পিনকুশনে আলপিনের ভিড়ে
যেমন একটা পিন আলাদা হয়ে থাকে রাতদিন
নিসঙ্গ - কেবল আলাদা এক ধাতু-পিন,
একা এক চিকুরসজ্জা কৃষ্ণ কাঁটা,
ঠিক তার পাশেই বহমান ফল্গুধারায়
টুপ টাপ মুঠোফোন ব্যস্ত থাকে
যে মানুষ ব্লটিং পেপার হয়ে সময় শুষে নিতে পারে
তাকে পাশে রে্খেও প্লেসিড ঘুর্ণিশান্ত কেউ - বড় একা,
একটা কিছু চলছে, না জানিয়ে, সন্তর্পণে...
আকাঙ্খিত মুঠোর উষ্ণতায়
বোতামে বোতামে আঙুল স্পর্শ করে, দূর থেকে কথা-ছবি, কথা-যান্ত্রিকতা, চলছে!
ল্যাপটপের ঠাণ্ডা গায়ে লেগে থাকে বরফ,
এবং ডাইড ফুলের ফ্লাওয়ারবেইসে
ছিটকে পড়ে গাঢ় নীল চুলের কাঁটা।
যেন একটা ব্লু হর্নেট শব্দ করে ভোঁ ভোঁ করছে
ঘড়ি থেকে ক্ষুদ্র সময়ের ঋণ মিলছে না,
একটা ক্রিস্টালের ঘড়ি চলছে তারই মত,
একই ছাদের তলায়,
মেঝেতে একটা পতঙ্গের কাল ছায়া,
তখন যদি সে ডাকে
-শুনছো?
অধিকার হারানোর গান থাকে,
বন্ধুদের কাছে বাটে পড়ে চুলের সখ্যতার কথা
জলদি কুমিরের মাথা ঘুরে শিকার গিলে খাবার মত
উত্তর আসে নীরবে -মানে সময় নেই, ব্যস্ত। কিংবা এখানে নয় ঐ দূরে কোথাও..
দূরে এক ট্রামের লাইনের উপর কাপড় শুকাতে দেয়,
কাছের চুলে কাঁটা আলপিন
স্মৃতির ছবি থেকে কাপড় মোছা এমোনিয়ার এক ছবি আসে -
বাস থেকে নামবে তার সুসময়,
ক্যাফেইনের দুপাশে বসে থাকবে,
কিছুতেই তখন একা হতে পারবে না,
দুপাশে বসলেও ম্যাগনেট লোহা,
দ্রুত ঘন হয়ে যাবে দুধচিনিকফি,
শুধু সে পাশে থাকলে যাবতীয় একাকীত্ব পালাতো।
-
ড্রাফট ১.০ / ব্লগে মন্তব্যকৃত