রক্তের ফিনকিতে জল ভাঙে কামটের কুঁজের ভোজালি?
অভিষপ্ত হার্পুনে বিধে প্রাণ নিজেকে বিষেছে একাকী!
টিক টিক সেক্সট্যান্টে রৌদ্রতপ্ত বাতাসের হলকা
নম্বরের দ্রাঘিমায় অতিক্রান্ত বিষের শলাকা,
শুষ্ক দেহ অক্ষিকোণে অভাব সলিল
অগত্যা লবনের কণাসহ -
চেটে খায় অর্ধপরিশ্রুত দশ ফোটা নীর
অঙ্কিত আদিম মানচিত্রে পিথারগোরাসের চাকা
দুরবীনে দুই বৃত্ত, শুন্য ছায়া, নেই কোন এলবাট্রসের ডানা
হারকিউলিস শক্তিহীন কালপুরুষ মুছে দিয়ে পথ ভোলায় চাঁদ
হ্রদের পানিতে নেই চিরুনী, নারকেলের হাত!
অলক্ষে চলছে মনে তুঘলকি খেলা
লাগাম টেনে অশ্বস্থির জাহাজের ভেলা,
কম্পাসের দৃষ্টি-কানা জলের মাহুত মৃত প্রায়
অথৈ সমুদ্রের পালে ঐরাবত ডিঙা ভেসে যায়
ক্লান্ত প্রায় দিকভ্রান্ত জলহীন, খোলা হাওয়ায় উর্ধ্ব মরিচীকা
সলিলচাবুকে জাহাজের তলা ঝরঝর, মলয় ঝটিকা
চোখের কুয়ার মাংসে কর্নিয়া দুলছে টলমল,
শুন্য হৃদয়ের মঞ্চে ফাসপুর্বে আরেক ফোটা জল
স্থল প্রার্থী, খাদ্য ভিক্ষা, প্লেগের ইঁদুর জন্মেছে পচনের ঘ্রাণে
অস্থির জলদস্যু মুহুর্তে উড়াবে সংকেত করোটি-নিশানে
পিঙ্গল রঙে, প্রবাল, কাঞ্চন, কোরালের ভয়ার্তপ্রতিমা
রাত হয় ভোর রয় বিরহ ছাড়া কবি কিছুই জানেনা
মহীসোপানে নোঙর ছুয়ে দুর থেকে ...অবশেষে বয়ে আসে বন্দরের গান, বিরহযাত্রা সরাইখানায় নুপুরে শ্রান্ত হয় প্রাণ,
জলমাটি যদিও খুব সাধারণ,
বিরহের গায়কীতে শান্তি আনে অসাধ্য অর্জন
কঙ্করে থুবড়ে পড়া দেহ-অস্থি, ক্রোশ তপ্ত পোড়া বালির ময়দান
সহসা বালিয়াড়ি, প্রশান্তি -
সুমিষ্ট জল হাতে হেসে ওঠে মরু কন্যা বনলতা সেন