somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেনে নিন কিভাবে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে হয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। একে অপরকে টপকে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে হয়। কাজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনে এগিয়ে যেতে হয়। আমরা প্রত্যেকেই কর্মক্ষেত্রে প্রমোশনের জন্য চাতক পাখির মতো হা করে থাকি। কিছু কৌশল ও দক্ষতার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে প্রমোশন পাওয়া যায়।
-অফিস ও বসের চাহিদা পূরণ : আপনার বসের চাহিদামাফিক আপনাকে কাজ করতে হবে আর এটাই হওয়া উচিত। জানতে হবে আপনার কাছে তার চাহিদা কি বা কি করলে প্রতিষ্ঠান আরো উন্নত হবে, হতে পারবে লাভবান? প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ করতে হবে প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার সৎ পরিকল্পনার কথা। আপনার সৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান আপনার সফলতা সম্পর্কে জানবে। জানবে আপনার দক্ষতা, কর্মক্ষমতা, কর্মস্পৃহা, সততা ইত্যাদি সম্পর্কেও। এরপরও বাচনভঙ্গি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি তো আছেই। তারপরই না পদোন্নতির প্রশ্ন। তাছাড়া কাজের মাপকাঠিতে মাপার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আপনাকে বিভিন্ন প্রকার সাময়িক কাজ দিবে। সেই কাজে দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলেই পাওয়া যাবে প্রমোশন। এরপর যদি নতুন অবস্থানে আপনার সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেন, তখনই কেবল আপনাকে নতুন অবস্থানের জন্য স্থায়ীভাবে বহাল করবে। নতুন অবস্থানে আসার পর আপনাকে আপনার নিজের কাজকেও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মনে মনে স্থির করতে হবে আপনি আপনার বর্তমান অবস্থানে সর্বোচ্চ সাফল্য দেখাতে পারবেন। নিজেকে স্থির করে নিতে হবে- 'হ্যা! আমি পারব'। আরো একটি বিষয়ে মনস্থির করতেই হবে যে, আমি আমার সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় করতে পারব। অনেকের ধারণা সকাল-সন্ধ্যা কাজ করলেই প্রমোশন পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ধারণাটা ভুল। সকাল-সন্ধ্যা কাজ করলেই প্রমোশন পাওয়া যাবে না। প্রমোশন পেতে হলে আপনার অবশ্যই কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা, কর্মস্পৃহা, উন্নত ধারণা, নতুন নতুন কাজ করার মতো সাহস থাকতে হবে, যা আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজর কাড়বে। আর এই কাজগুলো আপনাকে এনে দিবে সফলতা, পাইয়ে দিবে প্রমোশন। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেভাবে চায় তার পুরোটাই দিতে পারলে ভালো। এছাড়া প্রমোশনের ক্ষেত্রে আরো একটি জরুরি বিষয় হলো- আপনি যদি বর্তমান কাজে পুরো সফলতা ছাড়াও অন্যান্য কাজেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা অবমুক্ত করতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনার প্রতি খুশি থাকবে।

-দক্ষতাকে বিকশিত করা : আপনার উচিত ঊর্ধ্বতনকে নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা জানানো। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন ব্যস্ত থাকেন তখন অবশ্য এই কাজ করা ঠিক নয়। একটি ভালো সময় বিচার করেই আপনাকে কাজটি করতে হবে। সময়টা হতে পারে লাঞ্চের সময় কিংবা অফিস শেষে অথবা কোনো আনন্দঘন মুহূর্তে। বসের মাথা যখন ঠাণ্ডা থাকবে তখনই কেবল এমন সব নতুন ধারণা সম্পর্কে বসকে জানাতে হবে। নতুন ধারণা সম্পর্কে পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। তাছাড়া আপনার পরিকল্পনাটি আর্থিক আয়ের ক্ষেত্রে কতটা যথোপযুক্ত তার পিছনেও কিছু যুক্তি দিতে হবে। সব শোনার পর বসের মতামত সম্পর্কেও জানতে হবে।

-যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ : আপনার নতুন অবস্থানে অফিস আপনাকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে কিনা? তাছাড়া পদোন্নতি পেয়ে আপনি এখন যে অবস্থানে আছেন তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা? আপনার ঊর্ধ্বতনরা আপনাকে কিভাবে গ্রহণ করছে? আপনার আগের অবস্থানের শূন্যস্থান পূরণ করতে অফিস কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা? এসব উত্তর বের করেই আপনার উচিত নিজের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব তৈরি করা, অন্যথায় নয়। কারণ পদোন্নতির পর আপনার অবস্থানটি সাধারণত নড়বড়ে অবস্থায় থাকে। আসলে আপনি নতুন কাজটি ঠিকভাবে করতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানটির কিছু দ্বিধা থাকে। ঊর্ধ্বতনকে বুঝাতে হবে যেকোনো কাজের জন্য আপনি উপযুক্ত আর নতুন এই অবস্থানে আপনি আপনার সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম। তবে আপনি যদি নতুন কাজটিতে বহাল হওয়ার পর হতেই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে তৎপর থাকেন তবে সেই অবস্থানেও পূর্বের মতো দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবেন।

তাই আপনার উচিত নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাওয়া। কাজের সঙ্গে নাছোড় বান্দার মতো লেগে থাকা। কোনো কাজে সফলতা না পেলেই যে ভাববেন আপনি অদক্ষ, এটা মোটেও ঠিক নয়। যে কাজে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন একবার সে কাজটিই শতভাগ সফলতা এনে দিবে আপনাকে। প্রমাণ করবে কর্মক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা। যোগ্যতা, দক্ষতা, দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রমোশন আদায় করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। একে অপরকে টপকে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে হয়। কাজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনে এগিয়ে যেতে হয়। আমরা প্রত্যেকেই কর্মক্ষেত্রে প্রমোশনের জন্য চাতক পাখির মতো হা করে থাকি। কিছু কৌশল ও দক্ষতার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে প্রমোশন পাওয়া যায়।
-অফিস ও বসের চাহিদা পূরণ : আপনার বসের চাহিদামাফিক আপনাকে কাজ করতে হবে আর এটাই হওয়া উচিত। জানতে হবে আপনার কাছে তার চাহিদা কি বা কি করলে প্রতিষ্ঠান আরো উন্নত হবে, হতে পারবে লাভবান? প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ করতে হবে প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার সৎ পরিকল্পনার কথা। আপনার সৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান আপনার সফলতা সম্পর্কে জানবে। জানবে আপনার দক্ষতা, কর্মক্ষমতা, কর্মস্পৃহা, সততা ইত্যাদি সম্পর্কেও। এরপরও বাচনভঙ্গি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি তো আছেই। তারপরই না পদোন্নতির প্রশ্ন। তাছাড়া কাজের মাপকাঠিতে মাপার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আপনাকে বিভিন্ন প্রকার সাময়িক কাজ দিবে। সেই কাজে দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলেই পাওয়া যাবে প্রমোশন। এরপর যদি নতুন অবস্থানে আপনার সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেন, তখনই কেবল আপনাকে নতুন অবস্থানের জন্য স্থায়ীভাবে বহাল করবে। নতুন অবস্থানে আসার পর আপনাকে আপনার নিজের কাজকেও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মনে মনে স্থির করতে হবে আপনি আপনার বর্তমান অবস্থানে সর্বোচ্চ সাফল্য দেখাতে পারবেন। নিজেকে স্থির করে নিতে হবে- 'হ্যা! আমি পারব'। আরো একটি বিষয়ে মনস্থির করতেই হবে যে, আমি আমার সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় করতে পারব। অনেকের ধারণা সকাল-সন্ধ্যা কাজ করলেই প্রমোশন পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ধারণাটা ভুল। সকাল-সন্ধ্যা কাজ করলেই প্রমোশন পাওয়া যাবে না। প্রমোশন পেতে হলে আপনার অবশ্যই কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা, কর্মস্পৃহা, উন্নত ধারণা, নতুন নতুন কাজ করার মতো সাহস থাকতে হবে, যা আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজর কাড়বে। আর এই কাজগুলো আপনাকে এনে দিবে সফলতা, পাইয়ে দিবে প্রমোশন। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেভাবে চায় তার পুরোটাই দিতে পারলে ভালো। এছাড়া প্রমোশনের ক্ষেত্রে আরো একটি জরুরি বিষয় হলো- আপনি যদি বর্তমান কাজে পুরো সফলতা ছাড়াও অন্যান্য কাজেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা অবমুক্ত করতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনার প্রতি খুশি থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:২৫
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সারজিস আলম : শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া একজন স্বপ্নবাজ তরুণ

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫০


জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের অগণিত তরুণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান। বিগত সরকারের আমলের ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রবীণদের নীতিহীনতা নাকি নবীনদের অধৈর্য? সমাজ মেরামতির টুলকিটে কেন অনুপস্থিত ‘সহমর্মিতার পেরেক’?

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৪৮



বয়স শুধুমাত্র একটি ‘সংখ্যা’। নবীন ও প্রবীণ কে আমি সরাসরি মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই না। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে লিখলেও সরাসরি কিছু বলার দুঃসাহস কখনোই ছিলো না; আজও হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুসের বক্তব্যের ব্যাবচ্ছেদ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২০

আজ সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শুনলাম। প্রায় ৩৫ মিনিটের এই বক্তৃতা অনেকের কাছে হয়তো ঘ্যানঘ্যানানি আর প্যানপ্যানানির মতো মনে হতে পারে, কিন্তু আমি একজন রাজনৈতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৪৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



আজ ২৫ রোজা।
এই তো সেদিন রোজা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ২৪ টা রোজা শেষ হয়ে গেলো। সময় কত দ্রুত চলে যায়! আগামী বছর কি রমজান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×