তরুনী কথা - ১
১) যদি আপনাদের মনে এই ধরনের কোন ধারনা বা বিশ্বাস থাকে যে ছেলেরা বোকা, গাধা, সরল, ইচ্ছে মত নাচানো যায়, তাহলে আজই মন থেকে ধারনাগুলি মুছে ফেলুন, মেয়েদের সহজে বাগানোর জন্য, আরো পরিস্কার করে বলতে গেলে মেয়েদের সহজে ‘চাখার’ জন্য বহু শতাব্দী ধরে আমরা পুরুষেরাই এই ধারনাগুলি মেয়েদের মধ্যে বপন এবং লালন করেছি।
২) যারা জানেন না তাদের এই বেলা জানিয়ে রাখি, আমরা পুরুষেরা যে কি পরিমান ধূর্ত, খল এবং পরিকল্পনাবিশারদ হতে পারি তা যদি আপনারা জানতেন তাহলে সম্ভবতঃ এই সব হাবিজাবি হিন্দি সিরিয়াল দেখা বন্ধ করে দিতেন। আপনারা অনেকে হয়তো মনে করেন যে পুরুষেরা আপনাদের বুঝতে পারেনা, সবিনয়ে আরো জানিয়ে দেই আমরা অনেকেই আপনাদের খোলা বই এর মতই পড়তে পারি, যদিও সেটা আমরা কখনো প্রকাশ করিনা, না বোঝার সুবিধা প্রায় সময়ই বোঝার সুবিধার চেয়ে বেশী।
৩) ড্রেস দেখে চট করে কারো সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে ধারনা করে বসবেন না, কোটিপতির ছেলেও রং জ্বলা টি শার্ট আর লুঙ্গী পরে ঘুরতে পারে আবার বস্তীর (আক্ষরিক অর্থেই) ছেলেও ‘ক্যাটস আই’ এর কাপড় পরে মাঞ্জা মারতে পারে।
৪) কাউকেই চরম বিশ্বাস করতে যাবেন না, পর নারীর ব্যাপারে আমরা পুরুষেরা কোন অবস্থাতেই সম্পূর্ন বিশ্বাসযোগ্য না, তফাত হচ্ছে রুচিভেদে, কেউ টলে বুয়াতে আর কেউ টলে সানি লিওনে।
৫) বিপদজনক স্থান আর সময় চিনতে শিখুন। আপনি চাদনী রাতে নির্জন বনে বা ভর দুপুরে খা খা বালুচরে বেড়াতে যেয়ে ধর্ষিতা হলে অন্য কেউ অবাক হলেও আমি অন্তত অবাক হব না। কি হওয়া উচিত সেটা এক্ষেত্রে বিবেচ্য না, কি হতে পারে এবং হবে সেটাই বিবেচ্য।
৬) ‘তাকে ছেড়ে দাও, তোমার হলে সে তোমার কাছে আবার ফিরে আসবে’, এই ধরনের একটা আবুল মার্কা কথা মেয়ে সমাজে চালু আছে, সবিনয়ে জানাতে চাই এই তত্ব পোষা পাখীর ক্ষেত্রে কাজে লাগলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে মোটেই কাজ করেনা। অনেক মেয়ে বিশ্বাস করেন স্বামীকে তালাক দিলে বা স্বামীর বিরুদ্ধে নারী-শিশু কেস দিলে স্বামী তার কাছে ফিরে আসবে, পয়েন্ট টু বি নোটেড, সেটা কখনোই হয়না, অন্ততঃ নারী শিশু কেস দেবার পরে নয়।
৭) লম্বা ছেলে মাত্রেই বোকা নয়, মোটা ছেলে মাত্রেই আনস্মার্ট নয়, দাড়ীওলা ছেলে মানেই ছাগু নয়, কোন মানুষকেই তার বাহ্যিক রুপ দেখেই চট করে বিচার করা যায়না, উচিতও না। যে ছেলেকে দেখে আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে আপাততঃ হাহা-হিহি করছেন, ভবিষ্যতে বিয়ের সময় সেই ছেলের মত যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্র আপনি নাও পেতে পারেন।
৮) বিয়ের জন্য রাজপুত্র চাওয়া দোষের কিছু না, সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু রাজপুত্ররা যে রাজকন্যা চায় সেটাও মাথায় রাখলে ভাল করবেন।
৯) আপনারা পছন্দ করুন আর নাই করুন, বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের একধরনের এক্সপায়ারী ডেট আছে, আপনি যত সুন্দরীই হোন না কেন একটা বয়সের পর আপনার কাছাকাছি বয়সের কোন পুরুষ আপনাকে আর বিয়ে করতে চাইবে না।
১০) হ্যান্ডসাম ছেলেদের ‘আলুর দোষ’ থাকাটা বিচিত্র কিছু না, তবে তাদের সব চাইতে বড় দোষ যেটা আপনারা পাবেন তা হচ্ছে এই ধরনের ছেলেরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সাধারনতঃ অনভিজ্ঞ হয়, জীবনে কোন মেয়ের সাথে এরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন বোধ করেনি (জানে একটা গেলে আরেকটা আসবে) বিধায় বিয়ের পর বৌ এর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে যেয়ে এরা ভাল ঝামেলায় পরে, বৌ যে গার্লফ্রেন্ড না এটা বুঝতেই তাদের অনেক দিন লেগে যায়। বিয়ের জন্য হ্যান্ডসাম ছেলে খোজার সময় ব্যাপারটা মাথায় রাখলে উপকৃত হবেন।
১১) কোন ছেলেই বিয়ের পর সংসারের কাজে আপনাকে তেমন সাহায্য করবে না, বিয়ের পরপর কিছুদিন হয়তো করবে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেটার পরিমান কমতে থাকবে। বলে রাখা ভাল কি হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করছি না, সচরাচর যা হয় তাই বলছি।
১২) যদি কোন ছেলে আপনার শত ধরনের অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করে, তারমানে সে হয় একটা ছদ্মবেশী পাপোষ বা তার অন্য কোন ‘বৃহৎ’ মতলব আছে, সেটা আপনাকে বিছানায় নেয়া হতে পারে আবার আপনাকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়ির টাকায় বড়লোক হওয়াও হতে পারে।
১৩) বিয়ে ব্যাপারটাকে প্রায় সময় মধ্যবিত্ত ছেলেরা (সবাই না আবার) ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ সুযোগ হিসেবে দেখে, এরা প্রেম করে কেবল বড়লোকের মেয়ে দেখে এবং এরা যে পরিমান সময়, শ্রম আর টাকা এদের সম্ভাব্য ‘বৌ’ এর পিছনে ব্যয় করে, অনেক বড়লোক ছেলে সেই পরিমান সময় আর টাকা নিজের বিয়ে করা গিন্নীর পিছনেও ব্যায় করেনা।
১৪) আপনারা যতটুকু মনে করেন, ছেলেদের নেটওয়ার্ক তার চেয়ে অনেক বেশী বিস্তৃত। ভার্সিটি লাইফে কারো সাথে লটর-পটর করেছেন? দেখবেন আপনার বিয়ের সময় সেই ইতিহাস আবার মাথা চাড়া দিতে পারে, আর বিয়ের সময় না দিলেও বিয়ের পর যে দেবেনা এমন কোন কথা কি কোথাও লেখা আছে? আরেকটা কথা আপনাদের জানিয়ে রাখি, লটর-পটর করা কোন মেয়েকে কোন ছেলে তার আত্মীয়দের জন্য সাধারনতঃ রেফার করেনা
তরুনী কথা-২
20 September 2015 at 13:12
১) আপনি যদি লম্বা হয়ে থাকেন তাহলে কুজো হয়ে চলাফেরা করার কোন দরকার নেই, আপনার চেয়ে যে পুরুষেরা গড়পরতায় খাট, সেটা তাদের সমস্যা, আপনার নয়।
২) ধরে নিতে পারেন জীবন চলার পথে কেউ আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবে না, সাহস দিবে না এবং উৎসাহ তো অবশ্যই দিবে না, এগুলি সব নিজেকে নিজেই দিতে হবে।
৩) আপনি নোবেলজয়ী বিশ্ব সুন্দরী হলেও কিছু লোক আপনার সমালোচনা করবে, এগুলি নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই, শুধু মনে রাখবেন মানুষ সৃষ্টিকর্তাকেও সমালোচনা করতে ছাড়েনা, আর আপনি তো কোন ছার!
৪) ছেলেরা গার্লফ্রেন্ড বানায় হার্ডওয়ার দেখে আর বৌ আনে সফটওয়ার দেখে, ব্যাপারটা মনে রাখলে ভাল করবেন।
৫) আপনি বহু বছর আপনার সম্পত্তি আপনার ভাইদের বা অন্য আত্মীয়দের কাছ থেকে বুঝে নেননি তার মানে এই না যে সেই সম্পত্তিতে আপনার অধিকার নষ্ট হয়ে গেছে।
৬) নিজ আইনগত অধিকার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা না থাকলে আপনাকে হাইকোর্ট দেখানো হবে, নিয়মিত ভাবেই হবে।
৭) সারা জীবনে কেবল একজন নিস্বার্থ পুরুষ পেলেও পেতে পারেন, সেটা হবে আপনার বাবা (মনে রাখা ভাল সব বাবা আবার নিস্বার্থ হয়না), এছাড়া নিস্বার্থ পুরুষ আছে কেবল বই এর পাতায়।
৮) আপনার সামাজিক অবস্থান বোঝার জন্য অভিজ্ঞ পুরুষেরা তাকাবে আপনার পায়ের পাতার দিকে, মুখের বা বুকের দিকে না। আপনার পায়ের পাতায় যদি ময়লা বা অযত্নের ছাপ থাকে, নিশ্চিত থাকেন আপনি ‘বুয়া’ শ্রেনীতে গন্য হবেন।
৯) যে সব পুরুষ আপনাকে নিয়ে কুমতলব পাকাচ্ছে না, তারা সাধারনতঃ তাকাবে আপনার চোখের দিকে, সরাসরি।
১০) পুরুষ মাঝ বয়সী বা বৃদ্ধ বলে নিরাপত্তা হাল্কা করবেন না, অনেক সময় যুবকদের চেয়ে এরা অনেক বেশী হারামী হয়।
১১) পুরুষদের মাঝে ‘ফ্রী লাঞ্চ’ বলে কিছু নেই, কোন পুরুষ যদি আপনার পিছনে কিছু খরচ করে, সে ‘বিনিয়োগ’ করছে মাত্র, পরে কোন এক সময়ে সে সেটা সুদ আসলে (পারলে লিটনের ফ্ল্যাটে) উসুল করবে।
১২) খাই খাই করা বা গিফট চাওয়া প্রেমিকাদের পুরুষেরা কখনই সম্মানের চোখে দেখেনা।
১৩) বিয়ের আগে বিছানায় যাওয়া মেয়েদের পুরুষেরা স্ত্রী হিসেবে কখনোই ভরসা করতে পারেনা, প্রথমতঃ তাদের বিয়েই করতে চায়না আর করলেও চিন্তা করে_ আমার সাথে বিছানায় গেছে, আর কার কার সাথে গেছে কে জানে, অন্য কারো সাথে যাবে কিনা, তাইবা কে জানে!
১৪) কারো সাথে সেইরাম ‘ভিডিও’ করলে সেটা অবশ্যই ফাস হবে, কোথায় হবে, কবে হবে, সেটা আলাদা প্রশ্ন মাত্র।
১৫) সব পুরুষের ক্ষেত্রে এক ফর্মূলা কাজ করেনা, কেউ ধমক মানে কেউ অনুরোধ।
১৬) কোন মেয়ে যদি ভদ্র এবং বিনীত ভাবে কোন বিষয়ে সাহায্য চায়, নূন্যতম পুরুষত্ব আছে এমন যে কোন পুরুষ তখন তাকে সাহায্য করে। বিশ্বাস না হলে বাসে ভদ্র ভাবে কাউকে সিট ছাড়ার অনুরোধ করে দেখুন, সত্যিকার পুরুষ হলে সাথে সাথে সীট ছেড়ে উঠে যাবে।
১৭) সমান অধিকার চেয়ে রূড় ব্যাবহারের শিকার হলে অবাক হবেন না, অন্যপক্ষ আপনি মেয়ে হয়ে সম অধিকার চাইছেন দেখে এমন ব্যাবহার করছেন না, আরেকজন পুরুষের প্রতি যেমন ব্যাবহার করতেন তাই করছেন মাত্র।
১৮) যে বয়সীই হোক না কেন, পুরুষরা মূলত বাদর স্বভাব, কাজেই এমন কোন আচরন বা কাজ করতে যাবেন না যাতে কেউ আপনার মাথায় উঠতে পারে।
১) আপনার হবু শ্বাশুড়ী শিক্ষিত তার মানে এই না যে বাই ডিফল্ট উনি একজন ভদ্রমহিলা হবেন, বাংলাদেশে ছেলে বৌ এর ব্যাপারে কূটনামীতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত শ্বাশুড়ীতে কোন ভেদাভেদ নেই, অল দি সেম।
২) আপনার শ্বাশুড়ী যদি হিন্দি সিরিয়াল দেখেন তাহলে বমি চেপে হলেও সেটা আপনার দেখা উচিত, কারন উনি সিরিয়ালে যে সব হারামীপনা দেখবেন এবং শিখবেন, আজ হোক কাল হোক অবশ্যই সেটা তিনি আপনার উপর প্রয়োগ করবেন।
৩) আপনি যদি মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত ঘরের মেয়ে হয়ে থাকেন, তাহলে মেধাবী, সম্ভাবনাময় কিন্তু গরীব ঘরের ছেলেদের একটু চিন্তা ভাবনা করে বিয়ে করুন, আত্মীয়-স্বজনকে কতখানি আর্থিক সাহায্য করতে হবে, ‘স্ট্যান্ডার্ড অফ লাইফ’ বলতে কি বোঝায় বা কি হওয়া উচিত, সন্তানকে কতখানি সুযোগ সুবিধা আর আদর দিতে হবে এইসব খুটিনাটি বিষয়ে আপনার আর তার চিন্তাধারা নাও মিলতে পারে।
৪) সন্তানদের মধ্যে বৈষম্য করবেন না, আম-ছালা দুটোই হারাতে পারেন।
৫) ক্যারিয়ার সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শের জন্য বাবা-মার উপরে একক ভাবে নির্ভর করবেন না, আগের জেনারেশন দেখে বাবা-মারা প্রায়ই ‘ভোদাই টাইপ’ পরামর্শ দেয়, দয়া করে নেট, বন্ধু ও সেই পেশার লোকদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিন।
৬) অন্যরা আপনাকে কি বানাতে চায় তার চেয়ে অনেক বেশী জরুরী ব্যাপার হচ্ছে আপনি নিজে কি হতে চান সেটা বোঝা। নিজে কি হতে চান সেটা বিবেচনা করার সময় নিজের আগ্রহ ও দক্ষতা বিবেচনা করুন। আপনার যদি গান ভাল লাগে আর ভাল গাইতেও পারেন, তাহলে পেশা হিসেবে অঙ্কের শিক্ষকতা বেছে নেয়াটা মনে হয় খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। মনে রাখবেন ভুল পেশা হচ্ছে ভুল সাইজের জুতা পায়ে দেবার মত, কাজ চলবে কিন্তু সারাজীবন খুড়িয়ে চলবেন।
৭) পেশা বাছার আগে নিজের আর্থিক চাহিদা আর মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন, আপনার যদি সরকারী বেতনে চলার মত বা চাকরীতে বদলী মেনে নেবার মত মানসিকতা না থাকে তাহলে বিসিএস এর জন্য এত পরিশ্রম করার আদৌ কোন দরকার আছে কি?
৮) আপনার আয় নেই দেখে স্বামী আপনাকে পায়ের নীচে পিষবে বা আয় করেন দেখে মাথায় তুলে রাখবে, দুটোই ভুল ধারনা।
৯) কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবার জন্য কোন সিনিয়র (বা যেকোন) পুরুষ সহকর্মীর সাথে ইয়ে টাইপ সম্পর্কে জড়াতে যাবেন না, ব্যাপারটা ফাস হলে (বা সে আপনার ‘রূপ-যৌবন’ লুটে নিয়েছে, আপনি এমন টাইপ অভিযোগ তুললে) দেখবেন প্রতিষ্ঠান আপনাকে বরখাস্ত করে তাকেই রেখে দিয়েছে।
১০) সবাইকে সব কিছুর জন্য বানানো হয়নি, সবাই যার যার মত অনন্য, আপনি কেন অন্য কারো মত হতে পারলেন না সেটা নিয়ে কখনো মনে দুঃখ রাখবেন না, এন্ড অফ দি ডে মানুষ আপনাকে বিচার করবে, আপনাকে মনে রাখবে আপনার দক্ষতা (সংসারে বা কর্মক্ষেত্রে) এবং সহমর্মীতার কারনে, আপনি ৩২-২৬-৩২ ছিলেন কিনা সেটা দিয়ে না।
১১) সাহিত্যের সাথে, বিশেষতঃ চিরায়ত সাহিত্যের সাথে সারাজীবন সম্পর্ক রাখুন, যদি এটা না করেন তাহলে আপনার দৈহিক মৃত্যুর আগেই আপনার মানসিক মৃত্যু ঘটবে আর সাহিত্যের সাথে সম্পর্কহীন অবস্থায় আপনি যদি মারা যান, তাহলে সবার স্মৃতিতে রয়ে যাবেন কেবল এক বিরক্তিকর ‘কূটনা বুড়ি’ হিসেবে, এর বেশী কিছু নয়।
১২) মমত্ববোধ মেয়েদের একমাত্র বৈশিষ্ট্য যার সামনে পুরুষ মাত্রেই মাথা নত করে।
১) এক সাথে সব গুন কোন পুরুষের মধ্যে কখনোই পাবেন না, জাস্ট সম্ভব না!
২) বান্ধবীদের বরদের সাথে পাল্লা দেবার মত বর খুজতে যেয়ে খামাখা নিজের বয়স বাড়াবেন না। দুইজন পুরুষ কখনই একরকম হয় না।
৩) এক ধরনের আত্মীয় আছে যাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে কারো বিয়ে হয়ে গেলে বা বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে বর/কনে পক্ষের কাছে যেয়ে এই বলে হা হুতাশ করা_ এখানে বিয়ে দিচ্ছেন/দিলেন কেন? আরও কত ভাল ছেলে/মেয়ে ছিল! বলা বাহুল্য এই সব আত্মীয়ের কাছে এই সব ‘ভাল’ ছেলে/মেয়েদের খোজ কেবল বিয়ে হবার পর বা বিয়ে ঠিক হবার পরই পাওয়া যায়, অন্য সময় মাথা কুটলেও পাবেন না।
৪) সব পুরুষের ড্রাইভ এক রকম হয় না, আপনি যদি উচ্চ ড্রাইভ সম্পন্ন কেউ হন, তাহলে আপনার সাথে ম্যাচ করবে এমন কাউকেই বিয়ে করুন। যদি নিজের তেমন ড্রাইভ না থাকে, তাহলে আপনার স্বামীটি কেন ড্রাইভহীন, সেটা নিয়ে বিয়ের পর হা-হুতাশ করতে যাবেন না। বাই দি ওয়ে, প্রেমের শক্তিতে কেবল বাংলা ছবির নায়করাই জ্বলে উঠতে পারে, বাস্তব জীবনে এরকম ঘটনা কখনোই ঘটেনা। কাজেই আপনার প্রেমে লো ড্রাইভ সম্পন্ন কোন পুরুষ হাই ড্রাইভে পরিনত হয়ে যাবে, এই ধরনের আকাশ কুসুম কল্পনা এই বেলাতেই ঝেড়ে ফেলতে পারেন।
৫) জীবনে উন্নতি করবে, অনেক দূর যাবে, এমন সব পুরুষদের প্রথম চিহ্ন কি জানেন? তারা মেয়েদের সম্মান করে। মেয়েদের তুচ্ছ করার, অসম্মান করার, নীচ করার মানসিকতা সম্পন্ন পুরুষেরা কখনোই জীবনের বিশাল সাফল্যকে স্পর্শ করতে পারেনা।
৬) পুরুষেরা যত শিক্ষিতই হোক না কেন, এলাকার প্রভাব কাটাতে পারেনা। আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার এলাকার মানুষের সাথে আপনার এলাকার মানুষের মানসিকতা ম্যাচ করে কিনা তা বিয়ের আগেই বুঝে নিন।
৭) মিনমিনে স্বভাব বিশিষ্ট পুরুষ মানেই নিরীহ পুরুষ না। অনেক সময় এই ভেজা বেড়ালগুলি ঘরের বাইরে পাত্তা না পেয়ে ঘরে বৌকে পিটিয়ে (বা দুর্ব্যাবহার করে) নিজ পুরুষত্ব জাহির করে। আপনার সাথে যদি আপনার প্রেমিক বা স্বামী রাফ ব্যাবহার করে, সেটাকে দয়া করে আবার ‘পুরুষত্ব’ ভাবতে যাবেন না। মনে রাখা ভাল ‘তলোয়ার কখনো নিজ খাপকে কাটেনা’।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৪