যে সব কারণে আমরা ১৯ মার্চ কোয়ার্টার ফাইনাল জিততে পারিঃ
১। মার্চ মাস, আমাদের জন্যে লাকি, ইন্ডির জন্যে আনলাকি মাস। ২০০৭ বিশ্বকাপ, ২০১২ এশিয়া কাপে এই মার্চ মাসেই ওদের আমরা ৫ উইকেটে হারিয়েছিলাম।
২। ২০০৭ এর টীমে শচীন,শেবাগ(আরেক ছাগল), দ্রাবিড়ের মত ব্যাটসম্যান ছিল। তাও শেষ রক্ষা হয় নাই। সেই ম্যাচের বাংলাদেশ টীমের তিন পুঁচকে প্লাস এক যম এখন অনেক পরিণত হয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধে খেলবে। বল তো তারা কারা ? সাকিব,মুশফিক, তামিম। যমের নাম ? মাশরাফি।
মন্তব্যঃ আব তেরা কেয়া হোগা খালিয়া !
৩। প্রতি ম্যাচে ১১ জন থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ৯ জন নিয়ে খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে! না মানে, ১১ জন নিয়ে মাঠে গেলেও খেলেছে আসলে ৯ জন। দুই ওপেনার আমরা এখনও খেলানোর সুযোগই পেলাম না ! জাস্ট ইমাজিন, কাল এই ২ ওপেনারের একজন (ধরে নিলাম তামিম) কিছু রান করলে আমাদের মোট রান কত বাড়তে পারে ?
মন্তব্যঃ মারব এমসিজিতে, লাশ পড়বে ইন্ডিতে!
৪। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগাররা তাদের ৩০০তম ওডিআই খেলবে। এটা ভারতের জন্যে একটা সমস্যা, কারণ টাইগারদের আবার বিশেষ দিনগুলো স্মরণীয় করে রাখার প্রবণতা আছে। আগের ১০০ তম উদযাপনটা আবার তাদের সাথেই ছিল কিনা !
মন্তব্যঃ মওকাআআআআআআআআআআআআআআ !
৫। টাইগার টীমের ২ পার্মানেন্ট আণ্ডারকভার সদস্য সৌম্য আর সাব্বির। ওরা নতুন তাই ওদের সম্পর্কে তেমন কোন রেকর্ড নাই, কিন্তু তারা কোন সময় কোন ম্যাজিক ট্রিক করবে তার কোন ঠিক আছে ? ও আচ্ছা, আরেকটা নতুন ছেলেও আছে। তাসকিন। নাহ থাক, ও নতুন না। আগেরবার এই ছোট্ট অবুঝ ছেলের কাছে বাঁশ খাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি আছে ওদের।
৬। তিন মোড়লের একটি (এবং সবচে গুরুত্বপূর্ণ) হবার কারণে ওয়ার্ল্ডকাপ শুরুর ৪মাস আগে গিয়ে টেস্ট সিরিজ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে শুরু করেছিল! ত্রিদেশীয় সিরিজে নাকানি চুবানি খেলেও ওয়ার্ল্ডকাপ শুরু হতেই আমূল বদলে যায় ভারতীয় দলটি। যে কোন কারণেই হোক, ভাল খেলতে শুরু করে সব ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। তাদের হিসেবমতে এই ম্যাচ জিতে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলতে চায় তারা! এটাই অদৃশ্য চাপ হয়ে চেপে বসতে পারে। এই ম্যাচ দিয়েই এতগুলো জিতের ভিত নষ্ট হতে পারে। সব ম্যাচ তো আর সবসময় জেতা যায় না। ভাগ্য শতকরা ১০০ ভাগ সবসময় মেলে ? প্রোবাবিলিটি কী বলে ?
মন্তব্যঃ #riseofthetigers #ধরেদিবানি