৯
আঁসুর অনলে ক্ষয় হয়ে গেল ঘুমহারা দুটি আঁখি
তোর সে কবিকে কেমন করিয়া গিয়েছিস ভুলে, পাখি?
তোর সে কবিকে আর কি এখন তেমনটি মনে পড়ে
পড়তো যেমন রাতদুপুরের ঝুমবৃষ্টি ও ঝড়ে?
ঝুমবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তুই কতদিন খুঁজেছিলি,
কতদিন তুই খুন করেছিলি দুপুরের নিরিবিলি;
এইসব স্মৃতি মনে পড়ে আর চোখ ফেটে আসে জল,
তোর সে কবিকে কেমন করিয়া ভুলে যআবি তুই, বল?
১০
কথা দিয়ে তুই কথা রাখবি না, মনে হয়নি তা একটিবারও
সবখানি ভুল ভেঙে দিয়ে সখি সত্যিই তুই কথা রাখলি না!
তুই কি ভেবেছিস তোর কোনও কথা সত্যি মানিব এমনি আরও?
আর কি তা হয় বুকের ভিতর বাজছে যখন অগ্নিবীণা!
১১
পৃথিবীর সব রূপ তোর মুখখানিতে
তাই আর কোনও রূপ পারিল না টানিতে।
১২
বয়স আমার দুই-কুড়ি এক, তোরই সমান সমান
এমন মধুর বয়সকালে মন হলো তোর পাষান!
তোর যে বুকে জ্বলছে ভীষণ রুদ্র খরার আগুন
তোর কবিকে বল পাষাণী করলি কেন খুন?
১৩
ভুলে যাবি তুই? যা না
যুগ যুগ পর একদা হঠাr
পাতাল ফুঁরিয়া জাগিয়া আবার
অতর্কিতে তোর বুকে দিব হানা।
তারপর তোর কলজে খাবো,
তখন করবি কী তুই-
সহসা আবার পালাই যদি ছাড়িয়া বিশ্ব-বিভূঁই?
১৪
যা তুই তবে হারামজাদী, খেলার মাঠেই যা
তোর লাগি ক্যান অশ্রু দিব শুধুই খামোখা?
১৫
আমার কবিতার ভাষা করাতের মতো যদি হতো
তোর বুকের অন্তর্গত করে দিতাম এক লক্ষ ক্ষত।
১৬
আমার সকাশে তোমার সহজ আত্মসমর্পণ
তোমার প্রেমকে করেছে ধূসর-ম্রিয়মান-নিষ্প্রভ।
তোমার প্রেমের জন্য আমার সংগ্রাম আমরণ
আজই দিয়ে দিলে? কিসের জন্য আর তবে বেঁচে রবো?
১৭
এতোদিন তুই শূন্যতা ছিলি, অস্তিত্ববিহীন
আমার কবিসত্তায় এখন তুই-ই নিত্যদিন।
তুই-ই ধ্রুব, তুই-ই সত্য, আমার ত্রিকাল তুই
তসবিদানায় তোর নাম জপি, তোর নামখানি ছুঁই।
১৪
আমি তোর কৃষ্ঞ পাগল, তুই পাগলিনী রাধা
জন্ম-মৃত্যু-ত্রিকাল পড়েছি বিষম প্রেমেতে বাঁধা।
১৮
তোর রক্তের নিউক্লিয়াসে বেঁধেছি আমার বাসা; তাহলে প্রমীলা বল,
বাঁচবি কেমন করে আমাকে ছাড়া?