এয়ার গ্যাপড কম্পিউটারে হ্যাকাররা কিভাবে ঢুকলো সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
কত বিটকয়েন চুরি হয়েছে?
১০২৪।
ট্রানজ্যাকশান ওয়ালেট?
একেবারে নতুন। পুরোটা মনিরো তে কনভার্ট করা হয়েছে।
কোনো আইপি পাওয়া যায়নি?
না। সেটাই সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়!
কম্পিউটার ব্যবহারের অনুমতি কার কার ছিলো?
আমার এবং ডক্টর মরিসনের।
বেশ।
পুরো কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ডডিস্ক সেক্টর বাই সেক্টর কপি করে আনলাম। এবার, IDA Ultimate ব্যবহারের পালা। তবে, আগে ভাইরাসটা খুঁজে পেতে হবে!
বিটকয়েন ফর সাইন্সকে একটি বিটকয়েন গবেষণা কেন্দ্র বলা যায়। এয়ার গ্যাপড, অর্থাৎ বাইরের জগত তথা ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি বিছিন্ন একগুচ্ছ কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ে এই কেন্দ্র। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কোয়ান্টাম জিপিইউ দিয়ে বিটকয়েন মাইন করা হয়। তারপর সেগুলো, ওই সিস্টেমেরই কোল্ড ওয়ালেটে জমা থাকে।
বাইরের জগতের সাথে কোনো যোগাযোগ না থাকার কারনে হ্যাকিং তেমন কোনো এর সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অঘটনটা ঘটেই গেল। কারন না বের করতে পারায়, গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের মাথার চুল ছেঁড়ার দশা। কম্পিউটার রুমে ২৪/৭ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। এআই সার্বক্ষণিক ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। সাথে গার্ড আছে অগুনতি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পরেরদিনই সারাদেশের অনলাইন পত্রিকাগুলো শিরোনামে সয়লাব করে ফেললো। ডাক পড়লো আমার টিমের। এডভান্সড রিসার্চ টিম। সদস্য সংখ্যা তিনঃ আমি, রুবাব এবং দিনা। কাহিনির শুরুর দিকের কথোপকথন আমার এবং ডক্টর জনসনের। রুবাব হার্ডডিস্কগুলো কপি করেছে আর দিনা সংগ্রহ করেছে ফুটেজ।
এয়ার গ্যাপড কম্পিউটার সিস্টেম সাধারণত ফিজিক্যালি হ্যাক করা হয়। ভাইরাসওয়ালা পেনড্রাইভ বা এরকম কোনো হার্ডওয়্যার সিস্টেমের একটা কম্পিউটারে ঢোকানো হয়। কাজটা করে কোনো বিশ্বাসঘাতক লোক যার ফিজিক্যাল একসেস রয়েছে। লোকাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পুরো কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস কপি হয়ে যায়। এরপর, একসময় সময় বুঝে লোকটা ডিভাইসটা বের করে পাচার করে। অথবা, অনেক সময় ইন্টারনেটে কম্পিউটার সিস্টেম এভেলেবল হয়ে যায়। এমনটা সাধারণ ক্ষেত্রে হলেও খুবই ঘাগু ক্রিমিন্যালরা এমনটা করে না। বিটকয়েন ফর সাইন্সের ক্ষেত্রে কোনটা ঘটেছে বলা যায় না।
চলবে......
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৭