ক্রিকেটারদের সিরিজ জয়, পুরস্কার এবং একটু অন্যরকম কথা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে আর সকলের মত আমিও প্রচন্ড খুশি হয়েছি।আর পাঁচজন বাংলাদেশির বুক গর্বে যতটা ফুলে উঠেছে আমার এক বিন্দুও কম ফোলেনি এই বিজয়ে।কিন্তু বিজয় পরবর্তী একটা জিনিস খুব খারাপ লাগল।
খেলোয়াররা ম্যাচ জিতবে, সিরিজ জিতবে এটাই হওয়া উচিৎ।বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন দেশ, তাদের একটু বেশি সময় লাগবে জেতার ধারাবাহিকতায় আসতে এটাও স্বাভাবিক।সেটা লাগছেও আর আমরাও ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করি এবং করছি বাংলাদেশ ধারাবাহিক হবে।আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা সিরিজটিই সেই ধারাবাহিকতার সূচনা করল।আমরা আশাবাদী।
সিরিজ জেতার পর বোর্ডের তরফ থেকে খেলোয়ারদের জন্য পুরস্কার ঘোষনা করেছিলেন বোর্ড সভাপতি।সেঞ্চুরী করলে এক লাখ, হাফ সেঞ্চুরী পঞ্চাশ হাজার, তিন উইকেট পঞ্চাশ হাজার, পাঁচ উইকেট এক লাখ।আমার কাছে মনে হয়েছিল এটাই ছিল খেলোয়ারদের পুরস্কৃত করার সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ।সেটা এখনও বহাল আছে বলে আমি খুশিও।কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলোয়ারদের নৈশ ভোজনে আমন্ত্রন জানিয়ে যেভাবে গাড়ি-বাড়ি এবং নগদ টাকা দিলেন সেটা একটু দৃষ্টিকটুই ঠেকেছে।প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশ ভোজনই মনে হয় যথেষ্ট ছিল।কারন যারা একটিও ম্যাচ খেলেনি এবং স্কোয়াডেও ছিলনা তাদের এত পুরস্কার দিয়ে পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন তিনি কিভাবেই বা করলেন আর স্কোয়াডে না থাকা একজনকে পুরস্কৃত করে স্কোয়াডে না থাকা অন্য কোন খেলোয়ারকে মানসিকভাবে বিদ্রোহীই করে দিলেন কিনা সেটা ভাববার বিষয়।আর যে দেশে মানুষ একটা প্লটের জন্য কত কিছুই না করছে সেখানে এভাবে একটা প্লট দিয়ে দেওয়াই বা কতটা যুক্তিসংগত হল? খেলোয়াররা খেলবেন, দেশকে জেতাবেন এটা দেশের প্রতি, তাদের পেশার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও বটে।আর কয়টা পেশার প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এভাবে সু-দৃষ্টি দিতে পারবেন?ক্রিকেট সবকিছুর পরে একটা পেশাও কিন্তু এখনকার দিনে।
এক্ষেত্রে মনে হয় এক বড়ভাইয়ের কথাই ঠিক।তিনি বলেন যে খেলোয়ারদের এতটা পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলোয়ারদের ব্যক্তিগত ভক্তদের খুশি করে জনসমর্থনের পাল্লাটা কিছুটা হলেও ভারী করার উদ্যোগ।হয়তোবা তাই ই।
জানি অনেকেই কষ্ট পাবেন এই লেখা পড়ে।কিন্তু সবকিছুই একটা সীমার মধ্যেই থাকা দরকার।একজন প্রধানমন্ত্রী খেলোয়ারদের সন্মানে যে নৈশভোজনের আয়োজন করেছেন এটাই হতো খেলোয়ারদের সবচেয়ে বড় সন্মান, সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।আর বোর্ডের পুরস্কার তো ছিলই।
কোন হিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে নয় বরং সাদা চোখে দেখলেও বলতে হয় পারফরম্যান্স অনুযায়ী বোর্ড ঘোষিত পুরস্কারের ব্যবস্থাই ঠিক ছিল।পারফরম্যান্স অনুযায়ীই পুরস্কৃত করা উচিৎ, ঢালাওভাবে এবং ইচ্ছামত নয়।থাকলেই দিয়ে দিতে হবে এটা ঠিক না।ক'বার এভাবে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এদেশের?
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন