নিজামী,মুজাহিদ ও সাঈদী এই তিন জানোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তাদের নিয়ে বহু চাঞ্চল্যকর খবর ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ।
নিজামী দশ ট্রাক অস্র পাচারের সাথেও জড়িত ছিল ।
তিন জনই ছিল জংগীদের অর্থ জোগানদাতা ও পৃষ্টপোসক ।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদেরকে কয়েকজন জংগীর রেকর্ড করা স্বীকারোক্তি শুনানো হলে তারা বিচলিত হয়ে পড়ে ।
’৭১ সালের তাদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের খবরের অংশগুলো দেখানো হলে তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে ।
রাষ্ট্রপতির গাড়ি বহর আটকে সরকারের সাথে দরকষাকষির গোপন খবর শোনানো হলে তারা চমকে ঊঠে ।
গোয়েন্দারা এ ষড়যন্ত্রের খবর জানল কেমনে !
ইতিমধ্যে একজন খুনের আসামী মুজাহিদের সাথে একই সেলে থাকবে না বলে তার উপর চড়াও হয়েছে ।সাইদীকে রাখা হয়েছে মহিলা সেলে ,কারন তাদের সাথে কোন হাজতি থাকতে রাজি হচ্ছে না ।
এত এত ঘটনার পরেও যদি কোন বিচারকের সামনে তাদের অপরাধ প্রমানিত না হয় তবে তা হবে মানব ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা আর বিচারক হবে একজন বিস্ময়কর বিচারক ।
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন , সৌদি আরবে খুনের আসামীর শাস্তি হিসেবে যখন শিরচ্ছেদ বা রাস্তায় ট্রাফিক সিগনালের সাথে ফাঁসি দেয়া হয় তখন খুন হওয়া ব্যাক্তির পরিবারে সদস্যদের ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় ।
বাংলাদেশেও কি তেমন সম্ভব ? আবার অসম্ভবেরও কিছু না ।
যাই হোক এখন উচিত এই তিন জানোয়ারকে নিয়ে মগবাজারের জাল্লাদ খানা , মোঃপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের টর্চারসেল , রায়েরবাজারের বধ্যভুমি ও তাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত জল্লাদখানাগুলো ঘুরিয়ে আনা ।
এরপর শহীদদের কোন জীবিত সন্তান বা আত্মীয়কে দিয়ে সৌদি স্টাইলে তলোয়ার দিয়ে শিরচ্ছেদ করা হোক ।অথবা পাকিস্তানে তৈরি রশি দিয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে ট্রাফিক সিগনালের সাথে বেধে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হোক।
সবগুলো রাজাকারের একই পরিনতির পর তাদের কবরস্থানে ঘৃনাস্তম্ভ নির্মান করলে কেমন হয় ?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:১৫