তাহলে দাড়াচ্ছে আপনার যেহেতু সময়ের দরকার নাই, সেহেতু বলা যায় আপনার ওখানে যাবার জন্য রওনা দেবার আগেই ওখানে পৌছে গেলেন। ব্যাপারটা কেমন যেনো হয়ে গেলো না?
আপনি রওনা দেবার আগেই ওখানে যদি আপনি চলে যান তাহলে দেখা যাচ্ছে থার্মোডিনামিক্সের ল ভেঙ্গে ফেলেছেন আপনি। আপনি আপনার নিজের প্রতিরুপকে দেখছেন ওখানে। কি করে সম্ভব এটা?
মাথায় কি কিছু ঢুকছে? যদি বলেন মাথায় ঢুকাবার দরকার নাই তাহলে দুঃখ করে বলতেই হয় আপনি ভদ্রলোকের বৌ এর পালিয়ে যাওয়া সমর্থন করেন। আপনাকে ধিক্কার জানানো উচিত আর বলা উচিত ধিক্কারের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। আপনার এই পোস্ট পড়বার কোনো দরকার নাই।
আর যদি বলেন না, বৌ রে ভাগতে দেয়া যাবে না, তাহলে একটু পড়া যায় পোস্ট টা, কি বলেন?
আজাইড়া কথা বহুত পারলাম আসল কথায় আসি। উমমম....আসল কথা আসবার আগে একটা ঘটনা বলি। বাংলাদেশের অনেক পুচকা পুলাপান এস্ট্রোফিজিক্সে পড়তে চায়, মাগার এইটা জানে না যে দেশে কোনো ইউনিতে এই সাবজেক্ট পড়ানো হয় না। যাই হোক, ভাবতেছি ব্লগে এই কোর্সটা আমি নিজেই চালু করি, যদিও আমি সার্কিট ডিজাইন নিয়া কাজ করি আর ফাও তালে পার্টিক্যাল ফিজিক্সের অল্প কিছু জিনিস নিয়া পড়া লেখা করি।
যাই হোউক সালটা হলো ১৯৮৭। তখন আসলে এতোটা চ্যাট বা ফেসবুকের চল আসে নাই। রাতের বেলা তাই বিভিন্ন অবজার্ভেটরীর বিজ্ঞানীরা রাতের বেলায় হয় ভেরেন্ডা ভাজতো অথবা তাস পিটাইতো টোয়েন্টি নাইন। যদিও আমি ভেরেন্ডা কেমনে ভাজে দূরে থাকে এইটা কি জিনিস আইজও দেখি নাই, তাও ধইরা নিলাম তারা ভাজে। হঠাৎ পৃথিবীর তিনটা অবজার্ভেটরীর ডিশ এন্টেনায় মোট ২৪ খানা নিউট্রিনো ধরা দেয় যেগুলা মহাকাশের টেরেন্টুলা নেব্যুলার দিক থেকে আসে। তার তিন ঘন্টা পর টেলিস্কোপ ঐদিকে সেট করলে দুটো অবজার্ভেটরী একটা সুপারনোভার দেখা পযায় যার নাম হয় পরে SN 1987A।
এটা আমাদের দুনিয়া থেকে ১,৬৮০০০ আলোকবর্ষ দূরে তাই বন্ধুগন ভয় নাই, কারো ঘরে আগুন লাগে নাই। বিজ্ঞানীরা ঐ তিন ঘন্টার হিসাব খুব একটা গোনায় ধরে নাই। যদিও তখন সবাই খুজতেছিলো একটা নিউট্রন তারার যেটা আশেপাশে থাকার কথা। তারপর থিকা হাবল টেলিস্কোপ তন্ন তন্ন কইরা খুইজা না পাইলে নানা থিওরী এবং হাইপো মাইরা ঘটনা বসায় রাখে।
যাই হোউক, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে এই নিউট্রিনো জিনিসটা আবার কি? খায় না পিন্দে! খুবই কঠিন প্রশ্ন কিন্তু উত্তর সোজা। নিউট্রিনো একটা মৌলিক সাবএটমিক পার্টিক্যাল মানে একেবারে মৌলিক কনিকা। স্ট্যান্ডার্ড মডেলে এর অবস্হান। এর কোনো চার্জ নাই, তাই তড়িৎ ক্ষেত্র বা তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র এর উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। এর ভর খুবই কম আর চার্জ নিরপেক্ষ হওয়ায় বেচারা সব কিছুর ভিতর দিয়ে চলা ফেরা করতে পারে।এটা পলি সাহেন প্রথমে বের করে। আপনেরা যদি বের করতে চান তাহলে একটা নিউক্লিয়ার ফিশন ঘটাতে পারেন। ধরেন একটা নিউক্লিয়া পাওয়ার প্লান্ট, দেখতে সুন্দর ফিটফাট। ওর ভিতরে সবাই ঢুকলেন, ঢুইকা একটা ৪০০ লিটারের টান্কিতে ক্যাডমিয়াম ক্লোরাইড ভরলেন। মনে করেন এইটাই আপনের টার্গেট গুতা মারনের। এখন নিউক্লিয়ার ফিশন চালু করেন, দেখবেন নিউট্রিনো গুলান প্রথমে প্রোটনরে মারলো ঠোয়া, ঠোয় খাইয়া পয়দা হইলো পজিট্রন আর নিউট্রন। পরে পজিট্রন যাইয়া ইলেক্ট্রনরে ঠোয়া মাইরা চুরমার কইরা দুইটা গামা রশ্মি মানে ফোটনের পয়দা করলো।নিউট্রনকে গিলে ফেললো ক্যাডমিয়াম ক্লোরাইডে আর বের করলো ফোটন ১৫ মাইক্রোসেকেন্ড পর পজিট্রনের নির্গমন থেকে। ফোটনের হিসাব নিকাশ জানা থাকলে সহজেই নিউট্রিনো বের করতে পারবেন। আর যদি নিউক্লিয়ার ফিউশনের ভয় থাকে তাহলে একটা কাজ করেন মাটির নীচে একটা টান্কি বানাইয়া উপরে অপটিক্যাল লেন্স বসাইয়া সূর্য্যের দিকে মেইলা ধরেন। আরে ভাই, সূর্য্যের ভিতরেও তো নিউক্লিয়ার ফিশন হইতেছে, তাই না?
এখন আমরা অপেরা এক্সপেরিমেন্টের আগে আরেকটা এক্সপেরিমেন্ট নিয়া কথা বলি। ২০০৭ সালের ঘটনা। হঠাৎ একদল বিজ্ঞানী ঘোষনা দিলেন তারা নাকি আলোর চেয়ে দ্রুতগতির কিছু একটা আবিষ্কার করছেন। দুজন জার্মান বিজ্ঞানী একটা মাইক্রোওয়েভ রেজোনেটরের ব্যাবস্হা করলেন সাথে দুটো প্রিজম। প্রিজম দুটোকে দুটোর বিপরীত দিকে রেখে মাঝখানের খুব সূক্ষ্ম ফাকা রাখলেন, মোটামোটি কোয়ান্টাম টানেলিং এর সমরূপ কিছু একটা। এর পর মাইক্রোওয়েভ এর মধ্যে দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেন।সিগন্যালটি প্রথম প্রিজম দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে বের হয়ে গেলেও কিছু সিগন্যাল অন্য প্রিজমের ভিতর দিয়ে প্রতিসৃত হচ্ছে। দুপাশে দুটো ফটোডিটেক্টর লাগানো ছিলো এবং বিজ্ঞানী দুজন হিসাব করে দেখলেন ফোটন গুলো প্রায় একই সময়ে পড়ছে যেটা মূলত আলোর গতির এফেক্টের চেয়েও বেশী।
মজার কথা হলো এই রিসার্চ পেপার আজো পাবলিশ হয় নাই। যদিও আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিলো আলোর গতির চেয়েও বেশী গতিতে আলো এখানে প্রতিসৃত হচ্ছে কিন্তু কাহিনী অন্য। আপনার রিসার্চ পেপারটা দেখেন। কি ভুল আছে সেটা নিয়ে মন্তব্যে আলাপ করা যাবে। তবে এটা আসলে আলোর চেয়ে দ্রূতগতির উদাহরন বললেন ভুল হবে।
এখন আসি অপেরার ব্যাপারে, কি করেছে এরা!কাজটা খুব সিম্পল। সার্নের এলএইচসির সিএনজিএস বিম পয়েন্ট থেকে ইতালীর গ্রান্ড সাসোর ল্যাবের দূরত্ব ৭৩০ কিলোমিটার।
সিএনজিএস বীম লে আউট
তো সার্নের এই সিএনজিএস বিমগান প্রোটন গুলারে 400 GeV/c এ ত্বরনায়িত করে সুপার প্রোটন সিন্কট্রোনের ভিতর তারপর তারে ম্যাগনেটের ভিতর দিয়া নিয়া যাওয়া হয় ২ মিটার লম্বা গ্রাফাইটের চেম্বারের মধ্যে যেখানে নিউট্রিনোর সৃষ্টি হবে।
এইখানে একটা কথা বইলা রাখি যারা নিউক্লিয়া ফিজিক্স সম্বন্ধে বা পাওয়ার জেনারেশন নিয়া লেখা পড়া করছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ক্যাডমিয়াম ক্লোরাইড, গ্রাফাইট এগুলান ফিউশন বা ফিশন নিয়ন্ত্রক হিসাবে ব্যাবহ্রত হয়।
যাই হোক এখানে নিউট্রিনোর দু বারে উৎপাদন হয় যার একেকটা ১০.৫ মাইক্রোসেকেন্ড স্হায়ী হয় এবং সময়ের পার্থক্য ৫০মিলিসেকেন্ড। এগুলোকে সিএনজি সাইকেল হিসাবে বলা যায় কারন এগুলো দুইভাবে এদের উৎপাদনের ব্যাপারটা নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়। তাই এগুলোকে সাইকেল হিসাবে বলা যায় যাদের প্রত্যোকটার দৈর্ঘ্য ৬ সেকেন্ড। তার মানে সুপার প্রোটন সিন্কট্রোন নিউট্রিনোর উুৎপাদনের সময়ের পার্থক্য হবে ৬ সেকেন্ড। এর পর এগুলোকে সেকেন্ডারী চার্জড মেসনের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করা হবে দুটো চৌম্বকীয় শিং এর মাধ্যমে যাতে এদের প্রবাহের দিক নিয়ন্ত্রন করা যায়।
এখানে হিলিয়ামে ভর্তি ব্যাগ এর ভিতর দিয়ে এগুলোকে চালনা করা হয় যাতে করে মেসনের ইন্টারেকশন কমানো যায়।
তারপর বীমটাকে ১০০০ মিটার লম্বা ভ্যাকুয়াম টানেলের ভিতর প্রবাহিত করানো হয় যাতে করে মেসনের ক্ষয় হতে থাকে।
মিওন ডিটেক্টর লে আউট!
পরে এগুলো ছেড়ে দেয়া হয় গ্রান্ড সাসোর ল্যাবে অপেরা ডিটেক্টরের দিকে। এই বীমের গড় শক্তি হলো ১৭ GeV।
অপেরার ডিটেক্টরের ভিতর কতগুলো লাইন বাই লাইন মড্যুল আছে।যার প্রত্যেকটা মূলত টাও ডিটেক্ট করবে। কারন যে নিউট্রন গুলো এতদূর পথ ভ্রমন করে আসবে সেগুলোতে টাও নিওট্রিনো মিথস্ক্রিয়া থাকবে যেখানে টাওয়ের হিসাবটা খুবই দরকারী। কারন এটাতো জানা নিউট্রিনো চার্জ নিরপেক্ষ এবং দুর্বল আনবিক বল বা রেডিওএক্টিভ ডিকের সাথে এর মিথস্ক্রিয়া ঘটে। তাই একে ডিটেক্ট করার জন্য ফটোগ্রাফিক ইমালশনের ইট ব্যাব হার করা হয়। এই ফটোগ্রাফিক ইমালশন গুলো একটু বিশেষ প্রকৃতির যেগুলো মূলত নিউক্লিয়ার ইমালশনের জন্য ব্যাবহ্রত হয়। আর এই ইট গুলো লিডের শিট দিয়ে মোড়ানো থাকে। প্রত্যোকটা ইটের ওজন ৮.৩ কেজি আর দুটো অপেরা সুপার মড্যুল প্রায় দেড়লাখ ইট নিয়ে তৈরী যেগুলো একেকটা সমান্তরাল দেয়ালের মতো করে রাখা হয়েছে যেগুলো প্লাস্টিকের চকমকী কাউন্টার দিয়ে রাখা।
প্রত্যোকটা সুপারমড্যুলের সাথে একটা করে ম্যাগনেটিক স্পেকটোমিটার রাখা হয়েছে যাতে করে যেসব পার্টিক্যাল এখানে ভেদ করছে তাদের কৌনিক মোমেন্টাম বা জড়তার হিসাব রাখা যায়।
সময়ের রেফারেন্স হিসাবে জিপিএসের মাধ্যমে। আর দুপাশে বীমের সাথে সময়ের হিসাবের ব্যাপারটাকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইউনিভার্সাল টাইম কাউন্টারের উপর ভিত্তি করে এলগরিদম এবং সিস্টেমের উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব ডিটেল মূলত জার্নালটায় পাওয়া যাবে।
এটা সার্নের দিকের টাইম রেফারেন্স ঠিক করার জন্য
এটা জিপিএসের মাধ্যমে টাইম সিন্ক্রোনাইজেশন
এখন আমরা কাজের কথায় আসি। এখানে নিউট্রিনোর বীম ৭৩০ কিমি ৬০ ন্যানোসেকেন্ডে পার করেছে। কনফিডেন্স লেভেল ইরর মাত্র ৫%। আলোর গতির জন্য হিসাব করলে ৩ লক্ষেরও বেশী।
সবাই চমকে যায় এই ফলাফল দেখে কারন আইনস্টাইনের থিওরীর এ সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন আর বিগত ৭ দশক ধরে লালন করা ধারনার মূলে সমুলে আঘাত। কেন এই আঘাত সেটা শেষের দিকে আলোচনা করবো আগে আলোচনা করি কে কে কি ভুল বের করলো।
এই খবর বের হবার সাথে অনেকগুলো জার্নাল, রিভিউ লেটার জমা হতে শুরু করলো যার মধ্যে দুটো জার্নাল মোটামোটি তাদের যুক্তিটি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
প্রথমটি হলো লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক প্রফেসর। তিনি বললেন গ্রাভিটি গোনায় ধরা হয় নাই।দুইটে ফ্যাসিলিটির উপর গ্রাভিটির প্রভাব এক না, তাই ঘড়ির চালচলনে এইটার প্রভাব থাকতে পারে। আমার মনে মধ্যে খটকা জাগলো, ওগো এলগরিদমে যে টাইম মিজারম্যান্ট করা হইছে সেইখানে প্যান্ডুলামের ঘড়ি কি আছিলো? থাকলে হাত তোলেন।
দ্বিতীয়টা হলো এন্ড্রু কোহেন আর শেলডন গ্লাসগোর যারা কইছে যদি ধইরাই নেয়া হয় নিউট্রিনো এরম গতিতে ঘুর ঘুর করছে তাইলে ওর সাথে আরও কিছু ক্ষয়িষ্ঞু কনিকা আছে সেগুলার ক্ষয় হইছে সারা রাস্তা ভইরা। ফলে সেইখানে এনার্জীর উৎকিরনের কিছুটা হইলেও চিহ্ন রাইখা যাইবো। যেহেতু অপেরার পোলাপান সেগুলা খুজে নাই আর যেহেতু প্লাস এনার্জী ট্রান্সফারের কারনে এর গতির তারতম্যও দেখা যাইবো সেহেতু নিউট্রিনো আসলে ঐ গতিতে যা্য নাই আর যেহেতু তারা সবকিছুর লব্ধি হিসাব করছে সেহেতু তারা আসলে অন্য কিছুর গতি বাইর কইরা ফেলাইছে!
মাফ চাই এই যুক্তি আমি নিজেই বুঝি নাই, কাউন্টার দিমু কি?
যদিও এই দুইটা পেপার জোর দিয়া সরাসরি বলে নাই যে এই এক্সপেরিমেন্টে ভুল আছে কিন্তু তারা এইটা এইভাবে বলছে যে মনে হয় এই কারন গুলা খুইজা দেখা যাইতে পারে!
যাই হোউক অখন আসি মেইন আলোচনায়। যদি ধইরাই নেই তাইলে কাহিনী কি হইবো। আমি বুঝলাম না এইটা নিয়া কেউ কোনো কথা কইতাছে না কেন। কারন ব্যাপারগুলা খুবই স হজ ভাবে ধরা দেয় যে আসলেই যদি রিলেটিভিটি না থাকে তাইলে গ্যান্জ্ঞামটা কই থিকা শুরু হয়। মনে হয় কইয়া পরে ফাসবো কিনা এইটাই তাগো ভয়!
আমার কোনো ভয় নাই কারন নেংটার কখনো চোরের ভয় থাকে না। আমি কোনো পদার্থবিজ্ঞানী না। তাই আমি যা পইড়া মনে হইছে সেইটাই কমু অখন!
১) টাইম মেশিন বানানো সম্ভব, আসলেই সম্ভব। সম্ভব হবার কথা হাইপার ডাইভ বা ডাইমেনশন থেকে ডাইমেশনে তথ্য আদান প্রদান। অন্তত এটা বলা যায় তথ্য আদানে প্রদানে খুবই দ্রুত গতির সম্ভাবনার দুয়ার খুইলা দিবে! সেই সাথে টেলিপোর্টেশনের ব্যাপারটা নিয়া নতুন কইরা ভাবা যায়!
এমনকি আপনি যদি অতীতে তথ্য পাঠানোর জন্য, তাহলে সেটাও সম্ভব!
২) ডাইমেনশন অথবা এক্সট্রা ডাইমেনশন অথবা ডি-ব্রেন তত্ব সেইসাথে গ্রাভিট্রন নামের পার্টিক্যাল আর তার সাথে ডার ম্যাটার এর অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া সম্ভব। কারন তখন এই প্রযুক্তিকে ফ্রেম অব রেফারেন্স হিসাবে কাজ করা যাবে! আর গ্রাভিট্রনের ব্যাপারে আগানো গেলে সুশীর জন্য দরকার বাকী কনাগুলোর উপর অদূর ভবিষ্যতে কাজ করা যাবে যেখানে মানুষ টাইম-স্পেস কার্ভেচার ডাইমেনশনকে নিয়ন্ত্রনে নিতে সক্ষম হবে!
অতিরিক্ত ডাইমেনশনের থিওরী গুলা তখন বাজারে আসতে শুরু করবে। যেমন তখন বলা হবে একই স্হান কাল কার্ভেচারে দুটো ভিন্ন চিত্র। যেমন ত্রিমাত্রিক ছবি বলতে আমরা পরম সমতল আর শূন্য ব্যাপারটাকে বুঝাই। কিন্তু যখনই আমরা ভর ওখানে এনে দেই তখনই হয়ে যায় চতুর্মাত্রিক। আর যখন চতুর্মাত্রিকের ওখানে অসম্ভব গতির কিছু একটা আনতে চেষ্টা করি যেটা ত্রিমাত্রিকের সবকয়টা মাত্রার দৈর্ঘ অসীমের দিকে টেনে নেয় তখন ঐ চিত্রটা পুরোই পাল্টে যায়। ত্রিমাত্রিক বেচারা বোকা হয়ে যায়। তার মানে আমাদের মধ্যেই বাস করছে আরেকটা অসম্ভব শক্তিমান একটা জগৎ!
৩) হিগস বোসন তত্ব থেকে শুরু করে রিলেটিভিটি তত্বের উপর ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এখানে সবাই হয়তো ধারনা করছেন আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি আস্তাকুড়ে নির্বাসিত হবে, কিন্তু এটা সত্য নয়। কারন ডপলার এফেক্ট থেকে শুরু করে তার আগে যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোর উপর ভিত্তি করে দাড় করানো এই রিলেটিভিটি আরও উন্নত হবে, বিজ্ঞানীদেরকে আরও অনেক সুযোগ দিবে নতুন ভাবে চিন্তা করার!
হয়তো তখন প্লান্ক স্কেলে ভরের সাথে ব্লাক হোল এবং টাইম স্পেস কার্ভেচারের চাক্ষুষ প্রমান দেখা যেতে পারে।
আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি অনুযায়ী ম্যাটার কখনোই আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে যেতে পারবে না। যখন সেটা আলোর গতিতে চলা শুরু করবে তখন ঐ কনিকার এনার্জী হবে ভরের সাথে আলোর গতির দ্বিঘাত শক্তির সমান। সে হিসাবে দেখা যাচ্ছে নিউট্রিনো এক্সট্রা এনার্জী পাচ্ছে যেখানে এর এনার্জী ক্ষয় হবার কথা। তাহলে এটা যখন ভ্রমন করছিলো তখন হতে পারে ঐ ভ্যাকুয়ামে সে এমনকিছুর সাথে ইন্টারেকটেড হইছে যার ফলে তার মধ্যে থাকা এনার্জী বৃদ্ধি পায় ফলে আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করতে শুরু করেছে। তাহলে এটা হিগস ফিল্ডের দিকে প্রথম নির্দেশনা চলে আসে!
তবে হিগসের সিগন্যাল এখনও পর্যন্ত যততুকু আপডেট তাতে এটা প্রবল ভাবে থাকার সম্ভাবনা বিদ্যমান সেখানে এই এক্সপেরিমেন্টের সত্য হবার সম্ভাবনা হলে হিগসীর জন্য বাকী ঝামেলাও মিটে যাবে! আর এটার পিছনে যদি হিগস ক্ষেত্র দায়ী হয়ে থাকে তাহলে হিগসীর মধ্যে আরও অনেক কিছু থাকবে যেটা আমাদের কল্পনার বাইরে। কিন্তু সেই হিসাবে হিগস কনিকার আন্তঃ মাত্রিক পরিভ্রমনের সম্ভাবনা প্রবল কিন্তু হিসাব মতে সেটা সম্ভব না। যদি তাকে এটা হতেই হয় তাহলে উচ্চমাত্রায় পরিভ্রমনের কারনে এর ইন্টারেকশন আচরন অনেকটা পরিবর্তিত রূপ নেবে যার ফলে সেখানে এক্সট্রা ডাইমেনশন তত্ব অথবা মাল্টিভার্স তত্বের জন্য খুবই পজিটিভ দিক!
এছাড়া টাউ নিউট্রিনোকে ডার্ক ম্যাটারের জন্য অনন্য শরীক বলা যায়, সেক্ষেত্রে ডার্ক ম্যাটারের সাথে আসলেই এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সেটা নিয়েও ভাবনার সময় এসে যাবে!
তবে এটা ঠিক আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি এখন অনেকটা ফ্লেক্সিবল হয়ে যাবে এতদিন যেটা ছিলো উচ্চ গতির পরিভ্রমনের জন্য একটা বড় বাধা!
৪) টেকিওনিক কনডেন্স বা এনভায়রন ম্যান্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এখন সেগুলোর জার্নাল গুলো খুলবার পালা। কে জানে হয়তো বা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে এমন কিছু কনিকা অপেক্ষা করছে যারা সুশীর বদৌলতে এর অংশীদারিত্ব চাইছে!
আমি যে উপ্রে এতো কিছু কইলাম দেখা গেলো এইসবের কিছুই হইলো না। দেখা গেলো ক্লাস সিক্সের সাধারন বিজ্ঞানের একটা ফুটনোটে লেখা ছাড়া আর কোনো গুরুত্বই রইলো না আগামী ৩-৪ বছর। কইবো এইটা একটা এক্সেপশনাল ঘটনা!
তবে ক্যাচাল তখনই বাজবো যদি S-depletion channel এ হিগসরে খুইজা পাওয়া যায়, যদিও পসিবিলিটি নাই আবার আছে, তাইলে এই পরীক্ষা ভুল হওন উচিত। তয় দুইটাই সত্য হয় তাইলে আর আমার জ্ঞানে কুলাইবো না!
তবে হিগস পাওয়া গেলেও টাইম মেশিনের আবিষ্কারের সম্ভাবনা উড়ায় দেওন যায় না আর যদি এই এক্সপেরিমন্ট আসলেই সত্য হয় তাইলেও সম্ভব। সো টাইম মেশিন আসলেই একটা বাস্তবতা! হয়তো এই প্যারাটা নিয়া সামনে কোনো একদিন দীর্ঘ আলোচনা করতে পারি যদিও সন্দেহ পাবলিক বুঝবো কিনা! দেখা গেলো বক্তৃতা তো আমি দিয়াই গেলাম মাগার যাগো লিগা দিলাম তারা শেষ হওনের আগেই মাঠ খালি কইরা দিলো। তাইলে তো আর লাভ নাই!
ইলিনয়েসে ফার্মিল্যাবের বিজ্ঞানীরা অখন প্লান করতাছে এইটা এক্সপেরিমেন্ট করনের জন্য।
তবে এটা যদি আসলেই সত্য হয় আর থিওরেটিক্যালি খুজে পাওয়া যায় কেন এটা হলো তাহলে এটা আমাদের বর্তমান আধুনিক ফিজিক্সের জন্য একটা বড় ধাক্কা আর বিপ্লব ডেকে আনবে!
* কিছু কনসেপচুয়াল ভুল ছিলো যেগুলো ঠিক করে দেয়া হইলো!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭