আওয়ামী লীগের তৈরী করা উন্নয়নের মহাসড়ক অনেক চওড়া হয়েছে। সেই মহাসড়কে বাংলাদেশ উঠার পরেও আওয়ামী লীগ পালানোর রাস্তা পেল।অবশ্য তাদের কতিপয় বেকুব ধরা খেয়ে এখন জেলে আছে। তাদের কথা বাদ। তারা উন্নয়নের মহাসড়কে না উঠে ধরা খেলে তাদের ধরা কাওয়ার দায় আওয়ামী লীগ নিবে না।
এদিকে বিএনপি পেল একটা মওকা। ৬৯ ও ৭০ এর পর ৭১ এ একটা ঘোষণা দিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা হিরো হয়ে গেলেন।৭৫ এর আগষ্টের পর নভেম্বরে একটা বিদ্রোহ দিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ক্ষমতার নাগাল পেয়ে গিয়ে ছিলেন। ২৪ এর আগষ্টের পর বিএনপি কোন ঘটনার অপেক্ষায় আছে। এবার মার্চের ২৬ তারিখ শহীদ বেদিতে ফুল দিতে গিয়ে দেখলাম বিএনপি বলছে স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান।আগে আওয়ামী লীগ বলত বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
বিপদে পড়ে আওয়ামী লীগ দোয়া ইউনুস পড়তেই ডক্টর ইউনুস এসে হাজির হলেন। কায়দা বুঝে চীন তাঁকে একটা চীনা ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়ে দিল। তা’ চীনা মূলার মতই অতীব সুন্দর মনে হলো। এবার তিনি এটা ভারতকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে পারবেন। ভারত তাঁকে একটা বোম্বাই ডক্টরেট দিলেও পারতো। কিন্তু তারা সেটা মিস করলো। হাসিনা কি মনে করে এটা মনে করেই তারা ডক্টর ইউনুসকে ডক্টরেট দেওয়া মিস করলো। ডক্টর ইউনুস তাদেরকে কয়খানা বাঁশ দিতে পারলে সে উপলক্ষ্যে তারা তাঁকে ডক্টরেট দেয় কিনা সেটা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
হামজা চৌধুরী ভারতের মাটিতে ভারতকে গোল দেয় নাই তাতেই তাদের জ্বালা ধরেছে। ঢাকায় সেটা দিয়ে দিলে তাদের কি অবস্থা হয় সেটার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।আমরা চিরকাল আশাহত জাতি। তথাপি আমরা আশা করি। কারণ আশা করতে কোন দোষ নাই।
৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান জনপ্রিয়তা পেয়ে ছিলেন। সেই পুঁজি ভেঙ্গে বিএনপি এখনো খাচ্ছে। ডক্টর ইউনুছের জনপ্রিয়তা তাদের বাড়াভাতে ছাঁই দিতে পারেঅ সেজন্য তারা তাঁকে দ্রুত তাড়াতে চায়। কেউ কেউ বলে তিনি নাকি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। কথায় বলে গাছ তোর কি নাম ফলে পরিচয়।হামজা চৌধুরী ও ডক্টর ইউনুছের খেলার ফলের অপেক্ষায় আছে অনেক কৌতুহলি।আর আওয়ামী লীগ মহাসড়ক দিয়ে ফিরে কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০