somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিমদের পথভ্রষ্ট বাহাত্তর দল কোরআন অমান্য করে পথভ্রষ্ট

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

* মুসলিমদের সঠিক দল কোরআন মান্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন এবং আছেন।স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণও (রা.)কোরআন মান্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং থেকে ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
৮। কিন্তু যার পাল্লাহ হালকা হবে
৯। তার স্থান হবে হাবিয়া।

* আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী পাল্লাভারী জামায়াত নাজাতের কারণ। উহুদের যুদ্ধে স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.)পাল্লাভারী জামায়াতের সাথে ছিলেন। তখন তাঁদের সংখ্যা ছিল সাতশত জন। আর পাল্লা হালকা মোনাফেক জামায়াতে ছিল তিনশত জন। উহুদে মুসলিমদের সত্তর জন শহীদ হওয়ায় মোনাফেকরা বলাবলি করছিলো উহুদ থেকে ভেগে এসে তারা সঠিক কাজ করেছে। কিন্তু সত্তর জন শহীদ হলেও স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) উহুদ থেকে ভেগে আসেননি। তাঁরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করেছেন। ফলে কাফেররা উহুদ থেকে ভেগে গেছে। উহুদ থেকে মোনাফেক ও কাফেররা ভেগে গেছে কিন্তু মুসলিমরা ভেগে যায়নি।এভাবেই মুসলিম জয়ী না হয়ে রণাঙ্গন থেকে ফিরে আসে না। আর যুদ্ধ না করলে তারা সন্ধি অথবা হিজরত করে।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।

হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭১২ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭১২। হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বলেন, আমার এ পুত্র (হাসান) ইমাম হবে এবং আল্লাহ তার দ্বারা দুটি ঝগড়া পূর্ণ দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭৮ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭৮। হযরত যুবায়ের ইবনে আদী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট আগমন করে আমাদের উপর হাজ্জাজের পক্ষ হতে যা হচ্ছে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য অবলম্বন কর। কেননা তোমাদের পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগ হতেও নিকৃষ্ট হবে। যখন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হও। আমি নবি করিমকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি।

* নবুয়তের পর সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নবুয়তের খেলাফতের সাথে ছিলেন। দু’দল সাহাবা আমির হযরত আলীর (রা.) সাথে যুদ্ধ করলেও পরে তাঁরা তাঁর সাথে ইসলাহ করেছেন। ইমাম হাসান (রা.) হযরত মুয়াবিয়ার সাথে ইসলাহ করেছেন। সেই ইসলাহ অনুযায়ী আমির ইমাম হুসাইনকে অমান্য করে ইয়াজিদ অবৈধ বাদশা হয়েছে। পরে মিথ্যাবাদী বনু মারওয়ান এ বাদশাহী তন্ত্র অব্যাহত রাখে। তারা ও তাদের দালালেরা সাহাবায়ে কেরামের জীবন অতিষ্ট করে তোলে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আল আব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে আসবেন। আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও। সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম। তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়দিক থেকে এমনভাবে মাফ করে দিন, যার পর তাদের আন কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে আল্লাহ তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।

রাযীন এ বাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ- মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।

* মিথ্যাবাদী বনু মারওয়ান ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট পাঠিয়ে দেয়। তারা সাহাবা যুগেই ইসলামকে বিনষ্ট করে। তারপর আব্বাসীয়গণ পারসিকদের সহায়তায় ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট ফিরিয়ে আনে এবং ইসলামের পরিশোধন করে। যা হানাফী মাযহাব নামে বিদ্যমান।আর এ হানাফী মাযহাব হলো মুসলিমদের পাল্লাভারী জামায়াত। দুই তৃতীয়াংশ মুসলিম এর সাথে আছে। কোরআন অমান্য করে বাহাত্তর দল এর বাইরে আছে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

সূরাঃ ২২ হাজ্জ, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ
৭৮। আর জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে (জিহাদের জন্য) মনোনীত করেছেন।তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত বা জাতি।তিনি পূর্বে তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করেছেন। আর এতে (এ কোরআনেও তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করা হয়েছে) যেন রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যি হন এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অতএব তোমরা সালাত বা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে যুক্ত থাক। তিনি তোমাদের অভিভাবক। কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি।

সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।

সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোমরাও বসে নামাজ পড়বে।

সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম (আ.)। সে হিসাবে গোটা মুসলিম জাতি তাঁর বংশধর। কোরআন অনুযায়ী ইমামগণ তাঁর সেরা বংশধর। কারণ তাঁরা আল্লাহর নিকট তাঁর প্রার্থনার ফসল। আর অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত।তাঁরা হানাফী এবং তাঁরা ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) পালন করেন। আর তাঁরা পাল্লাভারী জামায়াত। হানাফীদের কতিপয় তাঁদের সাথে মতভেদে লিপ্ত হয়ে ঈদে মীলাদুন্নবীর (সা.) বিরোধীতা করে। অথচ ঈদে মীলাদুন্নবীর (সা.) কোরআন দ্বারা সাব্যস্ত ঈদ।

মীলাদ মানে জন্মবৃত্তান্ত। এটা আল্লাহর কাজ। প্রমাণ সূরা মারিয়াম।
সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় কর যদি তুমি মুত্তাকী হও। আমি তোমা হতে দয়াময়ের আশ্রয় চাই।
১৯। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতি পালক প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য।
২০। মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে, যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি।আর আমি ব্যভিচারিণীও নই।
২১। সে বলল, এমনটাই হবে।তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্য সৃষ্টি করব যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন হয়। আর আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ হয়।এটা তো এক স্থিরকৃত ব্যাপার।
২২। অত:পর সে তাকে গর্ভে ধারণ করলো। অত:পর সে তাকেসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল।
২৩। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। সে বলল হায় এর পূর্বে আমি যদি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম!
২৪। ফিরিশতা তার নিকট পার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, তুমি দু:খ করবে না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন।
২৫। তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ড নাড়া দাও! তা’ তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দান করবে।
২৬। সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও।মানুষের মধ্যে কাউকে যদি দেখ তখন বলবে, আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতার মান্নত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কথা বলব না।
২৭। অত:পর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো, তারা বলল হে মরিয়ম! তুমি তো এক অদ্ভুত কান্ড করে বসেছ!
২৮। হে হারূণের বোন! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।
২৯। অত:পর মরিয়ম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করল, তারা বলল, কোলের শিশু, তার সহিত আমরা কেমন করে কথা বলব।
৩০। সে বলল, আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবি করেছেন।
৩১। যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমি যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।
৩২। আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করেছেন। তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত ও হতভাগ্য।
৩৩। আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব।
৩৪। এই মরিয়ম পুত্র ঈসা। আমি সত্য কথা বললাম, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আমিতো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমত রূপেই প্রেরণ করেছি।

* সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ৩৩ নং আয়াত অনুযায়ী হযরত ঈসার (আ.) জন্মদিন ও মৃত্যুদিন তাঁর প্রতি শান্তি ছিলো। সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ৩৩ নং আয়াতের সাথে সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ১০৭ নং আয়াত যোগ হয়ে রাসূলের (সা.) জন্মদিন ও মৃত্যুদিন তাঁর প্রতি শান্তি ও রহমত ছিলো। কারো প্রতি শান্তি ও রহমত থাকা তাঁর ঈদ বা আনন্দ। রাসূল (সা.) আল্লাহর হাবিব বিধায় রাসূলের (সা.) জন্মদিন ও মৃত্যুদিন আল্লাহরও ঈদ বা আনন্দ। আল্লাহ ও রাসূলের ঈদ বা আনন্দের দিনে মুমিনেরও ঈদ বা আনন্দ। এ দিন ইবলিশ ও তার অনুসারীদের ঈদ বা আনন্দ নয়। রাসূলের (সা.)জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) ঈদ বা আনন্দ হলে এ দিন মুমিনের ঈদ বা আনন্দ না হওয়ার সংগত কোন কারণ নেই। বরং এ দিনে ইবলিশ ও তার অনুসারীদের ঈদ আ আনন্দ হয় না।সুতরাং ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) পালন করে মুমিন এবং এর বিরোধীতা করে ঈবলিশ ও তার অনুসারীরা। ঈদে মীলাদুন্নবীর (সা.) বিরোধীতা করে ইবলিশের কিছু অনুসারী পাল্লাভারী জামায়াত হানাফী মাযহাব থেকে বেরিয়ে খারেজী হয়ে গেছে। এরা আবার কওমে লুত কান্ডে জড়িত হয়ে মাঝে মাঝে ধরা খায়।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।

সহিহ আল বোখারী, ১৭৪৫ নং হাদিসের (কিতাবুল হজ্জ)-
১৭৪৫। হযরত ওসামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি (সা.) মদীনার একটি উচ্চ দূর্গপ্রাসাদে চড়ে বললেন, আমি যা দেখছি তা’ কি তোমরা দেখতে পাচ্ছ? আমি বৃষ্টিবিন্দু পতিত স্থানের ন্যায় তোমাদের গৃহসমূহে ফেতনার স্থান দেখতে পাচ্ছি।

সহিহ মুসলিম, ৮৩ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৮৩। হযরত তারিক ইবনে শিহাব বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন নামায়ের পূর্বে খুতবা দেওেয়ার বিদয়াতী প্রথার প্রচলন করেন। এসময় এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ‘খুতবার আগে নামায সম্পন্ন করুন’।মারওয়ান বললেন, এখন থেকে সে নিয়ম পরিবর্তন করা হলো। সাথে সাথে আবু সাঈদ খুদরী (রা.) উঠে বলেন, এ ব্যক্তি তার কর্তব্য পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ গর্হিত কাজহতে দেখলে সে যেন স্বহস্তে পরিবর্তন করে, তার সে ক্ষমতা না থাকলে মুখ দ্বারা এর পরিবর্তন করবে। আর সে সাধ্যও না থাকলে,তখন অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে, এক্ষেত্রে এটাই হচ্ছে ঈমানের দূর্বলতম পরিচয়।

* সাহাবায়ে কেরাম ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) পালন না করে ফিতনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা ইয়াজিদী ও মারওয়ানী ফিতনাকে পরাজিত করতে পারেননি। অবশেষে কওমে মারওয়ান নিকৃষ্ট বিদয়াতের মাধ্যমে ইসলাম বিনষ্ট করে এবং ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট পাঠিয়ে দেয়। তারপর যে পারসিকদের সহায়তায় আব্বাসীয়গণ ঈমানকে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট হতে ফিরিয়ে আনেন তারাই কোরআন অনুযায়ী ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) চালু করেন। এখন নিকৃষ্ট খারেজীরা এর বিরোধীতা করছে।আর কোন খারেজী জামায়াতই মুসলিমদের পাল্লাভারী জামায়াত নয়। এভাবে খারেজী বাহাত্তর দল কোরআন মান্যতার বাইরে চলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১
১৯০ বার পঠিত
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

১. ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ইসরায়েল যখন হামাসের উপর কঠিন আক্রমণ করছিলো, তখন হেজবুল্লাহ যৈ সিরিয়া ও লেবানন সীমান্ত থেকে আক্রমণ চালালতো, নেতানিয়াহু প্রচন্দা চাপে পড়ে "যুদ্ধবিরতি" মানতো।

কিন্তু হামাসেরা সুন্নী হওয়ায়, শিয়া হেজবুল্লাহ হামাসকে অতটুকু সাহায্য করতে চাহেনি। ইসলামের বিভক্তি কাজ করছে।

শিয়া হুতিদের ওহাবীরা হত্যা করেছে ৩/৪ বছর; আজ ২ দিন ইসারায়েলও হতয়া করছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

লেখক বলেছেন: মুসলিমদের বিভেদ থেকে ইসরায়েল সুবিধা নিচ্ছে। তবে এর কারণে ইসরায়েল এক সময় কঠিন প্রতিশোধের মুখে পড়বে।

২. ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

আজব লিংকন বলেছেন: পুরোটা পড়লাম।
কিছু বিষয়ে আমার কাছে অন্যদের ব্যাখ্যার সাথে মতভেদ মনে হয়েছে। যা আমি অন্যান্য ইসলামিক স্কলারদের নিকট হতে শুনেছি। নবীজি কখনো তার জন্মদিন পালন করেননি। এমনকি তার সাহাবীগণও নয়।

অনেকের মতে, ঈদে মিলাদুন্নবী উৎসব হিসেবে ঘটা করে পালন করা বিদাত।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোজা রাখা, কুরআন তেলাওয়াত, মহফিল ও ইসলামিক আলোচনা সভা করাই উত্তম।

আমি ইসলামি স্কলার নই। লেখাটা পড়লাম বলে নিজেস্য একটু ভাব ব্যক্ত করলাম। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এসবের বাহাজের সঠিক উত্তর একজন ইসলামি স্কলার আপনাকে দেবে আশা করি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

লেখক বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবী উৎসব হিসেবে ঘটা করে পালন করা বিদাত যারা বলে তাদের সংখ্যা মুষ্ঠিমেয়। আল্লা পাল্লা নিয়ে বসবেন। পাল্লাভারী জামায়াত তাঁর বিচারে নাজাত পাবে। সুতরাং মুষ্ঠিমেয় যে সব লোক পাল্লাভারী জামায়াতের সাথে মতভেদে লিপ্ত, তারা এর দায়ে জাহান্নামে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সঠিক ইতিহাসে জানতে হলে মেজর ডালিমকেও আমলে নিতে হবে

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

সঠিক ইতিহাস জানতে হলে যেমন আপনাকে মেজর ডালিমের বক্তব্যকে আমলে নিতে হবে তেমনি ‌শেখ মুজিবের বক্তব্যও নিতে হবে।

আপনি একজনের ১৭ বছর একই ওয়াজ করা বক্তব্যকে বাইবেল আর মেজর ডালিমের বক্তব্যকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার ঘোষক কে?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেলিম অনোয়ারের ব্যান নিয়ে আপনি কিছু বলছেন না কেন?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



এই ব্লগে কাকে ব্যান, সেমিব্যান, কমেন্ট ব্যান করলে আপনি খুশী হয়ে থাকেন? চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিশ্চয়ই; এটা ভালো! চাঁদগাজী/সোনাগাজী "ব্যক্তি আক্রমণ" করে থাকে। সেলিম আনোয়ার কি আক্রমণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুনির মুখে ইতিহাস শিক্ষা ও অধঃপতিত মানস

লিখেছেন sabbir2cool, ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪


বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর শরিফুল হক ডালিমকে প্রকাশ্যে এনেছেন আলোচিত ফেসবুক-সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ইলিয়াস ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×