শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এর জীবনের কোন না কোন সময় মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হন।
শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ মাঝে মাঝেই মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হন।
শতকরা ১২ ভাগ মানুষ মাইগ্রেন নামক তীব্র মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হন।
শতকরা ৪ ভাগ মানুষ প্রতিদিন মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হন।
মাথা ব্যাথার ধরন
টেনসন এর মাথা ব্যাথা - সব মাথা ব্যাথার মদ্ধ্যে এটি সবচেয়ে বেশী ( শতকরা ৭৮ ভাগ) হয়। মাথার চািরদিকে ফিতা বা ব্যান্ড এর মত চাপ ধরা ব্যাথা হয়, মাথা ব্যাথার সাথে ঘাড়েও ব্যাথা থাকে। সাধারনত এ ধরনের মাথা ব্যাথা ওষুধ বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এমনিতেই সেের যায়।
মাইগ্রেন এর মাথা ব্যাথা - মাথা ব্যাথার রোগীদের শতকরা ৯৪ ভাগই মাইগ্রেন এর রোগী।
মাথার এক পাশে ব্যাথা, ব্যাথা শুরুর আগে অস্বস্তিকর অনুভূতি থাকে ( ১৫% রোগীর খেত্রে)। ব্যাথার সাথে বমিভাব বা বমি হয়।
সাইনাসের মাথাব্যাথা – সাইনাসে ইনফেকশন থাকে, জ্বর, নাক বদ্ধ বা নাক দিয়ে পানি পড়া থাকতে পারে। শতকরা ৯০ ভাগ সাইনাসের রোগীর মাইগ্রেন থাকে অপরদিকে শতকরা ৫০ ভাগ মাইগ্রেন রোগীর সাইনাসের মাথাব্যাথা থাকে।
ক্লাষ্টার মাথা ব্যাথা - এটি সাধারনত কম হয়, শতকরা মাত্র ১/২ জনের হয়। এটি অসম্ভব তীব্র ব্যাথা, চোখ এবং কানের আসেপাশে হয়, ব্যাথা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি প্রতিিদনের মাথাব্যাথা - প্রতি ২০ জনে ১ জনের এই দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যাথা হয়। চোখের সমস্যা, মাইগ্রেন বা অতিরিক্ত ওষুধের কারনে দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যাথা হতে পারে।
মাথা ব্যাথার চিকিৎসা
টেনসন এর মাথা ব্যাথা হলে অ্যাসপিরিন ( DISPRIN), আইবুপ্রফেন (INFLAM) বা এসিটামিনোফেন (NAPA) জাতিয় ওষুধ ব্যাবহার হয়।
মাইগ্রেন এর মাথা ব্যাথা হলে সাধারন ব্যাথানাশক ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মত অনান্য ওষুধ খেতে হবে। অন্ধকার এবং নিশব্দ ঘরে বিশ্রাম, ঘাড়ে ঠান্ডা সেক এবং অল্প পরিমান দুধছাড়া চা মাইগ্রেন এর মাথা ব্যাথায় উপকারী।
ক্লাষ্টার মাথা ব্যাথার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি দীর্ঘদিন ওষুধ খেতে হবে।
মাথাব্যাথা কমাবার ৮টি সাধারন পরামর্শ
১ নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নিতে হবে।
২ বরফ দিয়ে ঠান্ডা সেক।
৩ হালকা ব্যায়াম।
৪ ভিটামিন ও মিনারেল ট্যাবলেট।
৫ পর্যাপ্ত পানি বা তরল।
৬ হালকা ম্যােসজ
৭ অল্প গরম পানিতে গোসল।
৮ একেবারে খালিপেটে না থেকে বারেবারে অল্প খাবার খাওয়া।
তথ্যসুত্র - মাউন্ট সিনাই মেডিকেল সেন্টার, নিউইয়র্ক।
© Dr. Shahriar Mostafa