তখন ক্লাস থ্রিতে পড়তাম,, স্কুলটা বাড়ী থেকে প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার দূরে..
রিক্সা করে যাতায়াত করতাম।ঠিক সময়টা মনে নেই! পরীক্ষা চলতেছিল স্কুলে; ১ম না হয় ২য় সাময়িক...
রিক্সায় করে স্কুলে আসছিলাম মাথায় অবশ্য পরীক্ষা নিয়ে একটু টেনশন হচ্ছিল,

রিক্সা প্রায় স্কুলের কাছাকাছি চলে আসছে..এমন সময় হঠাৎ পিছন থেকে একটা মোটর সাইকেল এমন জোরে ধাক্কা দিল!!

ধপাস করে মাটিতে পড়ার সাথে সাথে রিকশাওয়ালা রিক্সা থেকে নিচে পড়ে যায়।

ব্যাচারা হাতে আর পায়ে ব্যথা পায়. আমি রিক্সার ফুট ধরে থাকায় নিজেকে সামলে নেই কোন মতে. বাইক চালক হারামজাদাটা উল্টা গালি দিয়া বাইক টান দেয়।

আমি একটু ভয় পেয়ে যাই! জীবনে প্রথম এক্সিডেন্ট,, কিছুটা হতভম্ব হয়ে যাই..

রিকশাওয়ালা কে ভাড়া দিয়ে বাকী পথ হেটেই সে দিন পরীক্ষা দিতে যাই।
**************************************************
#২
তখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম,আগের স্কুলটায়..
তখন আসা যাওয়া করতাম গাড়ীতে.সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত স্কুল থাকতো।


থাকবেই বা কেন নতুন বিয়ে করেছে না....


ব্যাটা আমার জন্য চারটা প্রর্যন্ত অপেক্ষা করতে বিরক্ত হয়ে যায়. :!>
ঐ দিনো আসতে ছিলাম নিয়মিত রকেটে ছড়ে.....
কিছুদূর আসার পর আমাদের গাড়ির সামনে একটা মাইক্রো তার সামনে একটা ট্রাক ছিল.মাইক্রো ট্রাক কে ওভার টেক করে চলে যাচ্ছিল... তাও ভুল সিগন্যাল দিয়ে।

আর আমাদের ড্রাইভার সাহেব ওভার টেক করতে গিয়ে দেখে ঐপাশে থেকে বাস আসতেছে!! :-& ঐটা দেখে যখন আবার ট্রাকের পিছে আসতে চাইলেন তখন খাইলেন সজোরে ধাক্কা!!




গাড়ীর তেমন ক্ষতি হয় নাই শুধু বাম্পারটা বেকে গেছে, টেম্পুর হেডলাইট ভেঙ্গে গেছে
টেম্পুর ড্রাইভার নেমে দেখি কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে!!


হেডলাইট ভেঙ্গেছে তার জন্য না..তার প্যান্ট ছিড়ে গেছে তার জন্য.
ঐটা নাকি আবার নতুন কিনেছিল....


ড্রাইভার কিছুক্ষন তর্কাতর্কী করে হুদাই জাড়ী দিয়া টেম্পু বিদায় করল।

সে দিন কিন্তু অনেক বড় দূর্ঘটনা হতে পারতো আমাদের গাড়ীর পিছনে টেম্পুর জায়গায়
ট্রাক বা বাস হলে এতক্ষনে পরপারের টিকেট কাটা কর্নফার্ম হয়ে যেত।

যাই হোক ভাগ্য সে বারো সহাই হল...

**************************************************
#৩
এই ঘটনাটা ঢাকায়,,বসুন্ধরা থেকে ফিরতে ছিলাম রাত ৮কি৮.৩০ হবে।
আমার সাথে ছিল এক বড় ভাই.হঠাৎ উনি বলে উঠলেন!! বুঝলি গাড়ী ঘোড়ায় উঠলে সব সময় সাবধানে বসবি। আর রিক্সায় উঠলে পা-টা নিচের কাঠে শক্ত করে দিয়ে রাখবি। আর আরেক হাত ফুট ধরে রাখবি.উনি এমন ভাবে বলতে ছিলেন মনে হয় এ সাধারণ জ্ঞানটুকু আমার নেই..যে রিক্সায় কি ভাবে বসতে হয়।

এই দিকে রিকশাওয়ালাটা একটা ১৬-১৭ বছরের ছেলে কেমন জানি তিড়িং-বিড়িং করে রিক্সা চালাইতেছে.. যাই হোক কেউ জ্ঞান দিলে তা অনুগ্রহের সাথে গ্রহণ করি।

রিক্সা প্রায় স্টার কাবাবের সামনে চলে আসছিল!! অনেক জোরে চালাইতেছিল পোলাটা।
সামনে একটা রিক্সা দাড়িয়ে ছিল,,হারামজাদা ঐটার পিছনে দিল ধাক্কা!! :-&
আমি নিজেকে সামলায়ে ঠিকি বহাল তবিয়তে রিক্সায় বসে আছি,





ব্যাচারা লজ্জায় মুখ লাল হয়ে যায় হা হা।

যদিও ঘটনাটা অনেক ফানি হয়েছে তবুও একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারতো,

সামনে যদি কোন গাড়ী থাকতো তাহলে ভাইয়া ওটার নীচে পড়তো পারতো।
বলা যায় কপাল এখানও সহায়.....

গ্রামে যাবো অথচ এবার কেন জানী একটু ভয় লাগতেছে, সড়ক দূর্ঘটনা এখন অনেক সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে,তার উপর
রাস্তা ঘাটের অবস্থা নাকি করুন। দেশটা ডিজিটাল হইলো অথছ রাস্তাঘাট এখনো এন্যালগ রয়ে গেছে।