ব্যরিস্টার জায়মা রহমানের দাদী তাঁর দাদার কারণে ক্ষমতা লাভের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু কিছু বিষয়ে তাঁর অদক্ষতার কারণে জনগণ তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ছিলেন। মন্দের ভালো সূত্রে এবার তাঁর দলের ক্ষমতা লাভের একটা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। আরেকটা সুযোগ পেয়ে তাঁর দল দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হলে দলের সাথে ব্যরিস্টার জায়মা রহমানের জনপ্রিয়তা তৈরী হবে।
আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত একটি দল। আওয়ামী লীগের চরিত্র ধারণ করলে বিএনপিকেও বিতাড়িত করতে জনগণ সময় নিবে না। আওয়ামী লীগের প্রতি বড়রা তো থাক দূরের কথা শিশুরাও এখন বিরক্ত। সেজন্য একতাল ধরে তারা যাদেরকে নির্মূল করলো সেই জামায়াত এবার সবার সহায়তায় আওয়ামী লীগকে উপড়ে ফেলে দিল। তাদের এ কাজের সুফল তারা পাবে না তাদের একাত্তরের ভূমিকার কারণে।এবার তারা আরেকটা ভুল করছে একাত্তরকে অস্বীকার করার চেষ্টা করার মাধ্যমে। একাত্তরে তারা যা করেছে সেটা তাদের জঘণ্য দোষ। কোনভাবে তারা এটাকে গুণ বানাতে পারবে না।
দেশের কিছু লোক পাকিস্তান পন্থী। কিছু লোক ভারত পন্থী। কিছু লোক বাংলাদেশ পন্থী। বিএনপি বাংলাদেশ পন্থী হতে পারলে তাদের প্রতি জনগণের ভালোবাসা বাড়বে। তবে বাংলাদেশ পন্থী হওয়ার পরেও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে বিএনপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না।
ছাত্ররা ক্ষমতা ছেড়ে দলগঠন করে তত্ত্বাবধায়তের অধীনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিরোধী দল হয়ে সাফর্যা দেখাতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করবে। কারণ দেশবাসী আর দিতে চায় না, তারা এখন কিছু পেতেও চায়। জাতির জনক ও স্বাধীনতার ঘোষকের পরিবারকে জাতি অনেক দিয়েছে। এখন তারা নিজেরাই পেতে চায়। যারা তাদেরকে কিছু দিতে পারবে তারা তাদের পক্ষে থাকবে। তাই বলে তারা একাত্তরের রাজাকারের নিকট থেকে কিছু চায় ঘটনা এমন নয়। এ ক্ষেত্রে কিছু লোক ভুল করতে পারে, তবে গোটা জাতি ভুল করবে বলে মনে হয় না। জামায়াত পূর্বেও ক্ষমতার অংশিদার ছিল, এখনো তাদের প্রতি বরাদ্ধ সেটাই। তাদের ক্ষেত্রে জনগণ ঐ টুকু সহ্য করে। এর বেশী নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৪