড়াইয়া যায়- এইটা তো আমার কোবতে, আপনে চুরি করছেন। কে চোর, কে মালিক, এটা প্রমাণ করাই তখন দায় হবে। এজন্য এই ডিসক্লেইমার। এটা আমার অরিজিন্যাল পোয়েম। নিজ আঙ্গুলে লেখা। জীবনানন্দ দাশ বা জাহিবুল দাশ, কারো কবিতা থেকেই আমি এই কবিতা নকল করি নাই। বরঞ্চ, আমি খুবই শঙ্কিত যে আমার এ যুগান্তকারী সৃষ্টি যুগ যুগ ধরে নকলবাজ কবিরা চুরি করে স্বনামে বেনামে বইয়ে ছাপিয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের প্রতি আমি তেব্র নিন্দা জ্ঞাপন করিতেছি। উল্লেখ্য, এটা আমার ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'সুচিত্রা সেন' বইয়ের অন্তর্গত।
***
উৎসর্গঃ বনলতা খান