#ত্রিকোণমিতি-২#
ভাগ্যদেবী মহা ধূর্ত,অতি ভয়ংকর;
সৌভাগ্যের আড়ালে সে-
ভীষন স্বার্থপর।
"রাজার ঘরে সবই আছে-
'টাকাটা'ই তো মুখ্য,
'ভাগ্য' যদি 'অর্থে' মেশে-
থাকবে কিসের দুঃখ??
মাতাল কবি ছন্নছাড়া,অর্থ নেই এক রত্তি;
আত্মপ্রেমে মগ্ন সদাই,'আত্মা'তে আসক্তি।"
ধূর্ত দেবী বিধাতাকে বোঝান কু কৌশলে-
"মর্খ কবি চিনবে আমায়-
তাহার কাছে গেলে??
সুখ-দুঃখে'র অনুভূতি কবির কাছে সমান;
সুভাগ্য তার নেই প্রয়োজন,
অকাট্য এই প্রমান।"
উপরয়ালা হেসে বলেন "ভাগ্যদেবী তুমি-
রাজার প্রতি মোহগ্রস্থ,আমি অন্তর্যামী।"
এই অধিকার তোমার ছিল-
"যাবে কাহার সাথে।"
এরপরে কি ঘটবে তা নেই,
তোমার-আমার হাতে।
#৩#
আপোসে যেই ভাগ্য এল দুঃখী রাজার পাশে,
রাজার প্রাসাদ ভরে গেল সুখের সর্বনাশে;
অসীম সুখের শেষে কি হয়-
তা কারও নেই জানা,
রাজার মনে স্বেচ্ছাচারী দানব দিল হানা।
"সুখ আসলে অশরীরী-
দুখের প্রতিচ্ছবি,"
এই কথাটা জানতো শুধু আত্মভোলা কবি।
হঠাৎ করেই ভাগ্য পেল দুর্ভাগ্যের ছোয়া,
ভাগ্যদেবী সর্বহারা,সবই গ্যাছে ক্ষোয়া!
দুহাত তুলে উপরয়ালার কাছে চাহেন ভীক্ষা,
স্রষ্টা বলেন"এটা তোমার কর্মফলের শিক্ষা;
রাজপ্রাসাদে গিয়েছিলে কপোট কুকৌশলে,
দুর্ভাগ্যের দেবী তুমি সেই পাপেরই ফলে।
কবির শূন্য ঘরেতে যাও,দুর্ভাগ্যের বেশে-
কবির ঘরে সুভাগ্যতে ফিরবে সময় শেষে ;
মাতাল কবির সরল মনে,
নেই কোন আসক্তি-
স্বচ্ছ মনের স্পর্শে তোমার-
পাপের হবে মুক্তি।।
৷ Dr.Devil ।