পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর সংগে যোগসাজসে বদর বাহিনী সার্বিকভাবে জামাত নেতা গোলাম আজমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। এর প্রকাশ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন:
১) বর্তমান জামাতের নায়েবে আমীর মতিউর রহমান নিজামী - সারা পাকিস্থানের প্রধান
২) বর্তমান জামাতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদ - প্রাদেশিক প্রধান
৩) মীর কাসেম আলী - তৃতীয় নেতা
৪) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান - প্রধান সংগঠক
সেপ্টেম্বর ৭১ এর প্রথম দিকে গভর্নরের উপদেষ্টা রাও ফরমান আলীর সংগে বৈঠকে গোলাম আজম বুদ্ধিজীবি নিধনের অনুমোদন লাভ করেন। তার পরপরই গোলাম আজমের তৎপরতা লক্ষ্যনীয় ভাবে বেড়ে যায়। তিনি সেই সময় আল বদরের মোহাম্মদপুরের হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন কালে চরম উত্তেজনাময় বক্তব্য রাখেন। ( দৈনিক সংগ্রাম - ১৭ সেপ্টেম্বর ‘৭১)। সাথে সাথে দৈনিক সংগ্রামও তাল মিলিয়ে উত্তেজনাকর কলাম প্রকাশ করতে থাকে।
১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত হয় আল-বদর শিরোনামে একটি লেখা, যেখানে বলা হয় -
“আল-বদর একটি নাম! একটি বিষ্ময়! আল বদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আল বদর সেখানেই। ভারতের চর কিংবা দুষ্কৃতকারীদের কাছে আল বদর সাক্ষাৎ আজরাইল” ।
বাঙালী বুদ্ধিজীবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আল-বদর বাহিনীর প্রস্তুতির প্রমান পাওয়া যায় আল বদর প্রধানের ভাষনে। ২৩শে সেপ্টেম্বর ‘৭১ ঢাকার আলীয়া মাদ্রাসাস্থ বদর বাহিনীর ক্যাম্পের এক সমাবেশে বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী বলেন -
“যারা ইসলামকে ভালবাসে শুধুমাত্র তারাই পাকিস্থানকে ভালবাসে। এইবারের উদ্ঘাটিত এই সত্যটি যাতে আমাদের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা ভুলে যেতে না পারে সে জন্যে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালাতে হবে”।
যার ফলশ্রতিতে আমার দেখি ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ভয়াবহ বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবিদের নিধনের ঘটনা বিশ্ব দেখেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৯