রাতভর ঝরে পড়ে গন্ধবকুলের নরম বয়স
এক আঁজল মেঘ গলে গেলে সূর্যের নিপুণ আভাসে ঘুম ভাঙে বিলাসী পাখির
তখন সুরগুলো দূরে মিশে যায়, মরা সারণির বিষণ্ন স্রোতের মতো
একদিন কলাপাতা এ দেহে কাঁপন তুলেছিল। তোমার শরীরে
তালতমালের ঘ্রাণ ঘুরপাক খেতে খেতে ফুটিয়েছিল অসহ্য কামরাঙা ভ্রূণ
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কবি হয়ে জন্মায়, প্রতিটি মানুষের মনে
কবিতার বীজ খোসা ছিঁড়ে উঁকি দেয় আশ্চর্য বাদলের গানে
তোমার বহ্নিমান দ্রোহের শরীরে অনাভাষ কবিতারা দুর্মর দুঃখের মতো
আমাকে বাণবিদ্ধ রক্তাক্ত করে নিজ্ঝুম গোপনে
হে অস্থির, আমার সুন্দর, ঐ শোনো, সংশপ্তক কবিতারা পাষাণ ভেদ করে
তীরবেগে ছুটছে অমর সত্ত্বায়।
এসো; কালের পাখায় আমিও আছি।