আমার শৈশবের সেই দুই সুপার হিরো কে আজ দেখলাম সেলুলয়েডের ফিতেয়, জ্বলজ্যান্ত, রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবে দুরন্ত দুর্বার এক কিশোর টম আর ছন্নছাড়া মায়াময় এক হাকলবেরি ফিন কে। ঠিক আমার কল্পনার টম কে কেউ উড়িয়ে এনে যেনো বসিয়ে দিয়েছে রূপালী পর্দায়...
মুভির গল্প সেই চির চেনা শৈশবের রোমাঞ্চকর স্বপ্নের বাস্তবতা। হাক ফিন এক অনাথ বালক, কুড়িয়ে চুরি করে খেয়ে তার দিন কেটে যায়, টম সয়ার তার ভাই কে নিয়ে খালার বাড়িতে মানুষ, ডানপিটে টমের জ্বালায় গ্রাম শুদ্ধ মানুষ অতিষ্ট। একদিন গোরস্তানে রাতের অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে দেখতে পায় রেড জো নামের তাদের গ্রামে নতুন আসা এক লোক কে(বিষাক্ত সাপের মতন যার চরিত্র), জো খুন করে ডাক্তার রবিনসন কে,আর ফাসিয়ে দেয় নিরীহ মাতাল মাফ পটার কে। রেড জোর ভয়ে হাকফিন আর টম মুখ না খুললেও বেচারা পটার এর জন্য তাদের বিবেক দংশিত হতে থাকে। ওদিকে গ্রামের নতুন জাজ থ্যাচারের মেয়ে বেকি টমের সমবয়সী, তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে সখ্যতা। কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে এভাবেই...
পরিচালক কিভাবে আমাদের কল্পনার টম সয়ার কে চিনে নিলেন জানিনা, পর্দার টম সয়ার সেই ছোট্টবেলার কল্পনার হিরোর শতভাগ স্বরূপে ছিল পুরো ফিল্ম জুড়ে। রেড জো চরিত্রে অভিনেতা তো দুর্ধর্ষ অভিনয় করেছে, পলি খালা আর সিডও ঠিক ঠাক আছে, তবে ভাল্লাগেনি হাক ফিন,বেকি ও মাস্টার কে। মেলেনি কল্পনার সাথে। তবে স্পেক্ট্যাকলস ছিল দুর্দান্ত, ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত ছিল। স্ক্রিনপ্লে ঠিক রাখতে গিয়ে যদিও কাহিনী কিছুটা এদিক-সেদিক হয়েছে, তবে তা মানিয়ে গেছে...
এই মুভিটি দুই ধরনের মানুষের জন্য- যারা টমসয়ার পড়েছে আর যারা পড়েনি

আর এই রিভিউটি উৎসর্গ করা হল সেই সব শিশুদের, যারা বই পড়েনা,যারা জানে না বই মেলে ধরলে চোখের সামনে খুলে যায় একটা জানালা, সেই জানালা দিয়ে নতুন এক জগতের সন্ধান মেলে, নতুন এক জগতের রোদ জল ছুঁয়ে যায় বইয়ের সেই জানালা দিয়ে।
জার্মান ভাষার মুভিটি- তবে সাবটাইটেল আছে, প্রব্লেম হবার কথা নয়।
ডাউনলোড করুন ব্লু রে ৭২০পি টরেন্ট
আইএমডিবি
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫