হে দূরবর্তী বাতিসমগ্র, তোমরা জ্বলে ওঠো এবং আলো দাও, হাসো এবং আনন্দ ছড়াও, তোমরা একেকটা নিশানা মনোরম ঘোরের মতো যুগপৎ নিভে যাও
হে সুরঞ্জিতা, শত শত বিস্ময়প্রদীপের জননী, তোমার অজর আলোর কারুকাজ ইথারে জেগে থাকে, এমনকি তুমি ঘুমিয়ে গেলেও- যেমন এখন
হে শতরূপা, অভ্রচারিণী কুহেলিকা, তোমার অন্তর্ধানের পরও আমাদের বন্দনায় জেগে থাকে তোমার মোহিনীকুহক উদ্ভাস- যেমন এখন
হে অনামিকা, যতোদূর জানা যায়, তোমার নিজস্ব কোনো নাম নেই; অথচ সকল নামের গভীরে তোমার বাস; আমরা তোমার কোনো ঠিকানা জানি না, কিন্তু 'ঘরে ঘরে তোমার ঘর আছে' তবু;
হে অপ্সরীকন্যা, নভোনিবহের তারার ভিড়ে তোমাকে দেখি, সোঁদা ফুলের গনগনে গন্ধ তোমার নিরঞ্জন শরীরে; তুমি এক তুমুল বিপুল রূপস্বরা; সহজেই ছুঁয়ে দাও, অথচ আজন্ম দূরবর্তী, অনিশ্চিত, অধরা।