
Lovers are jealous,Husbands are ridiculous.I was never her lover,not much of a husband either... সারাহর হাজবেন্ড হেনরি যখন একথাগুলো প্রেমিক বেনড্রিক্সকে বলে তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, কিন্তু তারপরও কোথায় যেন হেনরির প্রতি এক ধরনের করুনা থেকেই যায়। মুভি শেষে তাই মনে হয় সারাহ হয়ত জীবনে কিছু পায়নি, হারিয়েছে বেশি অথবা হয়ত পেয়েছে অনেক, কিন্তু নিঃস্ব করে গেছে হেনরি আর বেনড্রিক্স দুজনকেই। হোক না সে মুভির নাম The end of the affair,মূলসুরটি কিন্তু যথার্থই, প্রেমের নিবাস হৃদয়ের অনেক গভীরে, গোপন অন্ধকারে, যার অতল খুব কমজনেই স্পর্শ করতে পারে।তাই চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল নয়।
মুভির কাহিনী শুরু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর, ১৯৪৬ সালে। এক বৃষ্টিভেজা রাতে পথ চলতে চলতে পার্কে হঠাৎ আবার দেখা হয়ে যায় হেনরি আর বেনড্রিক্সের। হেনরি প্রতিষ্ঠিত পলিটিশিয়ান আর বেনড্রিক্স নভেলিস্ট; একজন হাজবেন্ড আর অন্যজন পুরনো প্রেমিক। কিন্তু এদুজন নয়, কাহিনীর মুল চরিত্র হলো হেনরির স্ত্রী সারাহ। সারাহ ভালোবাসতো বেনড্রিক্সকে, যদিও সে তখন বিবাহিত। হেনরি যে তুমুল ভালোবাসা তাকে দিতে পারেনি, তা-ই সে খুঁজে পায় বেনড্রিক্সের মাঝে। যুদ্ধের দিনগুলোতে তারা আরো কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু তখনই ঘটে তাদের বিচ্ছেদ। ঠিক বিচ্ছেদ বলা যাবে না, সারাহ নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়।যাকে এত ভালোবাসে, তার থেকে সারাহ কেন নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয় তা বলবো না, তাহলে যে মুভি দেখবে তার আবেগ বাধাগ্রস্থ হবে। শুধু এটুকু বলতে পারি সারাহর কথাটুকু টেনে, Love doesn't end just because we don't see each other.People go on loving God all their lives without seeing Him.
কিন্তু বেনড্রিক্স সারাহর এই চলে যাওয়া মানতে পারে না, তাই বছর দুই পরে পরে যখন সেই বৃষ্টিভেজা রাতে হেনরির সাথে দেখা হয়, অপূর্ণ স্বামীর সন্দেহ বেনড্রিক্সের আহত ঈর্ষাকে জাগিয়ে তোলে। সারাহর সাথে আর কারো অ্যাফেয়ার আছে কিনা জানার জন্য বেনড্রিক্স ভাড়া করে এক প্রাইভেট ডিটেকটিভকে।
১৯৯৯ সালে নির্মিত এই অসাধারন রোমান্টিক ড্রামায় বেনড্রিক্সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন Ralph Fiennes আর সারাহর চরিত্রে Julianne Moore,পরিচালক Neil Jordan। যারা Ralph Fiennes মুভির সাথে পরিচিত তাদের কাছে এই গুনী অভিনেতাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কোন মানে নেই, যারা আগে দেখেননি তাদের জন্য এটুকু বলি, তিনি The English Patient আর Schindler's List এর জন্য দুবার অস্কারে নমিনেশন পেয়েছিলেন। Julianne Moore-ও এই মুভির জন্য অস্কারে নমিনেশন পেয়েছিলেন। তবে আমার মতে তার এ মুভিতে অভিনয়ের জন্য অস্কার জেতা উচিৎ ছিল। সারাহর সেই ডায়ালগটা এখনো কানে বাজে I had tempted fate and fate had accepted. So I am in the desert now.
মুভির প্রেক্ষাকাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলেও মুভিতে এর প্রভাব সামান্যই, যদিও কাহিনীর জন্য তা গুরুত্বপূর্ন উপাদান।যারা একটু পুরনোধাঁচের মুভি পছন্দ করেন, তাদের এটি খুবই ভালো লাগবে আর রোমান্টিক হলে তো কথাই নেই। চমৎকার মেকিং আর অসাধারন অভিনয়, সাথে সুতীব্র ভালোবাসার উপাখ্যান হিসেবে রেটিং চলে যাচ্ছে ৮ এর ঘরে। তবে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, মুভিটি অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। ( গুড়াগাড়া দেখলে থাবরানির কাম

মুভিটি দেখে আমার নিজেরও মনে হয়েছে, প্রেম আর ঈর্ষা কখনো কখনো খুব একটা আলাদা করা মনে হয় সম্ভব না। প্রকৃত প্রেম কখনো মানুষকে করে তোলে বিদ্বেষী, কখনো অভিমানী, কখনো বা নিরুপায়। কেউ কেউ সারাহর মতো হয়ে ওঠে miracle এ বিশ্বাসী, কেউ কেউ বেনড্রিক্সের মতো মেনে নেয় নিশ্চয়ই কেউ একজন আছেন যিনি অদৃশ্য কিন্তু সর্বত্র বিরাজমান ......I hated You as though You existed.Now I am tired of hating...but You're still there.You used my hate to win my acknowledgement.And I've only one prayer left.Dear God, forget about me.Look after her and Henry...
এই রিভিউ যখন লিখছি, মন বড্ড ভারি হয়ে আছে।কোত্থেকে যে এতো আবেগ উঠে আসে, কে জানে ? হয়ত সারাহর কথাই ঠিক Love doesn't end...just because we don't see each other.
অটঃ আমি এখনো কেন সেফ হয়ে উঠলাম না, বুঝতে পারছি না, end of the affair with সামু

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৬