আর কত! প্লিজ এবার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পাশে দাঁড়ান
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
প্রতিদিন যদি আমরা এক তরকারী দিয়ে ভাত খাই তখন ওই তরকারীর ওপর অনীহা আসাটাই স্বাভাবিক। গত ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন শুরু হয়েছে, যার ফলে আজ পর্যন্ত প্রায় প্রতি সপ্তাহে দরপতনের জন্য মতিঝিলের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে পুঁজি হারানো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ করতে করতে এখন হাঁফিয়ে উঠেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা, গত কয়েকটি আনন্দের ঈদও কেটেছে তাদের বেদনায়। সবশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা হবার পর বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে বাজার আবার সেই আগের জায়গায়।বেশ কিছুদিন ধরে অব্যাহত দরপতনের কারণে আজ এসইসি লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলছে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই তারা লেনদেন বন্ধ রেখেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ হঠাৎ কেন এসইসি নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ঘন ঘন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে দিন দিনেশেয়ার বাজার সূচক হারাচ্ছে বলে টিভি নিউজে বাজার বিশেষজ্ঞদের বলতে দেখা যায়। গত এক বছর ধরেই চলছে ধরপতন আর বিনেয়োগকারীদের বিক্ষোভ, জ্বলেছে মতিঝিলের রাস্তায় টায়ার। কিন্তু এভাবে আর কত? ব্যাংকগুলো কয়েকবার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েও সে পরিমাণ বিনিয়োগ করেনি। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বাজারে আসতে বললেও তারা আসছে না। সম্প্রতি কিছু নতুন সিদ্ধান্তের কারণে বাজার আগের ধারায় ফিরে গেছে বলে অভিযোগ করছে বিনিয়োগকারীরা। একটা মানুষের শরীরে যখন রক্ত সল্পতা দেখা দেয় তখন হয়তো রক্তের অভাবে তাকে বাঁচানো যায় না। শেয়ারবাজারের থেকেও অনেক রক্ত অথ্যাৎ টাকা চলে গেছে, অতএব যত সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন পর্যাপ্ত পরমিমাণ রক্ত দেয়া ছাড়া আর শেয়ারবাজার সুস্থ হবেনা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোন দলের নয় শুধুই ইনভেস্টম্যান, তাদের বউ বাচ্ছার কথা চিন্তা করে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। বিক্ষোভ করতে করতে আজ তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, এই ক্লান্ত শরীর নিয়েও তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যারা শেয়ার বাজার কে এ অবস্থানে নিয়েছে, তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে বাজারে টাকা ইনভেস্ট করে অথ্যাৎ রক্ত দিয়ে শেয়ারবাজার টাকে বাঁচানো উচিত। কিছু চোর বাটপারের কারণে কেন আজ সাধারণ মানুষ পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নামবে? তাই বলব আর কত! প্লিজ, এবার না হয় শেয়ারবাজার কে বাঁচিয়ে তুলুন। টিভিতে শেয়ারবাজারের দরপতনের খবর দেখতে দেখতে আর ভালো লাগে না, ভালো লাগে না মতিঝিলের রাস্তায় টায়ার পুড়তে দেখতে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
=একটু সৃজনশীল হও=
খেয়ে দেয়ে আরামসে ঘুম, এ জীবন বুঝি
খাও দাও ঘুমাও এ কর্ম রোজই,
টিকটকে ভিডিও, ফেসবুকের রিল,
তাতেই করছো সুখ ফিল?
সাজুগুজু, প্রাশ্চাত্যের ড্রেসাপ, হাই হিলে হাঁটা
ব্যস! এমন অহমে পূর্ণ জীবনে ঝাঁটা
নেই সংসার গুছানোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে ?
আওয়ামী লীগের মিছিলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার ডেমরা-উত্তরা- বাড্ডা - মিরপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করছে। প্রায় তিনমাস ধরে রাস্তায় মিছিল নামানোর প্রস্তুতি ছিলো। মিছিলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি- যেদেশে হাসির জন্যও প্রাণ দিতে হয়!
কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম হবু চন্দের আইন কবিতা নিয়ে, যেখানে কান্নার বিরুদ্ধে রাজা আইন জাড়ি করেছিলেন.....আজ লিখতে হচ্ছে- হাসির জন্য প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিছু কিছু মানুষ জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তা কাজে লাগাতে পারে না
নারীর বাড়ি দিনাজপুর। স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল কয়েকদিন। এরমধ্যে ফেসবুকে রংপুরের কাউনিয়ার যুবক শামীমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরে মোবাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন
৭১ না দেখেও কেবল ইতিহাস পড়ে যদি আপনি ৫৩ বছর পরে এসেও পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে পারেন। তাহলে নিজ চোখে ভারতের আগ্রাসন দেখেও চুপ কেন?
প্রথমেই শুরু করতে চাই সীমান্ত হত্যা নিয়েঃ -
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী দ্বারা ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি হত্যা করা হয়েছে। ভারত সরকারের বাংলাদেশের সীমান্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন