somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গরু চোরাচালানের অর্থনীতি, বিএসএফ প্রধানের ঔদ্ধত্য ও আন্তর্জাতিক আইন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সীমান্ত হত্যার প্রসংগ উঠলেই এতদিন বিএসএফ বলতো “আত্মরক্ষার জন্য” তারা “বাধ্য হয়ে” গুলি চালায়। এখন নিরস্ত্র বাংলারদেশী নাগরিকদের হত্যার ঘটনা উদঘাটিত, এমনকি নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিককে নির্মম নির্যাতনের ভিডিও ফাস হওয়ার পর বিএসএফ প্রধান ইউ কে বনশল বলছে সীমান্তে যতক্ষণ “অপরাধমূলক কর্মকান্ড” চলবে ততক্ষণ বিএসএফ গুলি চালাবে। তথাকথিত বন্ধুত্বের নামে ভারতের সাথে বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীর নতজানু আচরণের ফলাফল হলো বিএসএফ এখন “আত্মরক্ষার্থে গুলি করিতে বাধ্য হইয়াছি” জাতীয় অযুহাত দেয়ারও প্রয়োজন মনে করছে না, পরিষ্কার ঔদ্ধত্যের সাথে জানিয়ে দিচ্ছে কথিত অপরাধ দমনের নামে গুলি বা অন্য যে কোন উপায়ে তারা খুন করছে এবং করতেই থাকবে । প্রশ্ন হলো, বিএসএফ কে এই খুনের লাইসেন্স কে দিল? বিএসএফ কি নিজেই এখন আদালত যে কথিত অপরাধ দেখলেই তারা তাৎক্ষণিক আদালত বসিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে দিতে পারে? ভারতের আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন এ বিষয়ে কি বলে? আর কথিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডই বা কি আর এর জন্য দায়ী কে বা কারা এবং এর ফলে লাভবানই বা কে বা কারা সে বিষয়গুলোও একটু বিবেচনা করা দরকার।

গরু চোরাচালানের অর্থনীতি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিদিন বৈধ বাণিজ্যের সমপরিমাণ বা তারও বেশি পরিমাণে ফেন্সিডিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভারতীয় ভোগ্য পণ্যের কোটি কোটি টাকার চোরাচালান হলেও “অবৈধ কর্মকান্ড” বলতে মূলত ভারতীয় গরু বাংলাদেশে চোরাচালানের কথাই বলা হয়েছে কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় খুন হয়ে যাওয়া ব্যাক্তি ভারত থেকে গরু পাচার করার সময়ই বিএসএফ এর হাতে খুন হয়। বিএসএফ প্রতিবার সীমান্ত হত্যাকান্ড ঘটানোর পর নিহত বাংলাদেশী নাগরিককে গরু চোরাচালানী বলে অভিহিত করে যেন কেউ গরু চোরাচালান করলেই তাকে দেখা মাত্রই গুলি করা জায়েজ হয়ে যায়! প্রশ্ন হলো নিহত ব্যাক্তি যদি গরুচোরাচালান করেই থাকে, তাহলে সে কি চোরাচালান একাই করেছে? অন্য সব পণ্য চোরচালানের মতোই গরু চোরাচালান একটি যৌথকর্ম যার সাথে ভারতীয় বিক্রেতা এবং বাংলাদেশী ক্রেতা উভয় পক্ষই যুক্ত। সীমান্তের এই গরু চোরাচালানের মানে এই না যে বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা ভারতে গিয়ে গরু চুরি করে আনছে, বরং এটা উভয় পক্ষের মধ্যে বেসরকারি ভাবে ও রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ঘটা একটা বাণিজ্যিক লেনদেন, যেখানে ক্রেতা, বিক্রেতা, মধ্যস্বত্ত্বভোসহ বিভিন্ন ব্যাক্তি-গোষ্ঠী’র স্বার্থ নানান মাত্রায় যুক্ত থাকে।

ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে ভারত থেকে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ। কিন্তু ভারতে গরু উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ভারতের ব্যাবসায়ীদের স্বার্থেই এই গরু বেশি দামে বাংলাদেশের বাজারে রপ্তানি করা প্রয়োজন। ভারতের হারিয়ানা কিংবা রাজস্থানে যে গরুর দাম ৫০০ রুপি, চোরাচালানের জন্য যখন বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয় হাত বদল হতে হতে পশ্চিম বঙ্গে এসে সেই গরুর দাম হয় ৫০০০ রুপি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত পেরুলেই এর দাম হয় ১৫ হাজার রুপি যা রাজধানী ঢাকায় আরো অনেক বেশি দামে বিকোয়। এর ফলে একদিকে বাংলাদেশের ভোক্তাদের বার্ষিক মোট চাহিদার প্রায় অর্ধেক গরুর মাংসের যোগান হয় (যদিও এর ফলে দেশীয় গরু পালনকারীরা মারত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং বাংলাদেশের নিজস্ব গরু উৎপাদন খামারগুলো বিকশিত হতে পারছেনা) অন্যদিকে ভারতীয় উৎপাদনকারীরা ৫০০ রুপির গরু ১৫ হাজার রুপীতে বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারে যদিও এই অর্থের একটা বড় অংশই বিভিন্ন মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাতে চলে যায় যার মধ্যে ভারতের রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিএসএফও যার অংশীদার নইলে রাজস্থান থেকে ১ হাজার মাইল পারি দিয়ে বছরে ১৫ লক্ষেরও বেশি গরু বাংলাদেশের বাজারে পৌছতে পারত না। সূত্র:
Battle of Cattle at Indo-Bangla border

Where's the beef? Indians don't want to know

এখন গরুচোরাচালান সিন্ডিকেটের সাথে বখরা নিয়ে বিএসএফ এর বিরোধ ঘটলে উপরের স্তরের বিশেষত ভারতীয় গডফাদারদের বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারলেও হুমকি হিসেবে নিয়মিতভাবেই গরু আনা-নেয়াকারী নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে খুন করে কিংবা নির্যাতন করে বিএসএফ তার বখরা আদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই হলো ভারতীয় গরু চোলান বাণিজ্যের রাজনৈতিক অর্থনীতি ও বিএসএফ এর আদালত সেজে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড দমনের নামে খুন-নির্যাতনের আসল মাজেজা।

ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন: সীমান্ত-হত্যা যে অবৈধ এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনেরই বহি:প্রকাশ তা বোঝার জন্য কোন আইনি দোহাই লাগেনা। তারপরও চলুন দেখা যাক, বিএসএফ প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী, সীমান্তে গরু চোরাচালান বা অন্য কোন অপরাধ দমনের নামে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনযায়ী বিএসএফ সীমান্ত হত্যা চালাতে পারে কি-না।
ভারতের কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর সেকশান ৪৬ অনুসারে:
(1) In making an arrest the police officer or other person making the same shall actually touch or confine the body of the person to be arrested, unless there be it submission to the custody by word or action.
(2) If such person forcibly resists the endeavour to arrest him, or attempts to evade the arrest, such police officer or other person may use all means necessary to effect the arrest.

(3) Nothing in this section gives a right to cause the death of a person who is not accused of an punishable with death or with imprisonment for life
সূত্র: http://www.vakilno1.com/bareacts/CrPc/s46.htm

অর্থাৎ অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য সকল ধরণের প্রচেষ্টার বৈধতা দেয়া হলেও মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জিবন সাজা হওয়ার মতো অপারাধে লিপ্ত না হলে কোন ভাবেই হত্যা করা যাবে না।

অন্যদিকে ১৯৯০ সালে কিউবার হাভানায় জাতি সংঘের অষ্টম কংগ্রেসে গৃহীত Basic Principles on the Use of Force and Firearms by Law Enforcement Officials নামের
নীতিমালা অনুসারে:

4. Law enforcement officials, in carrying out their duty, shall, as far as possible, apply non-violent means before resorting to the use of force and firearms. They may use force and firearms only if other means remain ineffective or without any promise of achieving the intended result.

5. Whenever the lawful use of force and firearms is unavoidable, law enforcement officials shall:
( a ) Exercise restraint in such use and act in proportion to the seriousness of the offence and the legitimate objective to be achieved;
( b ) Minimize damage and injury, and respect and preserve human life;
( c ) Ensure that assistance and medical aid are rendered to any injured or affected persons at the earliest possible moment;
( d ) Ensure that relatives or close friends of the injured or affected person are notified at the earliest possible moment.
সূত্র: http://www2.ohchr.org/english/law/firearms.htm

অর্থাৎ জাতি সংঘের নীতিমালাতেও আইন প্রয়োগের বেলায় মানুষের জীবন রক্ষার ব্যাপারে(preserve human life) সর্বোচ্চগুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সুতরাং ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কোন আইনেই বিএসএফ সীমান্তে কথিত অপরাধ দমণের জন্য মানুষ হত্যা করতে পারেনা, নিপীড়ন চালাতে পারেনা।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন :
Extra Judicial Killing in India-Bangladesh Border


মেক্সিকোর উদাহরণ ও বাংলাদেশের নতজানু শাসক:
মেক্সিকো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে একটি খুন হলেও শুধু মেক্সিকো না, সারা দুনিয়ার সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়ে যায়, মেক্সিকো’র নতজানু শাসকেরাও প্রতিবাদ জানায় এমনকি মার্কিন ফেডারেল সরকারকে বিপুল অর্থ খেসারত দিতে হয়।
সূত্র: Settlement Reached in Border Killing Civil Case
গত ২০১০ সালের জুন মাসে মেক্সিকোর সীমান্তে পাথর ছোড়ার অপরাধে মার্কিন বর্ডার পেট্রোল গার্ডের হাতে মেক্সিকোর এক তরুণ খুন হওয়ার পর মেক্সিকো কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী Patricia Espinosa তীব্র প্রতিবাদ জানান:
"We firmly repudiate and reject the violent actions by U.S. authorities in the last few days that have led to the deaths of Mexican citizens,"

এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট Felipe Calderon ঘোষণা করেন:
"The government of Mexico will use all means available to protect the rights of Mexican migrants,"

সূত্র: Mexico protests shooting death of teen at Texas border

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপুমণি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর নিয়মিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে এই ধরণের কড়া ও স্পষ্ট অবস্থান তো দূরের কথা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে জবাবদিহি চাওয়া এবং বারবার হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যূতে পরিণত করার কোন চেষ্টাই বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে করা হয়না, উল্টো সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি সীমান্ত হত্যা বিষয়ে মোটেই চিন্তিত নয়! অর্থাৎ এ ধরণের নতজানু বক্তব্যের মাধ্যমে এমনিতেই নাচুনি বুড়ি খুনে বিএসএফকে ঢোলে বাড়ি দিয়ে আরও খুনের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয় যার ফলে বিএসএফ প্রধান সীমান্তে “গুলি চলবে” জাতীয় চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার সাহস পায় এবং একই দিনে আমরা পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য চুক্তি নবায়ণ কিংবা বাংলদেশের বিপিএল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় কালচার ইন্ডাষ্ট্রির স্টারদের আমাদানী করে নাচানোর তৎপরতার খবর পাই।

অথচ প্রতিদিন বৈধ-অবৈধ যে বিপুল পণ্য ভারতের ব্যাবসায়ীরা বাংলাদেশে রপ্তানি করে তার কোনটাই এমন কোন পণ্য নয় যা বাংলাদেশকে ভারত থেকেই কিনতে হবে, চীন থাইল্যান্ড বা বিশ্বের অন্য কোন দেশ থেকে কেনা যাবে না বা ক্রমশ নিজেরাই উতপাদনে যাওয়া যাবে না। ক্রেতা দেশ হিসেবে পণ্য কেনা বন্ধ করার হুমকী দিয়ে ভারতীয় বিক্রেতা গোষ্ঠীর মাধ্যমে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীর উপর চাপ প্রয়োগ করে, দেশ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহি:স্কারের হুমকী দিয়ে, ট্রানজিট বন্দর ইত্যাদি ব্যাবহার বিষয়ক আলোচনা বন্ধকরে দিয়ে, সীমান্ত হত্যাকান্ড বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক ইস্যূতে পরিণত করে ইত্যাদি নানা ভাবেই বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে ভারতকে বাধ্য করা যায়। কিন্তু নতজানু শাসক গোষ্ঠী ব্যাক্তিগত-গোষ্ঠীগত-শ্রেণীগত স্বার্থে সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে মোটেই উৎসাহিত নয়। যেন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা-কর্মসংস্থানের মতো নাগরিকের জীবনের অধিকার নিশ্চিত করার দ্বায়িত্বটিও নিতে অস্বীকার করছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। আমরা মনে করি, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ভারতের কাছ থেকে নদ-নদীর পানির হিস্যা আদায় সহ অন্যান্য বিরোধ মীমাংসার জন্য ব্যাক্তিগত ভাবে পণ্য বর্জনের আন্দোলনটিকে বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার (নইলে গদিচ্যুত করে দ্বিদলীয় কিংবা দ্বিজোটিয় ধারার বাইরে সংখ্যারিষ্ঠ জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈকি শক্তির ক্ষমতায়ন করা) আন্দোলনের সাথে যুক্ত করা জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪১
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×