বিশ্বের মোট উৎপাদিত তেল গ্যাসের ৮.৩% সরবরাহকারী রাশিয়ার এই জায়ান্ট কোম্পানিটি ঘুষ-দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, চুক্তি ভঙ্গ, চুক্তির বাইরে বাড়তি অর্থ দাবী করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া ইত্যাদি নানা কারণে কুখ্যাত যাকে গত ২০১১ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও রেভিনিউ ওয়াচ ইন্সিটিউট তাদের যৌথ জরীপে বিশ্বের সবচেয়ে অস্বচ্ছ কোম্পানি হিসেবে নির্বাচিত করেছে !
এই কুখ্যাত মাফিয়া কোম্পানির হাতে বিশেষ জ্বালানি আইন এর দায়মুক্তির সুযোগে বিনা টেন্ডারে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয়ে ১০টি কুপ খননের কন্ট্রাক্ট দিয়ে এবং ভবিষ্যতে পেট্রোবাংলার সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার ও জ্বালানি সেক্টরের মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করার দ্বায়িত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বস্তুত বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে নতুন আরেকটি ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগ্রাম:
রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের সাথে ১০টি গ্যাস কুপ খননের এই চুক্তির প্রেক্ষাপটে রয়েছে গত ২০০৯ সালের ১২ জুলাই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নেয়া ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগাম। এই প্রোগ্রামের আওতায় গত ১৬ আগষ্ট, ২০০৯ সালে পেট্রোবাংলা Augmentation of Gas Production under Fast Track Program নামে একটি ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপজাল বা ডিপিপি প্রস্তত করে জ্বালানি মন্ত্রনালয়ে পাঠায় যেখানে দেশের গ্যাস উত্তোলণ ত্বরান্বিত করার জন্য বিদেশী কন্ট্রাক্টর ভাড়া করে ৩,১০০ লাইন কিমি সিসমিক সার্ভে, তিতাসে ৪টি এবং রশিদপুরে ২টি গ্যাস কুপ খননের পরিকল্পনা তৈরী করা হয়। ডিপিপি অনুসারে বাপেক্সের মালিকানাধীন ৩,৬,৮ ও ১১ নাম্বার ব্লকের মোট ৩,১০০ লাইন কিমি দ্বিমাত্রিক সিসমিক সার্ভে, বিজিএফসিএল এর মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৯,২০,২১,২২ নং গ্যাসকুপ খনন এবং এসজিএফএল এর রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৮নং গ্যাস কুপ খনন ও ৫নং গ্যাস কুপ ওয়ার্ক ওভার করার কাজ অক্টোবর ২০০৯ সালে শুরু হয়ে ডিসেম্বর ২০১২ এর মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
বাপেক্স যে কাজ গুলো স্বল্প খরচে করতে পারে সে কাজগুলোই বিদেশী কোম্পানিকে ভাড়া করে বাড়তি খরচ বহন করে করার পেছনে যুক্তি দেখানো হয় স্বল্প সময়ে সিসমিক সার্ভে ও কুপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় সিসমিক ক্র ও পর্যাপ্ত ড্রিলিং রিগ ও দক্ষ জনশক্তি না থাকা। অথচ বাস্তবতা হলো, ২০০৯ সালের অক্টোবরে শুরু হয়ে যে “ফাস্ট ট্র্যাক” কাজ ২০১২ এর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা সেই কাজ আজকে ২০১২ সালের জানুয়ারি’তে এসে আমরা দেখছি এখনও শুরুই হয় নি! টেন্ডারে নির্বাচিত কোম্পানির মামলা মোকদ্দমা এবং নির্বাচিত কোম্পানির কাজ করতে অস্বীকৃতি ইত্যাদি নাটকের মাধ্যমে দুই বছরেরও বেশি সময় নষ্ট করার পর এখন আবার কোন ধরণের দরপত্র আহবান ছাড়াই ১৮ মাসে কাজ সম্পন্ন করার কথা বলে মোট ১০টি কুপ খননের চুক্তি করা হচ্ছে রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সাথে।
ফাস্ট ট্র্যাক কতটা ফাস্ট?
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক “এ প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমকে ফাস্ট-ট্র্যাক রুপে গণ্য করে ডিপিপি প্রণয়ন, ভুমি হুকুম দখল/অধিগ্রহণ, সরকারী অর্থ সংগ্রহ/বরাদ্দ, উক্ত প্রোগ্রামের প্রযোজ্যতা অনুযায়ী পিপিআর/পিপিএ-২০০৮(পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এক্ট বা রুল-২০০৮) এর কতিপয় ধারা বিশেষ করে টেন্ডার সময়সীমা, আরএফকিউ এর অর্থ সিলিং, আন্তর্জাতিক শপিং, আন্তর্জাতিক মালামালের কান্ট্রি অব অরিজিন, দরদাতা প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম/সর্বোচ্চ সংখ্যা ইত্যাদি শিথিল করণ” করা হলেও দুই বছরে কাজের কাজ কিছুই হয় নি। সিসমিক সার্ভের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা চীনা কোম্পানি বিজিপি’র বদলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ফ্রান্সের কোম্পানি সিজিজি ভেরিতাসকে কন্ট্রাক্ট দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে সার্ভের কাজ আটকে রেখেছে বিজিপি। বাপেক্সের সর্বশেষ মাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে-“2D Seismic Survey under Fast Track Programme” শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে BGP Inc., CNPC, China কর্তৃক হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিটপিটিশন (Writ Petition No.2005 of 2001) এর কারণে 2D seismic contractor Hiring প্রকৃয়া বর্তমানে স্থগিত আছে।“
সূত্র: বাপেক্সের মাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন, অক্টোবর ২০১১
অন্যদিকে তিতাস ও রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৬টি গ্যাসকুপ খনন/ওয়ার্ক ওভারের জন্য গত ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পোল্যান্ডের কোম্পানি ওজিইসি ক্রাকাউ’কে নির্বাচিত করা হলেও তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রে লিকেজ থাকার কারণ দেখিয়ে ক্রাকাউ কোম্পানি গত ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে কাজ করতে অস্বীকৃত জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
সূত্র: http://www.bgfcl.org.bd/list.html
অথচ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে দিয়ে কাজগুলোর করানোর পরিকল্পনা করা হলে দুই বছরের বেশি সময় এভাবে বৃথা নষ্ট হতো না, ফাস্ট ট্র্যাক স্লো ট্র্যাকে পরিণত হতো না। জরুরী ভিত্তিতে ১ বছরের মধ্যে বাপেক্সের প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতি ক্রয়/ভাড়া করার ব্যাবস্থা করা হলে বাকি এক/দেড় বছরে সিসমিক সার্ভে ও গ্যাস কুপ খননের কাজ প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে যেত। সেই সাথে বাপেক্সের ক্যাপাসিটির’ও স্থায়ী বৃদ্ধি ঘটতো যা পরবর্তীতেও গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলণ বাড়ানোর কাজে লাগতো।
গ্যাজ প্রমের সাথে চুক্তি:
এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে সংকট তৈরী ও জিইয়ে রেখে এখন সংকট নিরসনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে গ্যাস উত্তোলণের নামে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি(বিশেষ বিধান) বিল ২০১০” নামক কালো আইনের দায়মুক্তির ছত্রছায়ায় বিনা টেন্ডারে রাশিয়ার গ্যাজ প্রমকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগামের আওতায় নেয়া প্রকল্পের মধ্য থেকে তিতাসের ৪টি ও রশিদপুরের ১টি কুপের সাথে নতুন করে বাপেক্সের মালিকানাধীন ৫টি কুপ যুক্ত করে মোট ১০টি কুপ খননের কন্ট্রাক্ট দেয়া হচ্ছে। সূত্র: সমঝোতা চূড়ান্ত : ১০টি কূপ খনন করবে গ্যাজপ্রম এ লক্ষ্যে গত ৩১ অক্টোবর ২০১১ থেকে ০৩ নভেম্বর ২০১১ পর্যন্ত গ্যাজ প্রমের প্রস্তাবিত কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব নিয়ে পেট্রোবাংলার সাথে গ্যাজপ্রমের “অনানুষ্ঠানিক” আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ, গত ২১ ডিসেম্বর ২০১১ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি গ্যাজ প্রমের সাথে চুক্তির ব্যাপারে সম্মতি জানায় যা আগামী ০৯ জানুয়ারি গ্যাজপ্রমের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসার পরপরই স্বাক্ষরিত হবে বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্যাজপ্রম এর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিজিএফসিএল এর মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ৪টি, এসজিএফএল এর মালিকানাধীন রশিদপুরের ১টি এবং বাপেক্সের মালিকানাধীন বেগমগঞ্জ,শাহাবাজপুর,শ্রীকাইল,সেমুতাং ও সুন্দলপুর এই ৫টি - মোট ১০টি গ্যাস কুপ খননের চুক্তি হচ্ছে। তিতাস ও রশিদপুরের কুপ গুলোর প্রতিটির জন্য ২০.০৬ মিলিয়ন এবং বাপেক্সের প্রতিটি কুপের প্রতিটির জন্য ১৮.৬৪ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১০টি কূপ খননের জন্য গ্যাজপ্রমকে মোট ১৯৩.৫ মিলিয়ন ডলার বা ১,৫৪৮ কোটি টাকা দিতে হবে। ফলে গড়ে একেকটি কূপ খননের খরচ পড়বে ১৯.৩৫ মিলিয়ন বা প্রায় ১৫৫ কোটি টাকা করে। এভাবে গ্যাজপ্রমকে বাড়তি খরচে কন্ট্রক্ট দেয়ার সপক্ষে যুক্তি হিসেবে পিএসসি চুক্তির আওতায় অন্যান্য বিদেশী কোম্পানির কুপ খননের খরচের সাথে গ্যাজ প্রমের দাবী করা অর্থের তুলনা করা হচ্ছে (সূত্র: 10 wells to be drilled with Russian help, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১ ডেইলিস্টার )। বলা হচ্ছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালে পিএসসি চুক্তির আওতায় বিদেশী কোম্পানি কর্তৃক কুপ খননের গড় খরচ পড়েছে ২০.৪১ মিলিয়ন ডলার বা ১৬৩ কোটি টাকা করে। সুতরাং গ্যাজপ্রমকে গড়ে ১৯.৩৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৫৫ কোটি টাকা করে কন্ট্রক্ট দেয়া যুক্তিযুক্ত। অথচ এই তুলনা করার সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের গড় খরচের কথার কোন উল্ল্যেখ দেখা যায়না। বাপেক্সের একেকটি কুপ খননের গড় খরচ ৭০/৮০ কোটি টাকা যা গ্যাজপ্রমের প্রস্তাবিত খরচের অর্ধেক। উদাহরণ স্বরুপ: বাপেক্সের নিজস্ব লোকবল ও রীগের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন মোবারকপুর অনুসন্ধান কূপ খননে ৮৯.২৬ কোটি টাকা(গভীরতম কূপ),শ্রীকাইল-২ কূপ খননে ৮১.১২ কোটি টাকা, সুন্দলপুর কূপ খননে ৭৩.৬৫ কোটি টাকা(প্রকৃত ব্যায় ৫৫ কোটি টাকা) এবং কাপাসিয়া কূপ খননের জন্য বাপেক্সের ৭০.১৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
সূত্র: বাপেক্সের মাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন, অক্টোবর ২০১১
ষ্পষ্টতই, এভাবে গ্যাজপ্রমের প্রস্তাবিত গ্যাস কুপ খননের খরচের তুলনা বাপেক্সের সাথে না করে অন্য বিদেশী কোম্পানির সাথে করার মানে হলো, পুরনো লুটপাটের দোহাই দিয়ে নতুন লুটপাট জায়েজ করা।
বাপেক্সের সক্ষমতার অভাবের যুক্তি
অথচ সময় মতো অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে দিয়ে বাপেক্সকে একদিকে বিদ্যমান দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যাবহার করতে দেয়া হচ্ছে না, পঙ্গু করে রাখা হচ্ছে অন্যদিকে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়তে দেয়াও হচ্ছে না যা গত একদশকে বাপেক্সের নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারী অর্থবরাদ্দের হারটি দেখলে সহজেই বোঝা যায়:
একদিকে পেট্রোবাংলা বাগাড়াম্বর করে মিডিয়ায় বিবৃতি দিচ্ছে দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো কিভাবে "বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের প্রশ্ন ওঠে,তা বোধগম্য নয়” বলে অন্যদিকে ছলে-বলে কৌশলে নানান ভাবে গ্যাস সম্পদ লুটপাটের আয়োজন জারি রাখছে। আসলে স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলণে বাপেক্সের যে দক্ষতা ও বিদেশী কোম্পানির চেয়ে কয়েকগুণ কম খরচে কাজ করার যে উদাহরণ রয়েছে এবং জাতীয় সম্পদের মালিকানার প্রশ্নে সারাদেশে পিএসসি চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গড়ে উঠেছে,তাতে স্থলভাগের গ্যাস ক্ষেত্র নতুন করে পিএসসি চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়াটাকে দেশবাসির কাছে কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য করা যাবে না একথা শাসক শ্রেণী ভালো ভাবেই বুঝে গেছে। তাই এখন স্থলভাগে দক্ষতার অভাবের কথা না বলে বলতে শুরু করেছে ক্যাপাসিটি অর্থাৎ একসাথে অনেক কূপে কাজ করার ক্ষমতা না থাকার কথা। বাপেক্সকে দিয়ে নাকি একসাথে অনেক কূপে অনুসন্ধান ও উত্তোলণ কাজ করানো যাবে না,কারণ বাপেক্স এর পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোক বলের অভাব আছে। কথাগুলো এমন ভাবে বলছে যেন গ্যাস উত্তোলণের প্রয়োজনীয় রিগ মেশিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও লোকবলের অভাব একটা চিরস্থায়ী সমস্যা যার কোন সমাধান করা যায় না! অথচ গ্যাসের সংকট তো হঠাৎ করে নাযিল হয় নি,দিনে দিনে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত উত্তোলণ না হওয়ায় সংকট ও বেড়েছে। তাহলে দিনে দিনে বাপেক্সের ক্যাপাসিটি চাহিদা অনুযায়ি বাড়ানো হলো না কেন কিংবা এখনও বা কেন ক্যাপাসিটি আরো বাড়ানোর উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশী কোম্পানির পেছনে ছোটা হচ্ছে? ক্যাপাসিটি না বাড়ানো হলে তো চিরকাল-ই পরনির্ভরশীল হয়ে নিজেদের সম্পদ বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মূল্যে কিনে যেতে হবে। তাই ক্যাপাসিটি আসলে মূল কথা না,মূল কথা হলো কন্ট্রাক্ট,জয়েন্ট ভেঞ্চার ইত্যাদি বিভিন্ন কৌশলে গ্যাস সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার ধান্দা যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে বা খাতাকলমে গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মালিকানা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের হাত থাকলেও কার্যত বিদেশী কো্ম্পানির মুনাফার বাড়ানোর কাজেই লাগবে। তাই উৎপাদন অংশীদ্বারিত্ব চুক্তি বা প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) এর মতোই রাশিয়ার সাথে এই গ্যাস কুপ খননের কন্ট্রাক্টও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই আমরা এই কন্ট্রাক্টের উদ্যোগ বাতিল করে দ্রুত বাপেক্সের মাধ্যমে গ্যাস কুপ খনন শুরু করার দাবী জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭