১৯
নিমাইচন্দ্র সন্ন্যাসে যায়, তখন
গৃহেতে বধূ অঘোরে ঘুমায়। তুইও কি অভাগী
তেমনই ঘুমালি, হায়!
২০
হারিয়ে গেলে হন্যে হয়ে আমাকে তুই খুঁজবিই
এ বিশ্বাসে যখন তখন গহীন জলে ডুব দিই।
কষ্ট দিলে কষ্ট পাবি তাই তোকে দিই কষ্ট
তোর প্রেমেতে সন্ন্যাসী, তাই তোর প্রেমেতেই ভ্রষ্ট।
২১
তুই কি আমার নীল উচাটন পাখি?
বুকের ভিতর তোর বেঁধেছিস বাসা
অন্য কোথাও শান্তি যদি পাবি
এই বুকে তুই কেন করিস
নিত্য যাওয়া-আসা?
বুকের ভিতর বাঁধলি বাসা কেন
পাখি আমার হারিয়ে যাবি যদি?
অন্য কোথাও শান্তি যদি পাবি
আমার কেন করলি দু চোখ নদী?
২২
স্ত্রীরূপে করেছো সংসারী, প্রেমিকারূপে কবি
সংসার আর প্রেমের মাঝারে তুমি মনোজ্ঞ ছবি।
২৩
এখনও মনে হয়, সুতীব্র অভিমানে তুই
মেঝের উপর আছড়ে ফেলিস মুঠোফোন, আর আমি সবেগে ছুটে এসে
নীরবে পেছনে দাঁড়াই, সন্তর্পণে ঘাড়খানি তোর ছুঁই।
অমনি সচকিত ঘুরে
একফালি হাসি ঝেড়ে আহ্লাদে ছিটকে যাস দূরে।
এখনও মনে হয়, একদিন সোনালি প্রত্যূষে
নিবিড় দাঁড়িয়ে আছি চৌমাথার ধারে
আর হাসনাহেনার মতো সুগন্ধি ছড়ানো তোর হাসিমুখ
ভেসে আসে আবছা আঁধারে।
মাঝে মাঝে ভ্রম হয়, মনে হয় আজও আছে সবকিছু ঠিকঠাক,
অবিকল সেদিনের মতো
তারপর দেখি হায়, তুই নেই, আছে শুধু তোর দেয়া একবুক ক্ষত।