এই পোস্ট টি পড়বার আগে কীয়ানু রীভস, লরেন্স ফিশবার্ন অভিনীত ম্যাট্রিক্স ট্রিয়োলজি মুভিটি দেখার অনুরোধ রইলো
শেক্সপীয়ারের হেমলেটে একটা লাইন আছে,"আমাকে দয়ালু হবার জন্যই নিষ্ঠুর হতে হবে।" পরস্পরবিরোধী অর্থপূর্ন কথা শুনলেই তখন মনে হতো অনেক হাই থটের কথা। বয়সটা কম ছিলো, অল্পতেই বিস্মিত হতাম। উত্তেজনা থাকতো তুঙ্গে। টিনেজ বয়সটা পার হবার পরও রেশটা থেকে যায়। একবার এক সুন্দরী বেজায় রাগ করলো,"চিঠি লেখ না কেন?" তার কলেজের সামনে অন্যান্য সুন্দরীদের দেখতে দেখতে বলেছিলাম,"আমি তাদেরকেই চিঠি লিখি যারা কখনো চিঠি লেখে না।" কথা সে বুঝেছিলো কিনা জানিনা তার পরের দিন প্রায় ৮৩ বার আমাকে কল করেছিলো। নিশ্চয়ই ভালোবেসে কল করেনি, লাইনটার অর্থ জানতেই।
হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাকে পরম সত্য বলেই মানতেন। সেটার ওপর নির্ভর করেই ৭৪ এর দিকে বলে দিলেন ব্লাক হোলে পতিত সকল তথ্যই হারিয়ে যায়। এ বিষয়টি তার এক কালের থিসিসমেট সুসকিন্ড মানতে পারেননি। যদিও তারা এর কারন বলতে পারছিলেন না, কিন্তু হকিং এর সাথে দ্বিমত পোষন করলেন। এদিকে সময় যত গড়াতে থাকে সুসকিন্ডের দলে আরও বিজ্ঞানী ভিড়তে থাকেন। সুসকিন্ড কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে আইন্সটাইনের রিলিটিভিটি দিয়ে বিচার করতেন না। সে কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ম্যাকানিক্সের গানিতিক মডেলে ভাবতে চাইতেন। একসময় তিনি দেখালেন যে ইভেন্ট হরাইজনে কোনো কিছু পতিত হলে ব্লাক হোলের কেন্দ্রের দিকে যেতে থাকা বস্তুটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে না। তার একটা ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি ইভেন্ট হরাইজনের বাউন্ডারীতে থেকে যাবে। আপনি ব্লাক হোলের বাইরে থেকে দেখবেন একটি বস্তু ইভেন্ট হরাইজনে খুব ধীরে পতিত হচ্ছে অথচ বাস্তবে সেটা ব্লাক হোলের গহ্বরে হারিয়ে গেছে। হকিং অবশ্য পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন। আর্জেন্টাইন স্ট্রিং থিওরীস্ট (খুব সম্ভবত) গনিত কষে দেখালেন এটা শুধু ব্লাক হোলের ক্ষেত্রেই ঘটছে না, বরংচ আমাদের এই তিন মাত্রার মহাবিশ্বটি অদূরে থাকা আসল মহাবিশ্বের একটা প্রতিচ্ছবি মাত্র যেটা আমরা ২ মাত্রায় বসে দেখতে পাচ্ছি। খুব সহজ ভাবে বললে আপনি নিজের সবকিছু ২ মাত্রার কম্পিউটার মনিটরের সামনে দেখতে পাচ্ছেন বা ভাইস ভার্সা।
প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আসল কোনটা? কোনটাই বা আপনার প্রতিচ্ছবি? এটা নির্ভর করছে আপনার ওপর। আপনি এবং আপনার প্রতিচ্ছবি দুটোই সমসত্বা। পাগলের মতো শোনায় তাই না? শোনাবারই কথা। আসলে আমরা আমাদের চিন্তা চেতনার সকল কিছুই ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স বা তিন মাত্রার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বড় হয়েছি। সেক্ষেত্রে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতো বহু মাত্রিক এবং প্রোবাবিলিস্টিক ব্যাপারগুলো আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব না এবং এটা জানতে হলে একমাত্র গনিতের সাহায্যই নিতে হবে। এবং গনিত বলে আমরা একটা হলোগ্রাফিক দুনিয়াতে বাস করছি।
ঠিক এরকম চিন্তা ভাবনা দেকার্তে করে গেছেন। দেকার্তের চিন্তার উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন এবং তিনি ছিলেন চরম সংশয়বাদী। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে যত সন্দেহপ্রবন মানুষ জন্ম নিয়েছেন দেকার্তের মত সন্দেহপ্রবন কেউ হবে না, কেও ছিলো না; এজন্য তাকে কার্টেসিয়ান সংশয়বাদীর জনক বলা হয়। প্লেটোর মতে আমাদের আশেপাশের বাস্তবতা পরম বাস্তবতার ছায়া মাত্র। দেকার্তে এসে তাতে নতুন একটা মাত্রা দিলেন। তার মতে ধরা যাক আপনার কাছে এক বাল্টি আপেল আছে যার মধ্যে কিছু পচে গেছে এবং এবং এই পচা আপেলগুলো অন্য ভালো আপেলগুলোকেও সংক্রমিত করবে। কিন্তু আপনি বাল্টিটা হাতে নিয়ে বুঝতে পারছেন না যে কোনটা নস্ট কোনটা ভালো। তো আপনি কি করলেন...বাল্টির যা কিছু আছে সব ফেলে দিলেন। এখন আপনি প্রত্যেকটা আপেল দেখে দেখে যেগুলো ভালো সেগুলো বাল্টিতে ভরলেন। এভাবে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হলেন যে আপনার বাল্টিতে সবগুলো ভালো আপেল বিদ্যমান। এভাবে তিনি নিজের বিশ্বাস নিয়েও শংকিত হলেন এবং সেটাকে সন্দেহমুক্ত করতে প্রথম ধাপ হিসেবে সবকিছুকে অবিশ্বাস করা শুরু করলেন। তারপর আপেলের বাল্টির মতো তা ছাকুনি চালান এবং পচে যাওয়া বিশ্বাসগুলোকে পরিত্যাগ করেন। এভাবেই তিনি মাত্র সত্যের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এবং এর প্রথম উপায় ছিলো ইম্পিরিক্যাল বিশ্বাস অর্থাৎ আমাদের ইন্দ্রিয়। এটা এ জন্য যে আপনি নিজ চোখে যা কিছু দেখছেন বা নিজ হাতে যা স্পর্শ করছেন অথবা কান দিয়ে শোনা বা নাক দিয়ে ঘ্রান শুকে বস্তুজগত সম্পর্কে বাস্তবিক ধারনা পেতে পারেন। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। দেকার্তে দেখলেন যে আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহ অনেকসময় ধোঁকা দেয়। মনে করেন আপনি কাাউকে খুজছেন এবং ভীড়ের মধ্যে পেছন থেকে আপনার সেই বন্ধুটির মতোই কাউকে মনে হলো। কাছে গিয়ে ধরতেই দেখলেন অন্য কেউ।
অথবা গন্ধ শুকে বাজার থেকে যে মাছ কিনে আনলেন, কেটে এনে দেখলেন সেটা ভেতরে পঁচা অথবা হাত দিয়ে স্পর্শ করে আমটা বাইরে থেকে নরম মনে হলেও আসলে তা পোকায় খাওয়া। আবার অসুস্থ হলে আপনার প্রিয় খাবারের স্বাদও পাল্টে যায়। নিজের ইন্দ্রিয়ের এমন উল্টো আচরন দেকার্তকে আরও সন্দেহবাদী করে তুললো। বিশ্বাসের ছাকুনি ছাকতে গিয়ে তিনি আরও বেশী অবিশ্বাস শুরু করলেন। বাস্তবতা মনে করে যে ব্রীজে উঠলেন হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে দেখলেন আসলে কোনো ব্রীজ নেই, সেটা স্বপ্ন ছিলো। আবার এমনও হতে পারে আপনি যে জেগে উঠলেন হয়তোবা এটাও কোনো স্বপ্নের অংশ। পুরো বাস্তবতাই কি তাহলে স্বপ্ন? আবার আপনি যে আমার লেখা পড়ছেন, কে বলতে পারে হয়তোবা আমার ওপর আপনি এতটাই বিরক্ত ও রাগান্বিত যে আমার এই লেখাটিও আপনি স্বপ্নে দেখছেন। অনেকটা ম্যাট্রিক্স মুভির মতো। কিন্তু এর মধ্যে একটা জিনিস কমন সেটা হলো স্বপ্নটা আপনার মাথার মধ্যে ছিলো। এমনকি আপনি যে স্বাদ গ্রহন করলেন বা কোনো কিছু দেখছেন সবই মস্তিস্কের মধ্যে ঘটছে। ইন্দ্রিয়সমূহ আপনার মস্তিস্কে যে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে সেটা প্রসেস করে আপনার চেতনাতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এখন আপনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় খাদ্যের যে স্বাদ পেয়েছেন, সুস্থ হলে তার আসল স্বাদটা পাচ্ছেন। এই যে নিজের মধ্যে থাকা সংশয় যেটা আপনি আপনার প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন একে বলা হয় স্থানীয় সংশয়। নির্দিস্ট সময়ে সংঘটিত কোনো ঘটনা নিজে নিজে ধরতে পারাকেই এই স্থানীয় সংশয় বলা হয়। কিন্তু এমন যদি হয় প্রত্যেকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা ঘটছে সবকিছু এরকম সংশয়ে ঘেরা অনেকটা ম্যাট্রিক্স মুভির মতো: স্বপ্ন অথবা মস্তিস্কের ভেতর চলতে থাকা সিম্যুলেশন এবং তাই যদি হয় তাহলে সেটা আপনার পক্ষে অতিক্রম করা সম্ভব নয় মোটেও। এরকম সংশয়কে বলা হয় বৈশ্বিক সংশয়।
এখন বার্ট্রান্ড রাসেল বৈশ্বিক সংশয়ের ওপর ভিত্তির করে ৫ মিনিট হাইপোথিসিস প্রদান করলেন। এই ৫ মিনিট হাইপোথিসিস অনুসারে এই পুরো মহাবিশ্ব মাত্র ৫ মিনিট আগে সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ৫ মিনিটের মধ্যে বিগ ব্যাং ব্লাক হোল গ্যালাক্সি সব সৃষ্টি হয়েছে এবং এসব কিছুই মানুষের স্মৃতিতে গেথে দিয়েছেন স্রস্টা। বার্ট্রান্ড রাসেল এই সংশয়বাদীতাকে পাত্তা না দিলেও দেকার্ত দিয়েছিলেন। দেকার্ত বললেন যদি স্রস্টা আমাদের মাথায় এসব স্মৃতি গেথেই দেন তাহলে একজন অপদেবতা আছেন যিনি কিনা আমাদের সামনে একটা মায়ার জগৎ সৃষ্টি করে আমাদের সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন এবং প্রতারিত করছেন। ইবলিশের কাজ তো আমাদেরকে ঈশ্বরের পথ থেকে সরিয়ে প্রতারিত করা, তাই না? এবং যেহেতু আমরা সবাই অপদেবতার তৈরী মায়ার জগতেই আছি সেহেতু আমাদের এ থেকে বের হবার পথ জানা নেই। এরকম সংশয়কে বলা হয় মৌলিক সংশয় যেখানে সকল বিশ্বাসই মিথ্যা। অপদেবতার তৈরী মায়ার জগৎ আমাদের সকল ইন্দ্রিয়কে ধোঁকা দিয়ে মিথ্যে অভিজ্ঞতা ঢুকিয়ে এক ঘোরের মধ্যে আটকে রেখেছে। ঠিক এই মুহুর্তে দেকার্ত আর কোনো পথ খুজে পাচ্ছিলেন না। কিভাবে সম্ভব তাহলে এই ঘোর থেকে মুক্তির অথবা সত্যকে জানার? এমন সময় তিনি একটা ব্যাপার অনুভব করলেন: তিনি কার্যকারন অনুযায়ী সবকিছুকেই অবিশ্বাস করা শুরু করলেন শুধু মাত্র একটা জিনিস বাদে, সেটা হলো, তিনি যে সন্দেহ করছেন বা সবকিছু নিয়ে সংশয় পোষন করছেন। তিনি জানতেন যে তিনি সন্দেহ করছেন সবকিছু নিয়ে এবং এই যে সন্দেহ করার ভাবনাটা এটা এজন্যই সম্ভব হয়েছে যে তিনি বিরাজমান অথবা তার অস্তিত্বটাই একমাত্র পরম সত্য। তিনি আছেন বলেই সন্দেহ করতে পারছেন। মোদ্দাকথা সন্দেহ হচ্ছে এক ধরনের চিন্তা এবং এই চিন্তা একমাত্র চিন্তাশীল করতে পারেন এবং সেটা করতে হলে তাকে অবশ্যই সেই ব্যাক্তি হিসেবে অস্তিত্বশীল হতে হবে। দেকার্ত তখন এভাবে ভাবতে শুরু করলেন তার যে শরীর এটাও হতে পারে সেই অপদেবতার মায়া এবং হতে পারে সে তার শক্তিবলে এমন মায়াময় দেহ আমাদের মস্তিস্কের সামনে তুলে ধরেছেন যার মধ্যে আমরা ধারন করি। দেকার্তে তার লেখা মেডিটেশনস অন ফার্স্ট ফিলোসফিতে লিখলেন "কগিটো এরগো সাম" অর্থাৎ"আমি চিন্তা করি তাই আমি আছি"। ফিলোসফিতে এই লাইনটা প্রচন্ড গভীর একবাক্য। এভাবেই তিনি তার আপেলের বাল্টিতে মৌলিক বিশ্বাসটাকে রাখলেন এবং এর পর তিনি ভেবে দেখলেন যে এটার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য পরমতম সত্য বিশ্বাসগুলোকে বাছাই করতে পারবেন। এরপর তিনি যে বিশ্বাসটাকে বাছাই করলেন তার মূল ভিত্তি ছিলো স্বচ্ছ এবং স্বতন্ত্র ধারনা এবং তার ফলাফল ছিলো ঈশ্বর। যদিও এর মধ্যে একটু ভেজাল ছিলো সেটা নিয়ে আলোচনা করবো না এখন। বলতে পারেন এটা পাঠকের জন্য তুলে রাখলাম।
দেখা যাচ্ছে সংশয়বাদীতার মধ্যে দিয়ে সত্যকে বাছাই করার যে পদ্ধতি তার সাথে স্ট্রিং থিওরীর হলোগ্রাফিক মহাবিশ্বের মিল আছে যদিও হলোগ্রাফিক মহাবিশ্ব এখনো অনেকের কাছে ধাঁধাঁই রয়ে গেছে এবং এটাকে বিশ্বাস করেন এরকম লোকের সংখ্যা হাতে গোনা। মানুষ কখনোই ধাঁধাঁ পছন্দ করে না কারন এর মধ্যে থেকে কোনো ফলাফল পাওয়া যায় না। আমরা ত্রিমাত্রিক বিশ্বে অবস্থান করে এটা সম্পর্কেই যেসব অভিজ্ঞতা আহরন করেছি, আমাদের মস্তিস্ক চতুর্থ বা উচ্চতর মাত্রার মহাবিশ্বের মডেল বুঝতে একেবারেই অক্ষম। এজন্য গনিতের সাহায্য নেয়া অতীব জরূরী।
অনেকেই বলেন বিজ্ঞান ঈশ্বরের সন্ধান করে: এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বিজ্ঞান কখনোই ঈশ্বর নিয়ে ভাবে না কারন ঈশ্বরের কোনো বৈশিষ্ট্য বা কোনো প্রভাব বৈজ্ঞানিক ফ্রেমওয়ার্ক বা মেথডোলজীতে পড়ে না। একাধিক ল্যাবরেটরীতে ঈশ্বর সম্পর্কিত পরীক্ষার ফলাফল একই পাওয়া যায় না অথবা অনির্নেয়। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান কখনোই বলে না ঈশ্বর আছে বা নেই। এটা নিয়ে যত মাথা ব্যাথা সব দর্শন শাস্ত্রের এবং এই ঈশ্বর সম্পর্কিত সবকিছু আলোচনা অধিবিদ্যা, এপিসটোমলোজি, নৃতত্ব, প্যালেওএনথ্রোলজী ইত্যাদী প্রতিষ্ঠিত শাখা বিদ্যমান।
এবং এসব শাখায় কেউ যদি বেশ সিরিয়াসলি পড়াশোনা করেন তাহলে নাস্তিক বা সন্দেহবাদী হতে বাধ্য কারন আমি গত দু পোস্টেই দেখিয়েছি দর্শনের পরম সত্য বলে কিছুই নেই এবং যেই ঈশ্বরকে পরম সত্য মনে বিশ্বাস করে আসছেন তাকে নিয়ে সন্দেহ করতে বাধ্য সেখানে দেকার্তের সমাধানও খুব বেশী কিছু করতে পারে না।
আর আপনি যদি মুসলমান হয়ে সন্দেহ বাদী বা ইসলাম ত্যাগ করেন, তাহলে তার দলিল থাকলে আপনার ওপর হ্বকদের রিদ্দা ফরজ। এখন সেটা সুন্নত মেনে করা হবে না মাজহাব মেনে করা হবে সেটা যার যার ব্যাপার।
কথা হলো আপনার মধ্যে কি সত্য বিশ্বাস খোজার মতো সে সাহস কি আছে?
ফুড ফর থট।
রেফারেন্স:
১) এনালাইসিস অব মাইন্ড, বার্ট্রান্ড রাসেল
২) মেডিটেশনস অব ফার্স্ট ফিলোসফি, রনে দেকার্তে।
৩) দ্যা ব্লাক হোল ওয়ার: মাই ব্যাটেল টু স্টিফেন হকিং টু মেক দ্যা ওয়ার্ল্ড সেফ ফর কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স, লিওনার্ড সুসকিন্ড।
৪) দ্যা ট্রাজেডি অব হেমলেট, উইলিয়াম শেক্সপীয়ার