মেমসাহেব
অহনা আমাকে বলে : যেদিন তুই ‘মেমসাহেব’ পড়বি, সেদিন আমাকে ভালোবাসতে শিখবি, আমার মতো করে। অহনা বলে : তোকে একটা ‘মেমসাহেব’ কিনে পাঠাই? অহনা তারপর আক্ষেপ করে : এতো পড়েছিস, আর ‘মেমসাহেব’ পড়িস নি? শেষমেষ অহনার স্বগতোক্তি : তুই জানলি না তোর ‘মেমসাহেব’টা খুন হয়ে গেলো, শুধু ভালোবেসে বেসে; তোকে!
অহনার রূপকথা
জানি না কী তার গাত্রবর্ণরূপ। জানি না তার নদীর লাবণ্য ছিল কী না-ছিল। বড্ড মনে পড়ে নি এসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ বাহ্যিকতা। আমি তার বলয়বন্দি প্রেমাসক্ত পুরুষ, যুগযুগান্তকাল। আমি তার বাহির দেখি নি; খুঁজেছি অন্তরের হেমখণ্ডখনি।
কী হবে তার গাত্রবর্ণরূপে, যদি গো তার প্রেম নাহি মেলে!
যেভাবে অহনার কথা ভুলে যেতে থাকি
অহনার কথা বলি। অহনা স্বপ্ন দেখে দিনভর অহনাকেই ভাবি। অহনা বললো : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে অহনাকে নিয়ে আর লিখি না।
তারপর দেখো, অহনাকে কেমন অনায়াসে অতীত পাথারে ডুবে যেতে দেখি। অহনা মানবী ছিল : প্রেমিকা হতে হতে তারপর মহীয়সী। পবিত্র প্রত্যূষে অহনার উদ্ভাসিত হাসি আমাকে করেছিল মৃত্যুঞ্জয়ী পাখি।
অহনা বলেছিল : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে আর লিখি না।
এভাবেই অহনার কথা বিলকুল ভুলে যেতে থাকি।
বিষঠোকরা
তুই আমারে মাঝে মাঝেই ভুলে যাস, তাই না?
আমিও তোরে ছেড়ে যেতে পারি, কিন্তু যাই না।
শুনে রাখ্ তুই আফরিনা,
আমার জীবন এমনই কেটে যাবে; তাই কারো লাগি আর কাঁদি না।
সব শেষে অনুরোধ করি, হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়ে কাঁচা ঘায়ে প্লিজ ঠোকরাবি না
অহনা : আকারে-সাকারে
অহনা একটা ভোরের পাখি, কিংবা ভোরের রং অথবা রাগ। কিংবা একটা স্বপ্নঘোর ঊষা। ভোর। অহনা আলেয়া কিংবা মরীচিকা। অহনা কে, তা সত্যিই জানি না।
পুরোনো