হে নিকোটিন তুমি কি আমাকে ক্ষমা করবে ?
সত্যি তুমাকে এতদিন ভালোবাসতে পারতাম না মন থেকে
তুমি দূর্ঘন্ধ বলে, তুমাকে আমার প্রিয়তমারা দেখতে পারেনা বলে.
তুমি নাকি সমাজ ব্যাধি ? তুমি নাকি সহজেই মৃত্যু ডেকে আনো ?
তুমিই নাকি ফুসফুসে ক্যান্সার করিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দাও ?
এগুলা আমি বিশ্বাস করিনা.. সত্যিই বিশ্বাস করিনা
সত্যি মানুষ কত সার্থপর দেখেছো ?
তারা কি হিসাব রেখেছে তুমাকে দিয়ে কত রাতের পর রাত তাদের সার্থ হাসিল করেছিলো ?
যখন তাদের পাশে কেউ ছিলোনা প্রিয়তমারা দূরে ঠেলে দিয়েছিলো..
বন্ধূরা বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে গিয়ে ছিলো..
মা, বাবা রাতে ঘরে থাকার আশ্রয় ছিনিয়ে নিয়েছিলো...
তখন তুমি ওই নিশ্ব হয়ে যাওয়া বালকের পাশে দাড়িয়ে ছিলে তাইনা ?
তুমিই তো সেই নিকোটিন ?
আজ তুমার নামে মিথ্যে সাবধানতার বাণী দিয়ে শহরের প্রতিটা অলি গলিতে মিথ্যা
পোষ্টার, বিলোবোর্ড দিয়ে পুরা জগৎকে কালো ছায়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলেছে ।
তুমাকে ধ্বংস করতে সরকার তুমার উপর একের পর এক টেক্স লাগাচ্ছে..
তুমি ক্ষতিকর বলে বারানো হচ্ছে সূল্ক্য !!
সংসদের টেবিল চাপরিয়ে তুমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে অজশ্র অবৈধ আইন
আমি জানি তুমাকে শেষ করার জন্য সবাই তুমার পিছনে লেগেছে
কিন্তু আমি থাকতে তুমার কোন ভয় নেই
নিকোটিন সত্যিই এই মাঝরাতে তুমাকে আজ এত কিউট লাগছে কেনো ?
তুমার সুন্দর্যতা এইত প্রকাশ করেছো যে পিছনে পরে গেলো সেই পূরানো ধুলো মাখা রূপালি গিটার,
আমার প্রিয়তামদের হরীনি চোখ ও তার পাতলা ঠোট...
তুমাকে ভিতরের আগুনটুকু ক্যাসিনোতে জ্বালানো আভা বাতির থেকেও অস্থির লাগছে...
কেউ তো আমার ভিতর জমানো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোবাসা টুকু দেখেনাই..
তুমি আমার হৃদযন্ত্রে গিয়ে আমার ভালোবাসার পুরাটাই দেখোছো...
সত্যি নিকোটিন আমি তুমার আঙ্গুলে আঙ্গুল রাখতে চাইনি.
--আমি চেয়েছিলাম প্রিয়তমার আঙ্গুলে আঙ্গুল রাখতে ।
আমি তুমার ওই হলুদ হয়ে যাওয়া স্পন্সে ঠোটে ঠোট লাগাতে চাইনি !!
-- আমি চেয়েছিলাম প্রিয়তমার পাতলা ঠোটে আমার ঠোট লাগুক
কিন্তু আফসোস.. হে নিকোটিন তুমাকে আমার ভালোবাসার জগৎ দেখাতে পারলেও কোন
প্রিয়তমা কেই দেখাতে পারিনাই
এই ব্যার্থতা কাদে নিয়ে আজ আমি ভালোবাসার সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছি ।
আমার ক্ষুদ্র ভালোবাসা গুলো প্রিয়তামাদের সাথে রাজপথে মিছিলে নেমেছে...
সুশীলরা একের পর এক গুলি করে মেরে ফেলছে আমার ভালোবাসা গুলোকে..
আমার চোখের নূনা পানি গুলো আজ প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে পরেছে
প্রিয়তাম তুমি দেখেছো নূনা পানিতে টলমল করা দুইটি নির্ঘুম চোখ..
দেখেছো তুমাকে নিয়ে আমার অপ্রকাশিত কবিতা গুলো ?
তুমি কি দেখেছো তুমার জন্য দিনকে রাত বানিয়ে রাত কে দিন বানিয়ে দেয়া ?
তুমি কি দেখেছো আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা গুলো ?
প্রিয়তমা তুমি সুধু দেখেছো আমার বাহ্যিক রুপ দেখোনি এই পাগলের ভালোবাসা !
নিকোটিন তুমাকে বলছি
কেউ আমার ভালোবাসা বুঝক আর না বুঝক তুমি সত্যিই আমার ভালোবাসা বুঝো !!
আমার মনের ক্ষোভ অভিমান গুলো নিমিষেই উড়িয়ে দিতে পারো তুমার ওই দুর্ঘন্ধময় ওই ধোয়াগোলুতে
তুমি আমার ভালোবাসাটুকু বুঝতে শিখেছো !!
সত্যি তুমাকে ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল !
তুমাকে মানুষ মিছে মিছেই ঘৃনা করে..
কিন্তু মানুষ কতই না সার্থপর... দেখেছো ???
সুখের সময় তুমাকে প্যাকেট বন্ধি করে মুদি দোকানেই রেখে দেই
যখন দুঃখ আসে তখন প্যাকেটের কারাগার থেকে তুমাকে মুক্ত করে
ওই কালো ঠোটে তুমাকে বরণ করে নেই...
তুমি যখন ওই জলন্ত দুঃখ গুলোকে ভুলিয়ে দাও আবার তুমাকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে দূরে ঠেলে দেয়
পৃথিবীর সবাই যখন আমাকে দূরে ঠেলে দেয় তখন একমাত্র তুমি ই
দুই ঠোটের মাঝখানে আমৃতসূধা ভাবে
ঝায়গা করে নাউ তুমার স্পন্স দিয়ে
সত্যি কথা দিচ্ছি তুমাকে আর অবহেলা করবোনা...
তুমাকে আজ থেকে সব সময় আমার কালো ঠোটের মাঝে রেখে দিবো ।
তুমাকে কেউ ভালোবাসুক আর না বাসুক আমি তুমাকে ভালোবেসে যাবো
লাভ ইউ নিকোটিন :* :*
তুমার কথা কখনোই শেষ হবার নই... সব সময় চলবে