somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংশোধনী

২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল ৭ জুন নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বৈঠকের খবর আজকে ৮ জুন প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে বিভ্রান্তিকরভাবে পরিবেশনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী জনাব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ আজ ৮ জুন ২০১০ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

“গতকাল ৭ জুন নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বৈঠকের খবর আজকে ৮ জুন প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে বিভ্রান্তিকরভাবে পরিবেশিত হয়েছে। এভাবে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট পরিবেশন করা সংবাদপত্র ও সৎ সাংবাদিকতার নীতিমালার শুধু পরিপন্থীই নয়, পেশাগত সততা ও ন্যায়-নীতিরও বিরোধী। কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার এ ধরনের ন্যক্কারজনক ভূমিকা দু:খজনক। এ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো- নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের ৬টি বিষয় ব্যাখ্যা চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর নিকট পত্র দিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী সেগুলো সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের নিকট সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিকট যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনও একমত হয়ে গ্রহণযোগ্য মনে করছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। শুধুমাত্র নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে যে ফুট নোট দেওয়া হয়েছিল তা গঠনতন্ত্রের অর্ন্তভূক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন পরামর্শ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করে তা গঠনতন্ত্রের অর্ন্তভুক্ত করতে জামায়াত রাজী হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের যে সব ধারা ও উপধারা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন একমত হয়েছে এবং কোন আপত্তি করেনি, সেই সব ধারা সম্পর্কেও নির্বাচন কমিশন নতুনভাবে আপত্তি করে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৪ জানুয়ারী-১০ জামায়াতে ইসলামীর নিকট একটি চিঠি পাঠিয়েছে। গতকালের বৈঠকে জামায়াত নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের সেই আপত্তির অত্যন্ত জোড়ালো ও যুক্তিপূর্ণ জবাব প্রদান করে তা খণ্ডন করেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দের যুক্তি নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য মনে করে একমত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। যা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে বর্ণিত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রস্তাবনা সবই ঠিক আছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের কোন ধারা ও উপধারাই আরপিও এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বা পরিপন্থী নয়। এ সম্পর্কে গতকাল ৭ জুন নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে আমি সাংবাদিকদের সামনে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছি। তা সত্ত্বেও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যেই কয়েকটি পত্রিকায় আজকে প্রকাশিত রিপোর্টে গতকাল ৭ জুন-১০ নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত জামায়াত নেতৃবৃন্দের বৈঠকের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ‘গঠনতন্ত্রে আল্লাহর আইনের ধারা সংশোধনে রাজী জামায়াত’ এবং ‘আল্লাহই একমাত্র বিধানদাতা বলবে না আর জামায়াত’ ইত্যাদি যে সব মন্তব্য করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করার সময় জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২য় ধারার ৫ উপধারার যে অংশটুকু আমরা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি সেই অংশটুকু বাদ দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের ২য় ধারার ৫ উপধারার চূড়ান্ত বর্তমান রূপ সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোসহ সকলের অবগতির জন্য হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

“৫) আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহাকেও বাদশাহ, রাজাধিরাজ ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানিয়া লইবে না, কাহাকেও নিজস্বভাবে আদেশ ও নিষেধ করিবার অধিকারী মনে করিবে না, কেননা স্বীয় সমগ্র রাজ্যের নিরঙ্কুশ মালিকানা ও সৃষ্টিলোকের সার্বভৌমত্বের অধিকার আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহারও আসলেই নাই।” অর্থাৎ এই অংশটুকু জামায়াতের গঠনতন্ত্রে চূড়ান্তভাবে বর্তমানে আছে।

এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের ২য় ধারার ১ থেকে ৪ উপধারা পর্যন্ত আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ২য় ধারার (খ)-এর ১ থেকে ৭ উপধারা পর্যন্ত শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নি:শর্ত ও একনিষ্ঠ আনুগত্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। একজন ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমান হিসেবে এ আক্বীদা ও বিশ্বাস উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই।

উপরের উদ্ধৃতি থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের ২য় ধারার ৫ উপধারা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যে সব পত্রিকাগুলো জামায়াতে ইসলামীর ইতিবাচক খবরগুলো অদৃশ্যমানভাবে প্রকাশ করে এবং জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বনোয়াট রিপোর্ট তৈরি করে তা ফলাও করে দৃশ্যমানভাবে প্রচার করে সেই সব পত্রিকাগুলোই আজকে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ইসলামী আক্বিদা সম্পর্কিত কিছু কিছু ধারা উল্লেখ করে লিখে এই গুলো বাংলাদেশের সংবিধান এবং আরপিও পরিপন্থী। আবার যখন সেগুলো সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়া হয় তখন আবার লিখে ইসলামী আদর্শ থেকে জামায়াত সরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর এ ধরনের দ্বৈত ভূমিকা মানবাধিকার, পেশাগত সততা, নৈতিকতারও পরিপন্থী। সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর এ ধরনের ভূমিকা সততা ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোন কিছু তাদের কাছে পছন্দ বা গ্রহণযোগ্য না হলে তারা তার সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু এইভাবে অসৎ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা কোনক্রমেই তাদের উচিত নয়।

আমরা আশা করি এ বক্তব্যের পরে সকল বিভ্রান্তির অবসান হবে এবং সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর কর্তৃপক্ষ অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×