মামুনুর রশিদ: আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব অনেক হৃদয়বান মানুষ, সরল মানুষ ও বলা যায়। এই সরলতায় তার কাল।
প্রশ্ন হচ্ছে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে কি সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে নাকি তিনি নিজেই লন্ডনে বক্তব্য দিয়ে পরিস্তিতি ঘোলাটে করেছে?
আফসানা মিমি: আমি অন্তত যতটুকু ইউটিউবে দেখেছি ওনার বক্তব্য আমার কাছে আপত্তিকর কিছু মনে হয়নি।
আফসানা মিমির কাছে আমার প্রশ্ন আপনি ইউটিউব দেখার সময় কি কানে তুলা দিয়ে রেখেছেন?
যদি তুলা না দিয়ে থাকেন তবে উনি যে বলেছেন তাদের বাসায় প্রায়ই মদের আড্ডা হতো, অনেকেই সেখানে যেত। আনন্দ পূর্তি করতো। এই কথাগুলো আমাদের সাংবাদিকদের জন্য আপত্তিকর তো বটেই ধিক্কার জানানোর মতও। তার ওপর পরকিয়ার কথা তো আছেই। এখন কেউ যদি বলে আফসানা মিমির বাসায় অনেকেই যায় মদের আড্ডাও বসে...। এই কথাগুলো কি আপনার জন্য আপত্তিকর হবে? ডোন্ট মাইন্ড উদাহরণ দিলাম।
চয়নিকা চৌধুরী: তার ভালো কাজ গুলোকে মনে রেখে তাকে সাহায্য করব তার পাশে থেকে। তাকে যেন সে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারি।
প্রশ্ন: চয়নিকা চৌধুরী আপনি বলুন তো তিনি কি এমন খারাপ কাজ করেছে যে আপনি তার ভালো কাজের কথা মনে রেখে তাকে সাহায্য করতে চান? কোন বিপদ থেকে আপনি তাকে উদ্ধার করতে চাইছেন?
আপনার জামাই অরুণ চৌধুরীর ভন্ডামির কথা কিন্তু এখনও জাতি ভুলে যায়নি। স্বামীর ঘটনা না হয় ধামাচাপা দিয়েছেন তাই বলে কি এবার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
জাহিদ হাসান: অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। দেশে বিদেশে মাহফুজুর রহমান প্রাণখোলাভাবে অনেক কথাই বলেন। যেটা কেস করা হচ্ছে তা অস্বস্তিকর। সেটা কখনও ভালো লাগেনা।
প্রশ্ন: জাহিদ হাসান সাহেব, সাংবাদিকদের প্রতিবাদ আপনার কাছে অস্বস্তিকর লাগছে? কেন রে ভাই ইদানীং এটিএনএ আপনার পরিচালনায় লাল নীল বেগুনী ভালোভাবে প্রচার হচ্ছে বলে? শুধু অভিনয় নয় আপনে তো মেয়া তেল মালিশ ও ভালো পারেন।
শহীদুজ্জামান সেলিম: এক ধরনের তামাশা দেখার জন্য কিছু লোক তাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। ব্যক্তিগত জেলাসি আছে, পূর্ব শত্রুতা আছে।
প্রশ্ন: সেলিম সাহেব শত্রুতা করে কোন সাংবাদিক কি তাকে লন্ডনে প্রুটিকা জুস খাওয়াইয়া দিছে?
তৌকির আহমেদ: একটি খন্ডিত ইস্যু কে ক্যাপিটাল করে এটাকে সেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিরে ভাই, সাংবাদিকদের দোকানদার বানাইয়া দিলেন?
শাহরিয়ার নাজিম জয়: এই চক্রটা অনেক স্ট্রং, এই চক্রটার সঙ্গে যৃদ্ধ করতে হলে আমাদেরকে অনেক স্ট্রং হতে হবে।
প্রশ্ন: তা আপনার স্ট্রং চক্রের কার্যক্রম থেমে গেল নাকি? সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্ট্রং হয়ে রাস্তায় নামবেন না?
গোলাম ফরিদা চন্দা: মাহফুজুর রহমানের সাহে আমার যেদিন প্রথম পরিচয় হয় সেদিনই আমি বুঝতে পারি উনি অনেক বড় মনের মানুষ। বিশাল মনের মানুষ।
আপনার বক্তব্যের জবাব কি দিমু চন্দা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। পুরা টেনশনে পইড়া গেলাম।
সেদিন আরো অনেকেই সেখানে গলাবাজি করেছেন, যাদেরকে শুধু এখন ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে। কারণ তারা পরিস্থিতি উল্টো দিকে ঘোরাতে গিয়ে নিজেরাই এখন বক্তব্য গোরানোর চেষ্টা করছেন।
তবুও এদেরকে চিনে রাখা এ জাতির জন্য প্রয়োজন। কারণ এরা টাকার জন্য সবই করতে পারে।
তারা যাই করুক আমরা সাগর-রুনির হত্যার বিচার চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:০৯