নান্টুর গানের পাশাপাশি একটু কবিতা লেখার বাতিকও আছে। গানের খাতায় কখন কী মনে করে নান্টু কবিতাটি লিখেছে। একুশের প্রভাত ফেরীতে যেতে আসতে যে গানগুলো হবে, তার রিহার্সেল দিতে সবাই নান্টুদের বাসায় জড়ো হয়েছে।
সবাই কী পরবে, গানের পরিক্রমা কী হবে এসব নিয়ে মহা ব্যাস্ত। গান না হলে গনেশের হাত নড়ে না। গনেশ সভার মুল বক্তব্য না শুনলেও তেমন কিছু যায় আসে না, গানের সাথে কখন তেহাই দিতে হবে, সেটা ভাল করেই জানে। আর তাই সবাই যখন কথার খৈ ফুটিয়ে, কবিতার ছন্দ ডিঙ্গিয়ে প্রভাত ফেরীর দিকে এগুচ্ছে। তখন গনেশ নান্টুর কবিতায় তাল আর সুরের জাল বুনে যাচ্ছে।
হয়তো গনেশ নতুন গানের সন্ধানে ছিল, নান্টুর খাতায় তা পেয়ে গেল।
খোলে চাটি দিয়ে সবার দৃষ্টি আর্কষণ করে, গুনগুনিয়ে নান্টুর লেখা গানটি একবার গাইল গনেশ।
মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনল সবাই। আমাদের পাড়ার প্রভাত ফেরীর গান আমরা পেয়ে গেলাম।
গলায় হারমোনিয়াম আর খোল ঝুলিয়ে একুশের ভোরে আমরা নান্টুর গান গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিলাম। গান শুনে বিটিভি-র লোকেরা ঘিরে ধরলো। নান্টু একটু নার্ভাস হয়ে গেল! গান এত ভাল হল! বিটিভির লোকেরা তা রেকর্ড করল।
সন্ধ্যায় টিভির সামনে বসে ফজলে খোদা গীতিকারের নামে নান্টুর গান দেখলাম শুনলাম কিন্তু বুঝতে পারলাম না, গীতিকারের জায়গায় নান্টুর নাম কেন এলো না!
এর পর নান্টু আর গান লিখেনি (নান্টু=ব্লগার তীরন্দাজ, ঘটনা সত্য)!