
১) আজ কোথাও ইমন জুবায়ের বলে কেউ নেই, আছে পৃথিবীর বেদনার্ত গান, কালো পাখির কঙ্কাল ! যেখানে ঘুমিয়ে পড়ার সময় হয়নি সেখানে ঘুমিয়ে পড়া হলো আর একজন মরমী উড়ে চলে গেলো সুর্যাস্তের দিকে ।
এখানে নেই নাগরিক বাউল, নেই রৌদ্রচিল, হলুদ শর্ষের ফুল । ভুবনের বাকল পুড়ছে , আর আমরা বেদনার্ত হয়ে গাঢ় শোকের দিকে গড়িয়ে গেলাম বিষণ্ণ হয়ে ।
পৃথিবীর শরীর থেকে উড়ে যাওয়া কালো পাখি দেখলাম এবং কাঁদলাম , এমন কিছু নয় , এ শহরে একটা অজানা ফুলের ঘ্রাণের সমান সুরভী ছড়িয়ে মানুষটি মিথ হয়ে গেলো আর আমাদের সমস্ত আকাশ , সমুদ্র ঊড়ে গেলো নব উদিত উজ্জ্বল নক্ষত্রের দিকে ।
আজ সব গল্পই তো শেষ , কেউ নেই কোথাও, ঢাকের বাদ্যে আমাদের ব্যক্তিগত দুঃখ, পাখিদের কন্ঠের রাধাকৃষ্ণের গান, আতরের গন্ধমাখা আলেক ফকিরের মারফতি চাদর ।
সব গল্পই অশ্রুগাথা, বিষাদলিপি ।হে ঋষি- আজ আমরাই বাউল, অচেনা নদী , শূণ্যতার ভিটেয় দাঁড়িয়ে গুনছি আপনার জ্যোতির্ময় ঘুম ,
সমস্ত গান বেদনার্ত হয়ে যেন রক্তজবার ভিতর উড়ে উড়ে আকাশে হারায়
আর
পৃথিবী শুনছে সেই বেদনার্ত গান !
২)
মৃত্যু এক অচিন গ্রাম। আমাদের অন্তহীন দৌড়ের গল্প একদিন এই গ্রামের দেয়াল এ মুছে যায়! ঠিক যেমন ডানা ভাঙ্গা পাখি ভুলে যায় গান, মুছে যায় মানুষের সমূহ স্মৃতি ধীরে ধীরে! এত ধীরে যে বলে ফেলা যায়, মৃত্যু বেদনা টেদনা সব ফাও, অভিশাপ লেগে যায় দেহের ইতিহাসে! বিগত হাওয়ায় মানুষ ঝরে পড়ে, ঝরে পড়ে !
আর আমরা ঘুমিয়ে গেলেই জানতে পারি মৃত্যুদূতের কোন মানুষের স্মৃতি থাকে না!