somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অহনা : সাকারে-নিরাকারে

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মেমসাহেব


অহনা আমাকে বলে : যেদিন তুই ‘মেমসাহেব’ পড়বি, সেদিন আমাকে ভালোবাসতে শিখবি, আমার মতো করে। অহনা বলে : তোকে একটা ‘মেমসাহেব’ কিনে পাঠাই? অহনা তারপর আক্ষেপ করে : এতো পড়েছিস, আর ‘মেমসাহেব’ পড়িস নি? শেষমেষ অহনার স্বগতোক্তি : তুই জানলি না তোর ‘মেমসাহেব’টা খুন হয়ে গেলো, শুধু ভালোবেসে বেসে; তোকে!



অহনার রূপকথা

জানি না কী তার গাত্রবর্ণরূপ। জানি না তার নদীর লাবণ্য ছিল কী না-ছিল। বড্ড মনে পড়ে নি এসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ বাহ্যিকতা। আমি তার বলয়বন্দি প্রেমাসক্ত পুরুষ, যুগযুগান্তকাল। আমি তার বাহির দেখি নি; খুঁজেছি অন্তরের হেমখণ্ডখনি।

কী হবে তার গাত্রবর্ণরূপে, যদি গো তার প্রেম নাহি মেলে!



যেভাবে অহনার কথা ভুলে যেতে থাকি


অহনার কথা বলি। অহনা স্বপ্ন দেখে দিনভর অহনাকেই ভাবি। অহনা বললো : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে অহনাকে নিয়ে আর লিখি না।

তারপর দেখো, অহনাকে কেমন অনায়াসে অতীত পাথারে ডুবে যেতে দেখি। অহনা মানবী ছিল : প্রেমিকা হতে হতে তারপর মহীয়সী। পবিত্র প্রত্যূষে অহনার উদ্ভাসিত হাসি আমাকে করেছিল মৃত্যুঞ্জয়ী পাখি।

অহনা বলেছিল : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে আর লিখি না।

এভাবেই অহনার কথা বিলকুল ভুলে যেতে থাকি।



বিষঠোকরা


তুই আমারে মাঝে মাঝেই ভুলে যাস, তাই না?
আমিও তোরে ছেড়ে যেতে পারি, কিন্তু যাই না।
শুনে রাখ্ তুই আফরিনা,
আমার জীবন এমনই কেটে যাবে; তাই কারো লাগি আর কাঁদি না।
সব শেষে অনুরোধ করি, হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়ে কাঁচা ঘায়ে প্লিজ ঠোকরাবি না



অহনা : আকারে-সাকারে

অহনা একটা ভোরের পাখি, কিংবা ভোরের রং অথবা রাগ। কিংবা একটা স্বপ্নঘোর ঊষা। ভোর। অহনা আলেয়া কিংবা মরীচিকা। অহনা কে, তা সত্যিই জানি না।



পুরোনো
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
১২টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চলছে শোঅফ ব্যাবসা ........ ;)

লিখেছেন সোহানী, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৮



হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে মানব মনের ছয়টি সহজাত দোষ বা ষড়রিপু হলো কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য। বা সহজ ভাবে বলা যায়, কাম (lust) হলো লালসা, ক্রোধ (anger)... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনার অপসারণ কি সমাধান ছিল, নাকি আরও বিপর্যয়ের শুরু?

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪

শেখ হাসিনার অপসারণ কি সমাধান ছিল, নাকি আরও বিপর্যয়ের শুরু?
দেশজুড়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল, তখন অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকারই সমস্ত সমস্যার মূল। বলা হয়েছিল, তিনি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির পিতাকে অস্বীকার করে, স্বাধীনতার সংগ্রাম কে অস্বীকার করে রাজাকার রা আমাদের আওয়ামী লীগ সমর্থন করাতে বাধ্য করে বারং বার।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩


আমরা যারা কোন দলের পদ পদবি তে নাই। এমনকি আমার কলেজের রাজনীতি জড়িত বন্ধুর সাথেও মেশা বন্ধ করেছিলাম আমরা চার জনের সার্কেল। দলীয় রাজনীতি বড়ই খারাপ জিনিস। মাইর খাওয়া মাইর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভিন্‌গ্রহে মিলল প্রাণের অস্তিত্ব! ১২৪ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহে কি প্রাণের স্পন্দন?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২



জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁরা পৃথিবীর বাইরে কে২-১৮ বি গ্রহে জীবনের সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে দু’টি রাসায়নিকের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ : দেশের উন্নয়নের জন্য আসন বাড়ানোর বিকল্প নেই

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৮


নারী অধিকার নিয়ে কথা উঠলেই কিছু ভদ্রলোকের ঘুম ভেঙে যায়। রাষ্ট্র নড়েচড়ে বসে—একটু যেন ‘স্মার্ট’ ভাব ধরে। সেই ভাবেই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সুপারিশ করলো, সংসদের আসন সংখ্যা ৬০০ করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×