কতো যোজন দূরে তুমি থাকো, তবুও মনে হয় আমার ঘরের পাশেই তোমার ঘর
এবং হঠাৎ একদিন দেখা হয়ে যাবে দরজায় কড়া নাড়বার কালে
সহসা সচকিত চোখে দুজন দুজনার দিকে তাকাবো বিস্ময়ে।
একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে তোমার-আমার
বইমেলার সরণিতে আনমনে হাঁটছো তুমি, অথবা মধুর ক্যান্টিনে একদিন, অথবা
টিএসসিতে, অথবা চারুকলায়, অপরাজেয় বাংলার গোলচত্বরে, কলাভবন অথবা
রোকেয়া হলের সামনের রাস্তায় একাকিনী, বিষণ্ণতায় সর্বাঙ্গ মেখে
তুমি বসে- কে যেন ছিল, চলে গেছে, কোনোদিনও ফিরবে না আর।
পাবলিক লাইব্রেরিতে, শাহবাগের মোড়ে, নিউমার্কেটের অলিতে-গলিতে
কিংবা ধরো গাউছিয়া বা ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিতে সিঁড়ি বেয়ে উঠবার কালে-
সতত ম্লান-বেদনার্ত তোমার অবয়ব-
কে যেন ছিল- চলে গেছে- কোনোদিনও ফিরবে না আর।
কে যেন ছিলো- চলে গেছে- কোনোদিনও ফিরবে না আর
সতত ম্লান-বেদনার্ত তোমার অবয়ব :
তুমি ভালো নেই
তুমি ভালো নেই
তুমি ভালো নেই
ভালোবাসা হারানোর মতো বেদনা নেই আর কিছুতেই
কে যেন ছিলো- চলে গেছে- কোনোদিনও ফিরবে না আর।
ফিরে আসা নয়- তবু একদিন ফিরে আসা-
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার, যা তুমি পাও নি কোনোদিনও, হাতের মুঠোয় তুলে সবটুকু
একদিন দাঁড়ালো সে তোমার সামনে সহসাই
কে যেন ছিল, চলে গেছে- কোনোদিনও ফিরবে না আর।
একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে তোমার-আমার
দৌড়ে ছুটন্ত বাসে চেপে বসতেই দেখবো সামনের সারিতে তুমি বসে।
একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে কোনো রাস্তায়, ফুটপাতে উদাসীন হাঁটতে হাঁটতে
রমনার বটমূলে, বোটানিক্যাল গার্ডেনে, সংসদভবনের বিকেলে,
কিংবা ধরো ঠিক ঠিক কোর্টভবনের কোলাহলমুখর ময়দানে- কর্তব্যবিমূঢ়- বাকহীন-
স্থির দাঁড়িয়ে অপলক, হাত খসে পড়ে যায় অতুচ্ছ ফাইলগুলো- শরীরের কালো গাউন
আলুথালু হয়- সহসা অতিশয় আহলাদে- বাকহীন অকস্মাৎ তুমি ভুলে গেলে :
কে যেন ছিল- কে যেন ছিল, চলে গেছে- কোনোদিনও ফিরবে না আর।