

হ, গত ১ সপ্তা ধইরা চুপচাপ পত্রিকা, ফেসবুক, বলগ ফলো কইরা যাইতেছি। সবার কথা শুইনা যাইতেছি; মাগার কুনো আলোচনায় পার্টিসিপেট করত্যাচিনা। পয়েন্টে কথা হইতেচে কম, আজাইরা গাও জোয়ারি কথায় ভরপুর। তাই ডিসিশন নিচি এইবার নিজের কথা কওনের। আগেই কইয়া লইতেচি পয়েন্টে কথা কইবা, ফাউ কথা কইলে হাইফেনের গালি থিকা বাঁচবা না। আমার লগে মতের অমিল হইবারই পারে, মাগার পয়েন্টের বাইরে কথা আমি এলাউ করিনা।
সাকিবরে লইয়া কথা কইতে গেলে ইট্টু পিছন থিকা শুরু করতে হইবো। আমগো দ্যাশের বেশির ভাগ মানুষই হইল আবালচোদা মেন্টালিটির, 'পীর-মুরিদ' না হইলে তাগো ভাল্লাগেনা, প্যাটের ভিতর খুল্লম-খুল্লম করে। এক বছর আগেও সাকিবরে সবাই পচন্দ করত, কুনো অপছন্দের মানুষ আচিল না। কিন্তু বোকচোদ মিডিয়া নিজে গো পেপার ব্যাচার ধান্দায় করলো কি, মাশরাফি রে সাকিবের প্রতিপক্ষ বানাইয়া দিল। একখান বোলার যার কুনো ফিটনেস নাই, ফর্ম নাই, বলের গতি ১২০ কি:মি: তারে কুন মাইনষে দলে রাখবার চাইবো? কিন্তু আগেই কইচি, কিচু মানুষ তাও মাশরাফি মাশরাফি করবো। মিডিয়ার গু খাওয়া চ্যাটের বাল সাংবাদিকগুলাউ সেই সুযোগে একখান থিওরি খাড়া কইরা ফালাইলো, সাকিব চায় মাশরাফি টিমে না থাকুক।.....পার্টিশনডা তখন থিকাই আসলে শুরু। একদল ফাউল সাপোর্টার তৈরি গইয়া গ্যাচে যারা দুআ করে বাঙলাদেশ যেন হারে, সাকিব যেন খারাপ খ্যালে।
*রকিবাল, ইমরুল, জুনায়েদ, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাইম এইগুলা কুনো পিলিয়ারের পর্যায়েই পড়েনা, মাগার সাকিবের দোস্ত হওয়াতে আর কোচরে ত্যাল দিয়া বছরের পর বছর খেইলা গ্যাচে। ইমরুলের কতা কইলে কেউ তেউ রাইগা যাইবেন, কইবেন ও গত বচর দ্যাশের পক্ষে হাইস্ট রান করচে। তাতে কি বালডা হইচে? এইডা হইল ব্যক্তিগত পিলিয়ার। টিমের অবস্থা যেমুনই হোক, ৭৫ বলে ৩০-৩২ করবো, তারপর যখন মনে হইবো এইবার পুলাডা একটু হাত খুইলা খেলুক, তহনই খপাঙ কইরা আউট। এমনি টাউটারি কইরা টিমে রইয়া গ্যাচে। এইগুলা যতদিন টিমে থাকবো টিম কুনোদিনও উইনিঙ টিম হইবার পারবোনা, অপোটেন্ট টিম ২৫০ করলেই ম্যাচ শ্যাষ। আর টেস্টে ইমরুলের কথা কী কমু। এই পিলিয়ার গুলিরে টিমে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে সাকিবরে দোষ দিতেই হইবো। এইগুলার চে নতুন আসা শুভাগত, নাসির, অথবা পাইপ লাইনে থাকা পিলিয়ার গুলা অনেক ভালা। মাগার, এই বাল গুলি টিমে গুয়া জাইকা বইসা ভজঘট পাকাইয়া ফালাইচে।
* সবাই হেড অব ডেলিগেশনের রিপোর্টরে ধুমাইয়া পচাইতেচে। এইডা আসলে ভূল এপ্রোচ। বলির পাঠা হিসাবে ঐ লোকটারে মিডিয়া বাইছা লইচে, কারণ এই লোকের ব্যাক গ্রাউন্ড স্ট্রঙ না। সাকিবের ব্যাপারডা ম্যালাদিন ধইরাই চইলা আসতেছিল। অহনকার যুগে খ্যালা খালি মাঠেই হয়না, মাঠের বাইরেও খ্যালার একটা বড় অঙশ চলে। মাঠের খেলোয়াড় হিসাবে সাকিব ঠিক আচে, মাগার মাঠের বাইরে সে পুরা ফেইল। মিডিয়া সামলাইতে হয় কেমনে তা সে জানেনা। ক্যাপ্টিন হওয়ার আগে তার ইন্টারভিউগুলা দেখেন। কী আচিল তাতে? এলাকায় তার বন্ধু নাই, ক্রিকেটের বাইরে অন্য কিছু তেমন একটা চিন্তাও করেনা। সহজ-সরল কথা। কুনো প্যাচ-গোজ নাই। কিন্তু সাঙবাদিকরা হইলো চুদির ভাই, প্যাটভরা প্যাচ, মাথা ভরা গু। এমুন সব প্রশ্ন জিগায় যেগুলার উত্তর দিতে হয অনেক টেকনিকালি। সাকিব এই খ্যালাডায় কাচা। আয়ারল্যান্ডে লগে জিতা ম্যাচের পরের সঙবাদ সম্মেলনরে মাদার চোত সাঙবাদিক চালাইয়া দিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লগে হারার পরে সম্মেলন কইয়া। নিজের ঘরে বইসা আমি যা কিচু কইতে পারি, কিন্তু পাবলিকলি সব কিচু কইতে নাই, এইডাই সাকিবের মেইন সমস্যা। মিডিয়া হ্যান্ডল করতে পারেনা। পত্রিকায় কলাম লেখা দোষের কিছু না, অনেক পিলিয়ারই ল্যাখে। কিন্তু আমগো বোকচোদ সাবেক খ্যালোয়াড়গো কেউ পুছেনা বইলা হেগো দাবি কলাম খালি তারাই লেখবো। ল্যাখার ক্ষেত্রেও সাকিবের একই সমস্যা। ঘরে যা কওয়া যায়, পাবলিকলি তা কইতে নাই। হাজার খান চোখ ছোকছোক করে ভুল ধরোনের লাইগা।
*তামীমের ব্যাপারে কওয়ার কিচু নাই। মাঠে এরোগেন্ট হওয়া ভালা। কিন্তু মাঠের বাইরেও অর এটিচুডে সমস্যা আচে। বিজনেস ক্লাসের বদলে ইকোনোমিক ক্লাসের টিকেট দেয়ায় যে পুলা ভিসা ছিড়া ফালায় হেরে কুনোদিনও কুনো দায়িত্ব দেউন ঠিক না। ক্যাপ্টিন সবসময় হইবো ডিসিপ্লিনড। এইডার অভাবেই শেন ওয়ার্ন ক্যাপ্টিন হইবার পারে নাই, পন্টিঙ নিজেরে শুধরাইছে পরেই ক্যাপ্টিন হইচে।
* আমগো মতন দ্যাশে ক্যাপ্টিন হইবো মিডিওকার পিলিয়ার। আমগো বোলিঙ এটাক মুখস্ত নামতার মত, ব্যাটিঙয়েও তেমুন কিচু নাই। এই টিমে ক্যাপটিনের কাম হইলো টস করা আর কহন কারে বোলিঙ করাইবো সেইটা ঠিক করা। আমার ধইরা লই, কোচই আমগো মা-বাপ। কিন্তু ক্রিকেটে কোচের কুনো দরকারই নাই, কোচের কামডা হইলো ম্যানেজারের। কিন্তু বছর বছর কোচ একজন আসে আর পুরা টিম উলট পালট হইয়া যায়। অতিরিক্ত কোচ নিভৃরতা আমগো কুনোদিনও যাইবোনা। হের লাইগা বেস্ট পিলিয়ারডিরে ইউটিলাইজ করার জন্যে তাগো ক্যাপ্টিনশিপ না দেউয়াই ভালা। মুশফিক ভালা পুলা। ঠান্ডা মাথার, টেকনিকালি বাঙলাদেশ টিমের বেস্ট ব্যাটসম্যান, টেস্টে বরাবরই ভালা খ্যালে; কিপিঙ হের কুনোদিনও ভালা আচিলনা। তাই হেরে ক্যাপ্টিন দেউন যায়। মাহমুদ উল্লাহও এভারেজ টাইপ পিলিয়ার। এরেও ক্যাপ্টিন করোন যায়। এও ঠান্ডা মাথার পিলিয়ার, কথা কয় বুইঝা শুইনা, বয়সেও সাকিবের চে ৩-৪বছরের বড়। কাপালি ফিরা আসায় লাভ হইচে। ইমরুলরে লাত্থি দিয়া বাইর কইরা কাপালিরে ওয়ানডে টিমের ওপেনার হিসেবে লওন যায়। টেস্টে ওপেন করবো জহুরুল। পোলাডার সাহস আচে, ফুটওয়ার্ক আচে, কিপিঙও পারে।
ওয়ানডে টিমডা দেই : ১.তামীম ২. কাপালি ৩. নাসির ৪. সাকিব ৫.মুশফিক ৬. শুভাগত ৭. মাহমুদুল্লাহ ৮. সাব্বির/ ডলার মাহমুদ (ব্যাটিঙ জানে) ৯. শফিউল ১০.রাজ্জাক ১১.রুবেল। এক্সট্রা হিসাবে শাহরিয়ার নাফীস, আশরাফুল আর মোশারফ হোসেন।
* সাকিবরে বিশ্বকাপের পরপরই সরানো উচিৎ আচিল। কিন্তু বোর্ড তারে সময় দিচে, সে সঙশোধন হয় নাই, তাই বাদ দিচে। বাদ দেয়ার ধরনডা প্রোফেশনাল হয় নাই, কিন্তু এইটুক দোষ ক্ষমা কইরা দেউন যায়।
* প্রথম আলো অহন যে স্ট্যান্ট টা লইচে অইটা পুরাই ভড়ঙ বাজী। এতদিন সাকিবের গুস্টি উদ্ধার করচে, কারণ মানুষ খাইচে। অহন সাকিবের জন্যে কান্তেছে কারণ মানুষ এইটা খাইতেচে। নিজে গো কুনো মতামত তাগো থাকেনা। অনেকটা বেশ্যার মত। বেশ্যারও কুনো চয়েজ থাকেনা, ট্যাকা দিলে কুত্তার লগেও শুইতে রাজী।
*ঘরোয়া ক্রিকেট টা ঠিক করলেই সব ঠিক। এই দিকে নজর না দিয়্যা আইজ সাকিব, পরশু আশ্রাফুল এইসব কইরা পত্রিকাই বিক্রি হইবো, কামের কাম হইবোনা কিচুই।
বাকি কথা মন্তব্যের ঘরে কমু।