বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও অমর একুশের মহান গানের গীতিকার । নব্বইয়ের দশকে তার লেখা কলাম ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে । ঘোষনা দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের পক্ষে লেখালেখি শুরু করেন ।সেটাও কিন্তু দোষের কিছু ছিল না।
তার বিচ্যুতি শুরু হয় বিরোধী মিছিলে গুলি করা ইকবালের ছবিকে কারসাজি হিসেবে মন্তব্য করে সিরিজ লেখার পর থেকেই ।এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখি এখন তিনি জয়নাল হাজারীর সাথেও ভীষন সখ্য গড়ে তুলেছেন ।এক সময়ের কলম যোদ্ধা
হয়েছেন কলম সন্ত্রাসী ।
আসিফ নজরুল ঃ
জাহানারা ইমামের ডান হাত বলে পরিচিত ,ষ্পষ্টভাষী জনপ্রিয় আইনের শিক্ষক । হঠাত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা শুরু করেন ।জামায়তের নেতারাও এ সুযোগে তার বক্তব্যকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে ।এই ধারবাহিকতার শেষ কথা হল ,৬ দফায় ধর্ম নিরপেক্ষতা ছিলো না।
মুহম্মদ জাফর ইকবালঃ
এই ২১শে ফেব্রুয়ারীতেও বাংলাভাষার প্রতি দরদ দেখিয়ে কলাম লিখেছেন । বহু আগে ETV ঈদের অনুষ্টানে ভারতীয় হিন্দি ছবি “দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়াঙ্গে” প্রচার করতে চাইলে তিনি নেতিবাচক কলাম লেখেন । ETV সেই ছবি আর প্রচার করেনি ।এরপর তাকেই দেখা যায় হিন্দি গানের তালে তালে নাচতে ।তার কিছু অন্ধভক্ত তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই বলে,জাফর ইকবালের মত হয়ে দেখান । পৃথিবীতে কেউ কারো মত নয়, চাইলেও হতে পারবে না । তিনি নিজেও অন্যের সমালোচনা করে বই লেখেন ,তার থেকে টাকা পান ,জীবিকা নির্বাহ করেন ।
সজীব ওয়াজেদ জয় ঃ
পিতার স্পষ্ট নির্দেশ ছিল তার পরিবারের কাউকে যেন দুর্নিতী স্পর্শ না করে । এই ব্লগেই একটি লেখায় পড়েছিলাম কিভাবে ঋন নিয়ে সুধাসদন নির্মান করেছেন এবং কতকষ্টে সেই ঋন পরিশোধ করেছেন ।VOIP র অভিযোগ সত্য না হলেও
জ্বালানীখাতে তার ভুমিকা সন্দেহাতীত নয় । রাহুল গান্ধী,জয় ,তারেক প্রায় সমবয়সী যুবক ।বড়ই দুর্ভাগ্য যে, জয় চাইলে রাহুল গান্ধীর পথে হাটতে পারত ,কিন্তু সে হাটছে পুর্বসুরী আরেক যুবরাজ তারেকের পথে ।
মতিঊর রহমান ঃ
আফ্রিকার দেশগুলোতে খ্রিস্টানরা যখন ধর্ম প্রচার করতে আসে,তখন তাদের হাতে ছিল বাইবেল ,স্থানীয়দের হাতে জমির দলিল । কয়েক বছর যাওয়ার পর দেখা যায় ,যাজকদের হাতে উঠেছে জমির দলিল আর আফ্রিকানদের হাতে বাইবেল ।এর বড় উদাহরন জিম্বাবুয়ে । ৯০ ভাগ ভুমির খামারের মালিক সাদা চামড়ার যাজকদের উত্তরসুরীরা ।মানুষকে বদলে যেতে দিয়ে তিনি হয়ে যাবেন কর্পোরেট সম্রাট ,আর অন্যেরা পথের ফকির ।কারন সবাই বদলে যাওয়ার অঙ্গীকার করলেও তিনি তো করেননি । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে লতিফুর লিস্টেড দুর্নীতিবাজ হওয়ার পরও মতি-এনামের অলিখিত চুক্তির কারনে তাকে গ্রেফতার হতে হয়নি । আমার ভীষনভাবে জানতে ইচ্ছে করে লতিফুর বদলে যাওয়ারস্বাক্ষর করেছিল কি না । করলে কি লিখেছে?
আবেদ খান
“কালের কন্ঠ” ও “টক অফ দ্যা টাঊন” খ্যাত বিখ্যাত কলাম লেখক আবেদ খান আজ ভুমিদস্যুর পোষা গোলাম । তার নৈতিকতা বোধ এতই বেশি ছিল যে , পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ বাংলাদেশে এলে তার ব্যচমেট মে জ়্রে মঞ্জুর রশীদ খান সহ অন্যরা তার সাথে দেখা করলে তিনি সমালোচনা করে কলাম লেখেন । আজ তার নৈতিকতা কোথায় ?
শফিক রেহমান
এক সময়ের স্পস্টভাষী সাংবাদিক ,জনপ্রিয় ‘যায়যায়দিনের’ সম্পাদক । সুবিধাবাদী হয়ে তেজগাও প্লট নেন , সেখানকার রোডের নাম দেন লাভ রোড । এত সুবিধা নেয়ার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিকদের বেতন না দিয়ে পালাতে গিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত আসেন । এরপর থেকেই শিফন শাড়ির আঁচলের নীচে বসবাস করেন ।
দৈনিক ইনকিলাব
জামাত শিবিরের কট্টরসমর্থক এই পত্রিকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল হওয়ায় বিএনপি সরকারের শেষ দিকে জামাতবিদ্বেষী হয়ে উঠে ।মাঝখানে একবার শুনেছি ইনকিলাব ভবন নিলামে উঠতে যাচ্ছিল । বহু গন্যমান্য মানুষের চরিত্র হননকারী এই পত্রিকা আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ।
ATN Bangla
বদরুদ্দোজা চৌধুরী মানুষকে রোগের চিকিতসা নিয়ে একটা অনুষ্টান করতেন ।২০০১ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে হঠাত করে ‘সাবাস বাংলাদেশ’ নামে আওয়ামীবিদ্বেষী একটি অনুষ্টান ধারাবাহিক প্রচার করতে থাকে ।পুরস্কারস্বরুপ বিএনপির সময় প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয় মাহফুজুর রহমান । বিগত নির্বাচনের আগে হঠাত করে বংগবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে অনির্ধারিত অনুস্টান প্রচার শুরু করে দেয় । আগামীবার কোন দিকে যায় দেখার বিষয় ।
পর্ব -২
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:০৪