কিছু কিছু কবিতার,
ঠাই হয় না খাতায়।
এদের সারা শরীর জুড়ে থাকে,
অজস্র ক্ষত।
লাল ক্ষত, নীল ক্ষত-
শুকিয়ে যাওয়া কালো কালির ক্ষত।
যে ক্ষত একসময় লুকিয়ে ছিল,
কবির বুকে।
যে বুক এক নিমিষে ফালাফালা করে ফেলা যায়!
তবু মুখে একটা টু শব্দ বেরোয় না!
কিলবিল করা শব্দগুচ্ছ জমতে থাকে।
জমতে থাকে সেরিব্রাল কর্টেক্সে।
কর্টেক্স ভারী হতে থাকে ক্রমাগত!
ফলাফল: খিচুনী!
মারা যায় লক্ষ লক্ষ নিউরোন,
হারিয়ে যায় হাজার হাজার শব্দ,
বিলীন হয়ে যায়-
মহামূল্যবান "স্মৃতি"।
কবির এখন "ডিমেনশিয়া"!
সে "আমার" রোগী,
যে আয়নার সামনে একাকী বসে থেকেও,
"আমাকে"ই আর চিনতে পারেনা!
কিছু কিছু কবিতার,
ঠাই হয় না খাতায়।