জীবনের পথ কথনও মসৃন থাকেনা, থাকে বন্ধুর। বন্ধুর থাকে বলেই মানুষ তার জীবন থেকে শিখে। প্রবাদেও এর সত্যতা মেলে- "কেও শিখে দেখে আর কেও শিখে ঠেকে"। দীর্ঘ জীবনপথে নিজে যেমন বহুবার ঠেকেছি তেমনি ঠেকে যাওয়া মানুষের সান্নিধ্যও পেয়েছি। এসব কিছু থেকেই হয়েছে কিছু আত্মউপলদ্ধি, জন্মেছে কিছু বিশ্বাস।
গুরু-শিষ্যের কথোপকথনে নিজের কিছু উপলদ্ধি বা বিশ্বাসের কথা বলার ইচ্ছে বহুদিনের। তেমন ইচ্ছে থেকেই ফেইসবুকে ধারাবাহিকভাবে মাঝেমাঝে লিখছি নিজের বিশ্বাসের কথা। নিজের বিশ্বাস অন্যদের বিশ্বাসের সাথে মিলিয়ে দেখার আগ্রহ থেকেই এ লেখা।
জানি, অনেকেই আমার চিন্তার সাথে একমত হতে পারবেন না। সেটাই স্বাভাবিক, সেটাই সুন্দর। আমি শুধু চাইব ভিন্নমত নিয়েও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে। আর কথা নয়, চলে যাওয়া যাক গুরু-শিষ্যের আলাপচারিতায়।
গুরু-শিষ্যঃ ১
-------------
গুরুঃ কাজ করবে আনন্দ নিয়ে, তবেই জীবন হবে সুন্দর!
শিষ্যঃ কিন্তু সব কাজতো আনন্দময় নয়। তবে কি আনন্দহীন কাজ থেকে বিরত থাকব?
গুরুঃ না, সেসব কাজকে আনন্দময় কাজে পরিনত করবে।
শিষ্যঃ কাজকে আনন্দময় করার নিয়ম কি?
গুরুঃ এটা জীবন দক্ষতা, সবার জন্যই আলাদা। তোমাকে তোমার জীবন থেকেই এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে!
গুরু-শিষ্যঃ ২
-------------
শিষ্যঃ আমিতো বড় হচ্ছি। যা কিছু ভাল লাগে, যা কিছু সঠিক মনে হয় তার সবই কি করতে পারিনা?
গুরুঃ না, পারনা।
শিষ্যঃ কেন?
গুরুঃ দু'বছর আগে যা যা করেছ তার অনেক কিছুই কি ভুল প্রমানিত হয়নি?
শিষ্যঃ জ্বী, হয়েছে।
গুরুঃ তাহলে এখন যা সঠিক মনে হচ্ছে ক'দিন পর একইভাবে সেটাওতো ভুল প্রমানিত হতে পারে।
শিষ্যঃ এখন তাহলে কি করব?
গুরুঃ বর্তমানের সব ভাললাগাকেই সন্দেহের চোখে দেখবে। কারণ, বর্তমানের ভাললাগাগুলোর ভেতরেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোন ভুল!
এ পর্যায়ে একটু কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ লেখাটি আপনি পড়েছেন। পরের পর্বগুলো লিখব আপনাদের মন্তব্যের ভিত্তিতে। ভাল হোক সবার।