১৮+ পোস্ট
+
+
+
+
বাঙ্গালীরা যেসব হরেক রকম অবৈধ ব্যবসা করে তার মাঝে কিছু ব্যবসা আপনাদের পরিচিত কিছু ব্যবসা অপরিচিত । যেগুলো আপনাদের পরিচিত সেগুলো হলো আদম ব্যবসা,মদ বেচা, অবৈধ VOIP প্রভৃতি ।কিছু ব্যবসার খবর আপনাদের জানা নেই । আসুন তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই আর সেগুলো কি কারনে ক্ষতি করছে তা বলছি ।
.....................................................................।
ভাংগাড়ীর ব্যবসা বা পুরাতন লোহালক্কড়ের ব্যবসা.
......................................................................।
এটি মুলত কোন অবৈধ ব্যবসা নয় কিন্তু বাঙ্গালীদের হাতের ছোঁয়ায় তা অবৈধ হয়ে গেছে ।সৌদি আরবে বিলাসবহুল জীবনেনিত্য ব্যবহার্য ফার্নিচার থেকে শুরু করে বহু ভালো গৃহস্থালির জিনিষ,গাড়ি প্রভৃতি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় ।সেগুলো
এবং রাস্তায় পড়ে থাকা পেপসি ,7up এর ডিব্বা কুড়িয়ে ভাংগাড়ীর দোকানে বিক্রি করলে কিছু বাড়তি পয়সা মেলে ।ব্যপারটা এতটুকুর মধ্যে সীমিত থাকলে ঠিক ছিল ।
সৌদি প্রতিটি শহর , রাস্তাঘাটে প্রতিদিন চলছে লক্ষ-কোটি টাকার কন্সটাকশনের কাজ । সৈই কাজের লোহালক্কড়ের কাচামালগুলো পড়ে থাকে রাস্তায় । সেখান থেকে কিছু মালসরালেও কারো চোখে পড়ার কথা নয় । কিন্তু ৩/৪ পার্টি যখন একই জায়গা থেকে ট্রাক-লরিতে ভরে চুরি করে তখন চোখে পড়ে বৈকি !প্রথম প্রথম ঠিকাদাররা আবার মাল কিনে কাজ চালাত ।এই ফাকে কিছু ভাংগাড়ি কোটিপতি বনে যায় । কিন্তু প্রিন্সের বাড়ীর টেলিফোনের তার চুরি হলে সেই তার যখন বাঙ্গালী ভাংগাড়ির দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় তখন আগের সব দোষও গিয়ে পড়ে বাঙ্গালীর উপর ।এখন সৌদিতে বড় কিছু চুরি হলেই পুলিস অপারেশন চলায় বাংগালী ভাংগাড়ির দোকানে , তারপর অন্য জায়গায় ।কুয়েতে শ্রমিক বিদ্রোহের সময় কিছু ভাংগাড়ি শ্রমিককেও
সৌদি থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ।
.....................।।
সাপ্লাই ব্যবসা
........................।
কিছু কিছু কন্সট্রাকসন কোম্পানী হঠাত বড় অংকের কাজ পায় , তাদের হঠাত করে বিপুল পরিমান শ্রমিকের দরকার হয় ।এই শ্রমিক সাপ্লাই দিয়ে কিছু বাংগালি কোটিপতি হয়েছে । একে শ্রমিকের রক্তচোষা ব্যবসা বললেও অত্যুক্তি হয় না ।ধরা যাক, মুল কন্সট্রাকসন কোম্পানীর কাছ থেকে একজন শ্রমিকের ঘন্টা প্রতি ১০ রিয়াল পায় সাপ্লাই কোম্পানী । তারা স্রমিককে দেয় ঘণ্টা প্রতি ৬ রিয়াল । এভাবে মাত্র ১০০ শ্রমিক সাপ্লাই দিতে পারলে ১ মাসে কত লাভ হয় তার একটা হিসাব দেখাই ।
১ জন শ্রমিক গড়ে ১০ ঘণ্টা করে ২৬ দিনে করে(৪ শুক্রবার বাদে ) ২৬০ ঘন্টা কাজ ।প্রতিঘ্নটায় ৪ রিয়াল হিসেবে ১ জন থেকে মাসে আয় ২৬০*৪=১০৪০ রিয়াল ।
১০০ জনের থেকে আয় ১০৪০০০রিয়াল ।মাসে ১০৪০০০*১৮=১৮৭২০০০~১৯লাখ টাকা ।বিনাশ্রমে আয় ।
এর মাঝে ১ জন শ্রমিক ১২ ঘন্টা করলেও প্রতিদিন ২/১ ঘণ্টা কলমের খোঁচা কমাবেই ।খাওয়া বাবদ শ্রমিক প্রতি মুল কোম্পানী থেকে গড়ে১৫ রিয়াল পেলেও সাপ্লাই কোম্পানী খরচ করে ১০~১২ রিয়াল ।
প্রতিটা শ্রমিককে নিয়োগের সময় ১টা ফি দিয়ে ডুকতে হয় ,আবার মুল কোম্পানী থেকে ১টা ফী পাওয়া যায় ।শ্রমিক বেতন পাবে ৩ মাস পর ১ম মাসের বেতন ।অথচ মুল কোম্পানী মাসের শুরুতেই সাপ্লাই কোম্পানীকে বেতন পরিশোধ করে থাকে ।মুল কোম্পানী থেকে বেতন পাওয়া যায়নি এই অজুহাতে ১০০০ শ্রমিকের ৩ মাসের আটক বেতন মেরে দিলেই নিট ৬ কোটি টাকা । এরকম বহু শ্রমিক সাপ্লাই কোম্পানীর কাছে ঘামের পয়সা পায়নি । অপরদিকে সাপ্লাইম্যান দাম্মামের হলে পালিয়ে রিয়াদ বা জেদ্দা গিয়ে কয়দিন লুকিয়ে থাকে , পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার শুরু করে অথবা বাংলদেশে চলে যায় ।সৌদি কর্তৃপক্ষ এ খবর জানতে পেরে আকামার বিপরীতে ব্যংক একাঊন্টে শ্রমিকদের বেতন দেয়ার সিন্ধান্ত নেয় ।কিন্তু তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি । কয়েকমাস আগে ১টা কোরীয় কোম্পানী প্রায় ১ লাখ শ্রমিক মিয়ানমার ওনেপাল থেকে নেয় । বাংলাদেশি আদম ব্যবসায়ী আর সাপ্লাইম্যনরা চেয়ে চেয়ে দেখে আর মুখের জল ফেলে ।
...................................................।।
চামড়ার ব্যবসা ঃ যে কারনে ১৮+পোস্ট
......................................................।
এটা শুরু করেছিল কিছু ডাক্তার ।উচ্চশিক্ষিত এসব ডাক্তার সুন্দরী নার্স বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসে এ ব্যবসা শুরু করে ।কিছু বাংলাদেশী ডাক্তার এদেশে ক্লিনিক করার অনুমতি পায় এবং নিজ নামে ক্লিনিক খুলে ।সৌদিরা এসব ক্লিনিকে গিয়ে ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল ভাঁজ করে পরের আঙ্গুল তুলে ধরে রিসিপ্সনে জিজ্ঞেস করে , আছে কিনা ?
বোকা রিসেপ্সনিস্ট না বুঝলে বাম হাতের বূড়ো ও পরের আঙ্গুল দিয়ে গোল বানিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল ডুকালে রিসিপ্সনিস্টের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় এ তো কোন সাধারন রোগী নয় । নিমিষেই বুঝে ‘রোগি’র কি রোগ,পথ্য কি, ভাল টিপস পাওয়ার আশায় চোখেমুখে হাসিফুটে উঠে ।
খালেদা জিয়া সরকার যে মহত উদ্দেশ্য নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে মহিলাগৃহকর্মী প্রেরন শুরু করেছিল তা সফল হয়নি ।
১টা কৌতুক বললেই বিজ্ঞ পাঠক বুঝতে পারবেন ।
এক এইডস আক্রান্ত ছেলেকে সৌদি বাবা বলছে , বাবা তুমি ঐ বাঙ্গালী মহিলার ঘরে যাবে না , তাহলে তোমার মায়ের এইডস হবে ।
ছেলে বলল , কিভাবে?
“তোমার থেকে হবে ঐ মহিলার , ঐমহিলার থেকে হবে আমার ,আমার থেকে হবে তোমার আম্মার”,বাবা এক নিঃশ্বাসে বলে গেল ।
(ক্রমশঃ)
(৩য় পর্ব ) (৫ম পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৩০