পিতার পাশে নামাজে দাঁড়িয়ে
টিপটপ পায়জামা-পাঞ্জাবী
বাহ্.....!
ঠিক আছে তবে
১৮ বছর অব্দি ছাড় দিয়েছি
পিতার মর্ম বোঝার আগেই
তাকে হারিয়েছি…………………
হাসপাতালের বেডে ১৭ টি দিন
কোমায় গিয়েছে চলে
কভু সাড়া পেয়ে
ডিউটি ডাক্তারকে- কত ডেকেছি
রাত-বিরাত বলে “ভ্রু কুচকেছে
মায়া নেই তার-আমার বাবা বলে…………
কতদিন কতরাত
মনের অজান্তে মনে পড়েছে
পাশে শুয়ে সন্তান-স্ত্রী
জানেনা আর বোঝেনি কেউ
তার জন্য কত কেঁদেছি..................
গোরখাদ’কে তার কবরে
লাশের পর লাশ গেড়েছে
জিজ্ঞেস করেছি
বলেছে কত সহজে
“জায়গার অভাবে”!
আরে ঐ সাড়ে তিন হাত জায়গা
আমার কলিজার টুকরা…………..
আব্বা-বাবা বটবৃক্ষ স্নেহমাখা
কত আবদার
সব, সব হারিয়েছি
ওটুকু’ই ছিলো সার
বাকী আর -কিছু আবছা স্মৃতি
কত যতনে শ্বেত পাথরে নাম লিখেছি
তার শিয়রে সমাধি পরে সাজিয়ে দিয়েছি
উপ্রে ফেলেছে মসজিদ কমিটি…………..
সেদিন বন্ধু বলে
সহপাটি রেজা’র বাবা- ষ্ট্রোক করেছে
“আরে বৃদ্ধ হয়েছে-করতেই হবে
৩৩ বছরের বেটা ছেলে
আর কতকাল- বাবা বাবা চেচাবে”?!
১৪টি বছর ধৈর্য্য ধরেছি
আসেনি ফিরে বাবা
সহ্য করেছি তোমাদের প্রতি
বাবার ভালোবাসা
কিন্তু আর কত
কলিজায় রক্তক্ষরন চলবে অবিরত?
এবার ভেঙ্গেছে বাধ
পৃথিবীর সব বাবা যাক্ মরে যাক্……………………………………………
১. ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৫ ০