আমার এই লেখার উদ্দেশ্যটাও কিন্তু সেইটা। যাদের একটা ফটো তুলার পর মনের ভেতর অন্য রকম একটা আনন্দ হয়, তারা আর কি কি ভাবে এই আনন্দ আরো বেশী কইরা পাইতে পারে, তার কায়দা কানুন গুলান একটু চিনায়া দেওয়া। আপাতত আপনের ক্যামেরা আসে কি নাই ওইটা নিয়া চিন্তা কইরেন না, কারন এখন যা কমু তা পড়তে হইলে ক্যামেরা জীবনে একবার দেখলেও চলবো, ক্যামেরা থাকনটা আবশ্যক না। তাইলে আসেন আর প্যাচাল না পাইরা ফটোগ্রাফির নিয়মের দুনিয়ায় প্রথম পা ফালাই।
এক্সপোজার (Exposure)
ফটোগ্রাফি জীবনের প্রথম এবং শেষ পর্যন্ত এই শব্দটা আপনার অসংখ্যবার শুনতে হইবো। তাই আমি মনে করি এইটা দিয়াই ফটোগ্রাফির টার্ম শিক্ষা শুরু করা উচিত।
ফটো কি? ফটো জিনিষটা হইলো আলোর একটা খেলা। ফ্লিম ক্যামেরার কথা যদি চিন্তা করেন তাইলে, আলো যখন সাবজেক্টের উপর থেইকা প্রতিফলিত হইয়া আইসা ফ্লিমের ইমালশানের উপর পরে তখন এর উপর আলোক সংবেদী (পুজা বেদী না.. photo sensitive

ডিজিটাল ক্যামেরায় যেহেতু ফ্লিমের কারবার নাই, তাই এইখানে এক্সপোজ হওয়া মানে হইলো ভিতরে সেনসরটার উপর আলো পড়া। ডিজিটাল আর ফ্লিম ক্যামেরা কেমনে কাম করে সেইটা নিয়া আরেকদিন লেখার ইচ্ছা রাখি। ওহন এক্সপোজারে ফেরত যাই।
তো সেনসর বা ফ্লিমের উপর আলো পড়াটারে যদি এক্সপোজার কই তাইলে এই আলোটারে কন্ট্রোল করার কায়দাটারেই আমরা বলতে পারি এক্সপোজার কন্ট্রোল করা । আলো যদি বেশী পরে তাইলে বলা হয় ওভার এক্সপোজ হইসে আর যদি কম পরে তাইলে বলা হয় আনডার এক্সপোজ হইসে। ছবি ওভার এক্সপোজ হইলে সাদা সাদা বেশি লাগে আর আনডার এক্সপোজ হইলে মনে হয় দুনিয়া বড়ই আন্ধাইর।
এক্সপোজার কন্ট্রোল করা হয় তিনটা জিনিষ দিয়া: অ্যাপারচার (Aperture), শাটার স্পিড (Shutter Speed) আর আই.এস.ও (ISO) ।
এই তিন বস্তু কি খায় না মাথায় দেয় ...সেইটা নেক্সট পোস্টে কমুনে। লিখতে লিখতে হাপায় গেসি আজকে... ওহন যাই গা.. যাওনের আগে আমার একটা ফটুক আপনেগো লাইগা গিফ্ট...হেপ্পি ফটোগ্রাফি
