পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের জন্য ৩ হাজারের বেশী নমিনেশন ফাইল করা হয়েছিলো, গড়ে ১০ জনের বেশী, গুরুত্বপুর্ণ পদে মাছের বাজার। ৭৮৬ জনের মনোয়ন বাতিল করা হয়েছে; ৭০০ জনের বেশী ঋণ-খেলাপী; ঋণ-খেলাপীরা ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ, সংক্ষেপে জাতীয় ব্যাংক ডাকাত।
জেনারেল এরশাদের দলের কি একজন, হাওলাদার, নাকি মাওলাদার আছেন, উহা শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারে মন্ত্রী, নাকি তন্ত্রী, বা এই ধরণের কিছু একটা; উহাও বাদ পড়েছেন ঋণ খেলাপীতে। রাজনীতিবিদের মাঝে শুধু শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া মনে হয়, ব্যাংক ঋণ টিন নেননি!
ঋণ-খেলাপী হিসেবে বিএনপি থেকে বাদ পড়েছেন বিএনপি'র আমেরিকান ডলারে বিলিওনিয়ার মোরশেদ খান; চুনোপুটি টাইপের একজন বাদ পড়েছে 'রাজনৈতিক কলাম লেখক' কি যেন নাম, গোলাম মাওলা রণি, নাকি ধনী; ছিলেন আওয়ামী লীগে, বাদ পড়েছেন বিএনপি'র প্রার্থী হিসেবে; এখন বুঝতেছেন কত ধানের শীষে মিলে কত চাল ডাল হয়!
যেই আড়াই হাজারের মত রাজনীতিবিদের নমিনেশন টিকে আছে, এদের মাঝে শেখ হাসিনা ব্যতিত সবার ব্যাংক ঋণ থাকা সম্ভব; এরা কি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নাকি ব্যাংক ডাকাত? ঋণ-খেলাপী হিসেবে বাদ পড়লে, সাথে সাথে গ্রেফতার করে, ঋণের কিছু টাকা পয়সা আদায় করলে ভালো হতো; আওয়ামী লীগের হুইপ, নাকি মুইপ একটাও বাদ পড়েছে; রাজনীতিবিদ নামের ডাকাতগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো পুরোপুরি লুট করেছে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাকে ভাগ দিয়ে।
ঋণ-খেলাপী হিসেবে বেশী বাদ পড়েছে বিএনপি থেকে; আওয়ামী লীগেরগুলো হয়তো গোজামিল দিয়ে বেঁচে যাচ্ছে, নতুন ঋণ নিয়ে, পুরাতন ঋণ কিছু শোধ করেছে ভোটের জন্য; ভালো মতে ধরলে, দেখা যাবে যে, হয়তো ওবায়দুল কাদের সাাহেবও ভোট থেকে নিস্কৃতি পেতেন।
এখন বুঝেন, জাতির "ক্যাপিটেল" কারা দখল করে রেখেছে, কারা ব্যাংক ডাকাতী করছে: বিএনপি ২০০৬ সালের পর থেকে ক্ষমতায় নেই, অথচ তারা ব্যাংক ঋণের নামে এখনো ডাকাতী করছে। আর যদি, ২০০৬ সালের আগে ঋণ নিয়ে থাকেন, দেখেন, এরা কত শক্তিশালী যে, আওয়ামী আমলেও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছে না।
৩০০০ জন রাজনীতিবিদের মাঝে ৭০০ খেলাপী, বাকি আড়াই হাজারের মাঝে শেখ হাসিনা ও বেগম মতিয়া ব্যতিত প্রায় সবার ব্যাংক ঋণ আছে; এখন বুঝুন কারা জাতীর ব্যবসায়িক ক্যাপিটেলকে দখল করে, উন্নয়নের চাকাকে স্হবির করে রেখেছে! শেখ হাসিনা যে মাথামুন্ডু উন্নয়ন উন্নয়ন করে চীৎকার দিচ্ছে, উহা কি কাঁঠাল পাতার টাকায় হচ্ছে?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭