-----ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা ৫ মিনিট। কক্সেবাজরের হোটেল সি...’ সামনে রিকসা থেকে নামেন রবি ও শংকর। হোটেলে রুম আছে কি না জানতে রিসিভশনের দিকেই যাচ্ছেন তারা। ডুকতেই দেখে এক তরূণী ভিতর থেকে দরজাটা টেনে ধরেছেন। কিন্তু হঠাৎ দরজা ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেল তরুণী।
--দূর থেকে আওয়াজ আসল এই ‘রাই’ রুমে কিছু ছেড়ে আসিনি তো। না-না তা হবে কেন? তুই তাড়াতাড়ি আয়। গাড়ি ছেড়ে যাবে তো। ১২.১০ বেঁজে গেছে। আর মাত্র ২০ মিনিট পড়েই গাড়ি ছেড়ে যাবে। রবি ভিতরে ডুকেই ওবাক হয়ে দুইজনের কথা শুনছিলেন। সে ভাবছিল মেয়েটি হোটেলেরই কেউ হবে। কাস্টমার রিসিভকরার জন্যই হয় তো দরজা টেনেছে। কিন্তু কেনই বা মেয়েটি দরজা টেনেই চলে গেলে। নাকি তাদের দেখেই চলে গেলে।
--ভাবতে না ভাবতেই রবির দিকে ঘুরে তাকাল মেয়েটি। দুইজনেই প্রায় মুখোমুখি। মেয়েটি চোঁখে চোঁখ পড়ে রবির। একটুর জন্য ধাক্কা লাগেনি। সেও দেড়ি না করে চোঁখ মারে দেয় মেয়েটিকে। মেয়েটিও মুচকি হেসে দ্রুত চলে যায়। রবি ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে থাকে মেয়েটি দিকে।
--শংকরের ডাকে হুস ফেরে তার। এগিয়ে যায় রিসিভশনের দিকে। শংকর তো রাগে ফায়ার। ব্যাটা তোর জন্য রুম বুকিং দিতে পারলাম না। একটা এসি রুম ছিল তাও বুক হয়ে গেল। এখন শুধু হানিমুন স্যুট আছে। থাকবি কিনা বল? কি আর করার। যেই কথা সেই কাজ। হানিমুন স্যুটেই ওঠে পড়ল তারা। হোটেল ম্যানেজার সজিব বলল স্যার আপনরা চাবি নিয়ে যান, আমি রুম পরিস্কারের ব্যবস্থা করছি।
রুমে ডুকতেই দেখি-দিব্বি ফ্যান চলছে। মনে হলো-এই মাত্র কেউ রুম ছেড়ে চলে গেল। রুম থেকে পরফিউমের গন্ধাও পাওয়া যাচ্ছে। মনে হলো কোনো মেয়েই ছিল রুমে। রবিকে পোষাক পরিবর্তন করতে বলেই ওয়াশ রুমে গেলে শংকর। রবিও আর দেড়ি না করে তারা লাফিয়ে পড়ল বিছানায়। কম্বল টেনে শুয়ে পড়ে সে। সারাদিনের জার্নিতে কান্ত দু’জনেই। রবি একটু বেশি কান্ত। সে সারাদিন কিছুই খায়নি। অন্যদিকে আবার জ্বরও চলে এসেছে। শংকর ওয়াশ রুম থেকে বেড়িয়েই চিলাতে শুরু করেছে। এই ওঠ গোসল করে ঘুমা, ভাল লাগবে। তাকে আর ওঠাতে পারলনা শংকর।
--ওদিকে হোটেল বয় এসে ডাকছে- স্যার রুমটা পরিষ্কার করে দেব। ভিতর থেকে শংকর বলল না কাল সকালে এসে পরিস্কার করিও। আজ থাক। শংকর আর না ঘুমিয়ে টিভি দেখছে আর ভাবছে একতো হানিমুন স্যুট তাতে আবার মেয়েদের পারফিউমের গন্ধা। না জানি কারা? হানিমুন করতে এসেছিল? কী কী যে তারা করেছে। আহারে রুম টা পরিস্কার করে নেওয়াটাই ভাল ছিল। এসব ভাবতেই রাত ২টা বেজে গেল।
--- ঘুমাবে ভাবছে শংকর। কিনউত কি আর করার ক্ষুধা ক্ষুধা লাগছে তার। রাতে খাবার পাবে কোথায়? দেখে পাশেই ছোট্ট একটি ফ্রিজ। ফ্রিজে কি আছে তা কে জানে। দেখি তো কিছু আছে কি না? ফ্রিজ খুলতেই তার চোঁখ পড়ে কিছ’ জন্ম বিরতি করণ পিলের দিকে, সাথে কিছু চকলেট ও জুস রয়েছে। আর রয়েছে আপেল,আঙ্গর ও কমলা। ডিপে রয়েছে আইসক্রিম। আপেল নিয়ে ফ্রিজ বন্ধ করল সে। এসময় তার চোঁখ গেল উপরের একটি বক্সের দিকে।দেখে সেখানে কিছু কনডমের আইটেম (চলবে)