তবে উনি গাছের ডাল দিয়ে মাটিতে একটা নকশা একে দেন। ম্যাপ এর আগা মাথা কিছু বুঝি নাই। শুধু একটা কথা মাথায় গেঁথে গিয়েছিল- সব কয়টা পাহাড়ের খাঁজ ডানে মোড় নিবে। এরপর শুরু হল এক অমানুষিক এক্সপিডিশন। এই পাহাড়ের ডাউন ট্রেইল, আবার আপ ট্রেইল, ঝিড়ির ট্রেইল, হাজার হাজার জোকের ট্রেইল, খাড়া খাড়া জুমের ট্রেইল, ৪-৫ বছর আগের জুমের জংলি ট্রেইল। যাদের এই সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছে তারা বুঝবেন পুরান জুম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি?? ভর দুপুরে জংলি কলা বাগানের পাহাড়ে রাস্তা হারিয়ে ফেললাম। ডানে তো যাব পরে, মোড়ই তো খুঁজে পাইনা।
অবস্থা এমন হয়েছে যে ফেরার রাস্তাও খুঁজে পাচ্ছিনা। ডানে মোড়ের মায়রে বাপ বলে মাথা থেকে সব ম্যাপ ট্যাপ ঝেড়ে ফেললাম। পাঁচ মিনিট মাথা ঠান্ডা করে ভাবতাম বসলাম। মাইনুল ভাই থেকে শেখা কিছু বেসিক টেকনিক এখন কাজে লাগাতে হবে। ঝর্না থাকলে পাহাড়ের খাঁজ গুলোর ফরমেশন একটু অন্য রকম হবে, সব চেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ঝিরি ধরে ধরে মেইন স্ট্রিম ফলো করে এগিয়ে যাওয়া। সবকিছু ভুলে আবার ট্রেকিং শুরু করলাম। পুরানো একটা জুমের রাস্তা ফলো করে একটা একটা ঝিড়িতে এসে পরলাম। এই ঝিড়ি টাই কিছুক্ষন পর একটা বড় ঝিড়িতে মিশে গেল। ঘন্টা খানেক পরই কাঙ্খিত সেই গমগমে আওয়াজ কানে আসল। নতুন উদ্যোমে পা চালানো শুরু করলাম। শেষ বিকালের আলোয় এরপর যা দেখলাম- পুরা মাথা নষ্ট। অবাক হয়েছি এর হাইট দেখে।
প্রেজেন্টিং ইউঃ ২৫০+ ফিট উচ্চতার পনি টেইল শেইপের একটা লুকানো ওয়াটার ফল।
বান্দরবান।